
দীপঙ্কর ঘোষাল : মহেন্দ্র সিং ধোনি এবং বিরাট কোহলি, যে ভেনুতেই খেলছেন, গ্য়ালারিতে বিপুল সমর্থন থাকছে তাঁদের জন্য়। এ বার দিল্লি ক্য়াপিটালসের বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচে নামছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্য়াঙ্গালোর। টিমের জন্য় অ্যাওয়ে ম্যাচ হলেও বিরাট কোহলির ঘরের মাঠে। দিল্লি তাঁর শহর। সেই শহরে তাঁর জন্যও যে বিপুল সমর্থন থাকবে এমনটাই প্রত্যাশিত। মাঠের বাইরেও যেন ম্যাচ। দেশের প্রাক্তন অধিনায়ক, বোর্ডের প্রাক্তন সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় দিল্লি ক্যাপিটালসের মেন্টর। দেশের আর এক প্রাক্তন অধিনায়ক বিরাট কোহলি এবং সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে একটা সময়ে ভালো সম্পর্ক থাকলেও, সবটাই অতীত। চিন্নাস্বামীতে ম্যাচের পর সৌরভের সঙ্গে সৌজন্যমূলক হাতও মেলাননি বিরাট কোহলি। দিল্লিতে ঘরের মাঠে নানা দিক থেকেই আকর্ষণীয় একটা ম্যাচের অপেক্ষা। এ বারের আইপিএলে ৫০তম ম্যাচও এটি। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে দিল্লি ক্যাপিটালস বনাম রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ম্যাচ প্রিভিউ TV9Bangla Sports-এ।
দিল্লি ক্যাপিটালস এবং রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। টপ অর্ডারে বৈপরিত্য নজর কাড়ার মতো। দিল্লি ক্য়াপিটালসের মূল সমস্যা টপ অর্ডারেই। পাওয়ার প্লে-তে সবচেয়ে মন্থর শুরু তাদের। পাওয়ার প্লে-তে দিল্লির রানরেট মাত্র ৭.৬৮! ওপেনিং জুটিতে ব্যাটিং গড় ২৬ এরও কম। অন্য দিকে, আরসিবির পাওয়ার প্লে বোলিং! পাওয়ার প্লে-তে আরসিবির ইকোনমি মাত্র ৭.২৯। এখনও অবধি পাওয়ার প্লে-তে ২২ উইকেট নিয়েছে আরসিবি। দিল্লি টপ অর্ডারে সবচেয়ে বেশি রান ডেভিড ওয়ার্নারের। ৩০০-র ওপর রান করেছেন এ বারের আইপিএলে। প্রথম চার ম্য়াচে করেছিলেন ২০৯ রান। টপ অর্ডারে একলা লড়াই চালিয়েছেন। যদিও গত পাঁচ ম্যাচ ম্য়াচে তাঁর সংগ্রহ মাত্র ৯৯ রান। শেষ তিন ম্যাচে দিল্লি ওপেনিং জুটির অবদান-০, ০, ১।
প্রতিপক্ষ আরসিবির মূল শক্তি টপ অর্ডার। আরও ভালো করে বললে, টপ থ্রি। এ বারের আইপিএলে অন্যতম বিধ্বংসী টিম আরসিবি। পাওয়ার প্লে-তে তাদের রান রেট ৯.২৯। বিরাট কোহলি এবং ফাফ ডুপ্লেসি ওপেনিং জুটির ব্যাটিং গড় ৫৩.৬২। ম্যাক্সওয়েলও ভরসা দিচ্ছেন। তাদের মূল সমস্যা মিডল অর্ডার। বেশ কিছু ক্লোজ ম্য়াচে আরসিবির হারের কারণ মিডল ও লোয়ার অর্ডারের দায়িত্ব নিতে পারা। সেই সমস্যা মেটাতেই ডেভিড উইলির পরিবর্তে কেদার যাদবকে সই করিয়েছে আরসিবি। টপ থ্রি সাফল্য পেলে আরসিবিকে রোখা কঠিন। আর এই কারণেই ঘরের মাঠেও অ্যাডভান্টেজ নয় দিল্লি ক্যাপিটালস। পরিসংখ্যান বলছে, ২০২১ সাল থেকে দিল্লির কাছে হারেনি আরসিবি। এ বারও তারই পুনরাবৃত্তি?