কলকাতা: ৪০০ দিন! অন্ধকার থেকে আলোয় ফিরতে সময় লাগল মহম্মদ সামির। ‘সময় লাগল’ এখনই বলা যাবে না। বলতে হবে সন্ধের পর, যখন ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ইডেনে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে নামবেন বাংলার পেসার। ওয়ান ডে বিশ্বকাপের ফাইনালের পর আর বাইশ গজে ফেরা হয়নি। ঘরোয়া ক্রিকেটে নিজেকে প্রমাণ করেছেন, ফিটনেস টেস্ট দিয়েছেন, একাধিক চোট সারিয়ে তবেই ফেরার রাস্তা খুঁজে পেয়েছেন সামি। এই পরিস্থিতি কতটা কঠিন ছিল? প্রত্যাবর্তনের আগে নিজেই তুলে ধরলেন সামি।
কঠিন সময়েই বোঝা যায়, কে আপনার পাশে আছেন— বিসিসিআইকে স্পেশাল ইন্টারভিউ দিতে গিয়ে তুলে ধরেছেন সামি। তাঁর কথায়, ‘কঠিন সময়ে কে পাশে আছে, সেটা বোঝাই কিন্তু আসল পরীক্ষা। আমি মাঠে নতুন করে ফেরার আগে একটা লম্বা বছর অপেক্ষা করেছি, কঠিন পরিশ্রম করেছি। প্রথম প্রথম যখন দৌড়তাম, তখন ভয় হত। দারুণ ছন্দে থাকাকালীন চোট পাওয়া, এনসিএ-তে রিহ্যাব করা, তারপর ফিরে আসা যে কোনও প্লেয়ারের পক্ষেই কঠিন।’
চোটে কাটানো দিনগুলোতে ছেলেবেলাতে বাবা-মার শেখানো বেসিক জিনিসগুলোতেই ফোকাস করেছিলেন। সামি বলেছেন, ‘আমরা যখন ছোট থাকি, আমাদের বাবা-মা শেখায়, কী ভাবে হাঁটতে হবে। আমরা পড়ি, উঠি, আবার হাঁটার চেষ্টা করি। ওই হাঁটার খিদেটা কখনও নষ্ট হয় না। এটাই কিন্তু খেলার প্রাথমিক পাঠ। যদি তুমি চোট পাওয়া তোমাকে দেশ ও টিমের জন্য আবার ফিরতেই হবে।’
কঠিন সময়ে ফিরে আসার জন্য কী লাগে? আত্মবিশ্বাস! সামির কথায়, ‘ঘুড়ি ওড়াচ্ছি, বল করছি নাকি গাড়ি চালাচ্ছি, গুরুত্বপূর্ণ নয়। যদি কেউ মানসিক ভাবে শক্ত হয়, তা হলে ফারাক দেখা যাবে না। ১৫ বছর পরও কিন্তু আমি ঘুড়ি ওড়াতে পারি। যে কোনও কাজের জন্য আত্মবিশ্বাসটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। যখন তুমি রান করছ, উইকেট নিচ্ছ, তখন সবাই থাকবে তোমার পাশে। কিন্তু কঠিন সময়ে না পড়লে বোঝা যায় না, কে বা কারা তোমার পাশে আছে।’