কলকাতা: ‘এক হাসিনা থি…এক দিওয়ানা থা। কেয়া জমানা থা…।’ সেটা ছিল নব্বইয়ের দশকের জমানা। সাদা-কালো পেট মোটা টেলিভিশনের পর্দায় বিনোদন বলতে রবিবারের ছায়াছবি, খান কয়েক সিরিয়াল ও ক্রিকেট। বুনিয়াদ, নুক্কড়, চিত্রাহার বা ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের ফাঁকে সাবানের বিজ্ঞাপনে ধরা দিতেন এক স্বপ্নসুন্দরী। তিন মিনিটের ওই বিজ্ঞাপনে দুধসাদা বাথটবে মোহময়ীর স্নানের দৃশ্য আসমুদ্রহিমাচল কাঁপিয়ে দিয়েছিল। আম দর্শক তো বটেই, চোখ ফেরাতে পারেননি বিখ্যাত মানুষরাও। দিলজলে, মেজর সাব, সরফরোজের নায়িকা সোনালি বেন্দ্রের (Sonali Bendre) রূপ ও অভিনয়ে কাতর ছিলেন ওয়াঘার ওপারের মানুষরাও। কাঁটাতারের বেড়া পার করে বলিউড সুন্দরী বাসা বেঁধেছিলেন ওপারের এক তারকা ক্রিকেটারের হৃদয়ে। যাঁর গতির সামনে চোখে সর্ষেফুল দেখতেন বিশ্বের তাবড় ব্যাটাররা। গতির রাজা প্রথম সাক্ষাতেই হৃদয় দিয়ে বসেছিলেন বলিউড সুন্দরীকে। প্রেমের আগুন কি দু তরফেই সমান ছিল? বিস্তারিত রইল TV9 Bangla Sports-র এই প্রতিবেদনে।
ক্রিকেট ও বলিউডের যোগ আজকের নয়। কারণ এ দেশে দুটোই জনপ্রিয়। শুধুমাত্র ভারতীয় ক্রিকেটারদের সঙ্গেই বলিউডের সুন্দরীরা সম্পর্কে জড়িয়েছেন তা নয়। বিভিন্ন দেশের জনপ্রিয় ক্রিকেটাররা বলি সুন্দরীদের প্রেমে হাবুডুবু খেয়েছেন। এদেশে খেলতে এসে নায়িকাদের সৌন্দর্য, জনপ্রিয়তার মোহে পড়ে তাঁদেরই কাউকে হৃদয় দিয়ে বসেছেন। ভিভ রিচার্ডস-নীনা গুপ্তা এর অন্যতম উদাহরণ। তবে দূরত্ব বা সংস্কৃতিগত পার্থক্যের কারণে সেইসব প্রেম খুব একটা সাফল্যে মুখ দেখেনি। তেমনই এক ব্যর্থ প্রেম ছিল পাকিস্তান ক্রিকেটের সুপারস্টার শোয়েব আখতারের জীবনে। পকেটের মানিব্যাগে জ্বলজ্বল করত সুন্দরীর ছবি। বেডরুমেও থাকত বড় পোস্টার। এমনকী প্রেম প্রস্তাবে রাজি না হলে অপহরণের ‘ছক’ কষেছিলেন রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস।
একবার ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের পর সোনালি বেন্দ্রের সঙ্গে মাঠে দেখা হয়েছিল শোয়েব আখতারের। প্রথম দেখাতেই হৃদয় দিয়ে বসেছিলেন। ড্রেসিংরুমে সতীর্থরা বহুবার শোয়েবের মানিব্যাগে সোনালির ছবি দেখেছেন। কিন্তু প্রেম রয়ে গিয়েছিল একতরফা। কারণ তারপর আর মুখোমুখি দেখা করে প্রেম নিবেদন করার মতো সুযোগ হয়নি রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেসের। যদিও শেষমেশ এক সাক্ষাৎকার মারফত সোনালিকে প্রেম নিবেদন করেছিলেন পাক ক্রিকেটার। সাক্ষাৎকারে মজার ছলে জানান, সোনালি যদি তাঁর প্রস্তাব না মানেন তাহলে সুন্দরীকে ‘অপরহণ’ করতেও পিছপা হবেন না।