Asia cup 2023 AFG vs BAN Match Prediction: আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ‘নকআউটে’ নামছে বাংলাদেশ, হারলেই বিদায়
Asia cup 2023 Afghanistan vs Bangladesh Match Preview: লাহোরের গদ্দাফি স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ শেষ বার কোনও ওয়ান ডে ম্যাচ খেলেছিল ২০০৮ সালে! সেই দলের একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে রয়েছেন মুশফিকুর রহিম।
লাহোর: এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচটি হয়েছিল পাকিস্তানে। আজ আরও একটা ম্যাচ। পাকিস্তান ও নেপাল প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল মুলতানে। আজ লাহোরে নামছে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান। একটি দল এ বারের এশিয়া কাপের যাত্রা শুরু করছে। অন্য দলের কাছে ‘নকআউট’ এর পরিস্থিতি। বাংলাদেশ এ বারের এশিয়া কাপে একটি ম্যাচ খেলেছে। গত বারের চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কার কাছে সেই ম্যাচ হেরে প্রবল চাপে তারা। দলে চোট সমস্যা তো রয়েইছে। প্রথম ম্যাচে আগে শেষ মহূর্তে ছিটকে যান দলের গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার লিটন দাস। হারের ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশের সামনে। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
গ্রুপ বি-তে রয়েছে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা এবং আফগানিস্তান। তিনটি দলই সম-মানের। বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচ হেরেছে। শুধু তাই নয়, কিছুদিন আগে বাংলাদেশের মাটিতেই তাদের হারিয়েছিল আফগানিস্তান। অন্য দিক থেকে, সম্প্রতি শ্রীলঙ্কার মাটিতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের ওয়ান ডে সিরিজে ০-৩ হেরেছে আফগানিস্তান। এশিয়া কাপে তাদের নতুন শুরু। চেনা প্রতিপক্ষ। গ্রুপে তিন দলের মধ্যে দুটি দল সুপার ফোরে জায়গা করে নেবে। বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচ হারায়, এই ম্যাচ কার্যত নকআউট। হারলেই বিদায়। আফগানিস্তানের কাছে তবু একটা সুযোগ থাকবে শেষ ম্যাচ জিতে সুপার ফোরে জায়গা করে নেওয়ার।
আফগানিস্তান শিবিরে স্বস্তি, তাদের বড় কোনও চোট সমস্যা নেই। মুলতানের মতো লাহোরেও ব্যাটিং সহায়ক পিচের সম্ভাবনা। শুকনো আবহাওয়া। আফগানিস্তানের পাওয়ার হিটিং যে কোনও দলেরই ঘুম কেড়ে নিতে পারে। পাকিস্তান সিরিজে হারলেও এক ম্যাচে রহমানুল্লা গুরবাজ ১৫১ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেছিলেন। বাংলাদেশের বোলারদের বিরুদ্ধেও খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। বাংলাদেশের ব্যাটিং আক্রমণ ভরসা দিতে পারেনি গত ম্যাচে। তামিম ইকবাল, লিটনের মতো দুই অভিজ্ঞ ব্যাটারের না থাকাটাও বড় ধাক্কা।
লাহোরের গদ্দাফি স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ শেষ বার কোনও ওয়ান ডে ম্যাচ খেলেছিল ২০০৮ সালে! সেই দলের একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে রয়েছেন মুশফিকুর রহিম। তাঁর মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের ওপর বাড়তি ভরসা থাকবে বাংলাদেশ শিবিরের। জিতলে টুর্নামেন্টে মেয়াদ বাড়বে, হারলে এখানেই ইতি।