
দীপঙ্কর ঘোষাল : টানা পাঁচ ম্য়াচে হার থেকে দুটো জয়। অক্সিজেন দিয়েছিল দিল্লি ক্য়াপিটালস শিবিরে। তা অবশ্য দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। গত ম্য়াচে ঘরের মাঠে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কাছে হার। অথচ এই হায়দরাবাদকে ২০২২ সাল থেকে টানা হারিয়ে আসছিল দিল্লি। ব্য়াটিং ব্য়র্থতায় গত ম্য়াচে মাত্র ৯ রানে জয় থেকে দূরে থামে দিল্লি। প্রশ্ন উঠছে ব্য়াটার এবং ক্য়াপ্টেন ডেভিড ওয়ার্নারকে নিয়ে। টুর্নামেন্টে এখনও অবধি ৩০০-এর বেশি রান করেছেন দিল্লি অধিনায়ক। তবে তাঁর স্ট্রাইকরেট ১২০-র নীচে। নেতৃত্বেও ভরসা দিতে পারছেন না। সমালোচনায় বিদ্ধ ওয়ার্নার। পয়েন্ট টেবলে শেষ দিকে দিল্লি ক্য়াপিটালস। অ্যাওয়ে ম্য়াচের তাদের প্রতিপক্ষ শক্তিশালী গুজরাট টাইটান্স। বিধ্বংসী ফর্মে রয়েছে টাইটান্স। গত ম্য়াচে তারা ইডেন গার্ডেন্সে হারিয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে গুজরাট টাইটান্স বনাম দিল্লি ক্যাপিটালস ম্যাচ প্রিভিউ TV9Bangla Sports-এ।
গত বারের চ্যাম্পিয়ন গুজরাট টাইটান্স। এ বারও দারুণ ছন্দে। নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে ইডেনে টাইটান্সের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন বিজয় শঙ্কর, ডেভিড মিলার, নুর আহমেদ, জশ লিটলরা। দিনটা একেবারেই ভালো কাটেনি আফগান তারকা রশিদ খানের। কেকেআরের আফগান তারকা রহমানুল্লা গুরবাজ তাঁকে দারুণ সামলান। রশিদ উইকেটও পাননি, প্রচুর রানও দিয়েছেন। তরুণ আফগান চায়নাম্যান নুর আহমেদ দুর্দান্ত বোলিং করেন। মহম্মদ সামি, নুর আহমেদ, জশ লিটলরা গত ম্য়াচে রশিদের খারাপ পারফরম্য়ান্স ঢেকে দিয়েছেন। গত বারের চ্য়াম্পিয়নরা এ বার প্রথম ৮ ম্য়াচের মধ্যে ৬টি জিতেছে। আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে গুজরাট টাইটান্স।
দিল্লি গত ম্য়াচে হারায় ট্র্য়াজিক নায়ক হয়েই মাঠ ছাড়তে হয় মিচেল মার্শকে। ৪ উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি অনবদ্য একটা ইনিংস খেলেন। তিনি আর কিছুক্ষণ ক্রিজে থাকলে হয়তো ম্যাচটা বেরিয়ে যেত। মার্শ এবং ফিল সল্ট ফিরতে দায়িত্ব নিতে ব্য়র্থ বাকিরা। অধিনায়ক ওয়ার্নার ইনিংসের প্রথম ওভারেই আউট হন। অক্ষর প্য়াটেল প্রতি ম্যাচে ভরসা দিলেও তাঁকে কেন নীচের দিকে নামানো হচ্ছে, তা নিয়েও প্রশ্নের মুখে দিল্লি টিম ম্য়ানেজমেন্ট।