কলকাতা: সর্বকালের সেরা ব্যাটার কে? এই নিয়ে প্রতি দশকেই একটা যেন বিতর্কের জায়গা থাকে। একটা সময় ক্রিকেট বিশ্ব বিধ্বংসী ব্যাটার বলতে চিনত ভিভ রিচার্ডসকেই। সময়ের সঙ্গে ক্রিকেট পাল্টেছে। প্রতিটা যুগে আলাদা ব্যক্তিত্ব রাজ করেছেন। কখনও সুনীল গাভাসকর, সচিন তেন্ডুলকর। বর্তমান প্রজন্মে বিরাট কোহলিকে সর্বকালের অন্যতম সেরা ব্যাটার বলা হয়ে থাকে। তিন ফর্ম্যাটেই তাঁর পারফরম্যান্স মুগ্ধ করার মতোই। তবে ভিভ রিচার্ডস ও বিরাট কোহলির মধ্যে তুলনায় কে সেরা? ভিভের ক্যাপ্টেন ক্লাইভ লয়েডের চেয়ে এই প্রশ্নের উত্তর আর কেই বা ভালো দিতে পারবেন! বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
কলকাতায় এসেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিশ্বজয়ী অধিনায়ক ক্লাইভ লয়েড। ভারতীয় ক্রিকেটের রূপকথাও শুরু হয়েছিল লয়েডের ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়েই। উদ্বোধনী দুটি বিশ্বকাপ জিতে আসা ক্লাইভ লয়েডের ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়েই লর্ডসে ট্রফি জিতেছিল কপিল দেবের ভারত। কলকাতায় এর আগেও এসেছেন ক্লাইভ লয়েড। ভালো স্মৃতি যেমন রয়েছে, তেমনই খারাপও। ১৯৯৬ বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে ইডেনে ভারত-শ্রীলঙ্কা ম্যাচে গ্যালারিতে আগুন জ্বলেছিল। সেই ভয়ঙ্কর ম্যাচে রেফারি ছিলেন ক্লাইভ লয়েড। তেমনই ২০১৬ সালে ভারতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের টিম ম্যানেজার হিসেবে এসেছিলেন ক্লাইভ লয়েড। ইডেনে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
কলকাতা প্রসঙ্গে লয়েড বলছেন, ‘কলকাতা শহর আমার কাছে খুব প্রিয়। মনে হয় আমি এই শহরেরই বাসিন্দা। তবে ইডেনের স্মৃতি আমার কাছে সুখকর নয়। কারণ ‘৯৬ বিশ্বকাপ সেমিফাইনালের ম্যাচ রেফারি আমি ছিলাম।’ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় শহরে না থাকায় দেখা হয়নি। লয়েড বলেন, ‘সৌরভ শহরে নেই। তবে ওর সঙ্গে কথা হয়েছে। ও এখন দক্ষিণ আফ্রিকায় আছে। ইংল্যান্ডে গেলে ওর সঙ্গে দেখা করব।’
শুরুতে যেটা নিয়ে কথা হচ্ছিল। ভিভ রিচার্ডস এবং বিরাট কোহলি। এই প্রসঙ্গে কিংবদন্তি ক্লাইভ লয়েড বলছেন, ‘বিরাট কোহলি ও ভিভ রিচার্ডস দুজনে আলাদা ধরনের ক্রিকেটার। তাই তুলনা হয় না। বিরাট একশোটা একশো করতেই পারে। ও এখনও অনেকদিন ক্রিকেট খেলবে। ও অনেক কিছু অ্যাচিভ করতে পারে।’ বিশ্ব জুড়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের রমরমা। সেই প্রসঙ্গে লয়েডের উত্তর, ‘টি-২০ ক্রিকেট হল এক্সিবিশন। আর টেস্ট ক্রিকেট হল এক্সামিনেশন। মাঠের বাইরে বল পাঠানো সহজ। ইংল্যান্ডের আবহাওয়ায় গিয়ে লাল বলে টেস্ট ক্রিকেট খেলা কঠিন। তাই আমি বলব ওখানে গিয়েই ক্রিকেট শিখে আসতে।’