দীপঙ্কর ঘোষাল : প্লে-অফ কার্যত নিশ্চিত। তবে প্রথম দুইয়ে থাকাই লক্ষ্য গত বারের চ্যাম্পিয়ন গুজরাট টাইটান্সের। এ মরসুমে লিগ পর্বে ইতিমধ্যেই একডজন ম্যাচ খেলে ফেলেছে গুজরাট টাইটান্স। এর মধ্যে জয় ৮টিতে। লিগ পর্বে ঘরের মাঠে শেষ ম্যাচে নামছেন হার্দিক পান্ডিয়ারা। লিগ পর্বে আজকের ম্যাচ নিয়ে দুটি ম্যাচ বাকি। বাকি দুই ম্যাচ জিতলে পয়েন্ট টেবলে শীর্ষে থাকার সুযোগ থাকছে গুজরাট টাইটান্সের সামনে। হার্দিক পান্ডিয়াদের লক্ষ্য এমনটাই। ঘরের মাঠে শেষ ম্যাচে আরও একটা অভিনব উদ্যোগ টাইটান্সের। ক্যান্সার নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে ল্যাভেন্ডার রঙের জার্সিতে নামছেন হার্দিকরা। আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে আজ তাদের প্রতিপক্ষ সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। তারা এক ম্যাচ কম খেলেছে। গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে এবং এর পর বাকি দুই ম্যাচ জিতলে প্লে-অফের আশা জিইয়ে থাকবে। তবে টাইটান্সকে ঘরের মাঠে হারানো সহজ নয়। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে গুজরাট টাইটান্স বনাম সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ম্যাচ প্রিভিউ TV9Bangla Sports-এ।
টুর্নামেন্টের অন্যতম ধারাবাহিক দল গুজরাট টাইটান্স। যদিও নিজেদের শেষ ম্যাচে ওয়াংখেড়েতে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের কাছে হেরেছে তারা। ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দিয়েছিলেন মুম্বইয়ের বিধ্বংসী ব্যাটার সূর্যকুমার যাদব। আইপিএল কেরিয়ারে প্রথম সেঞ্চুরি করেন সূর্য। টাইটান্সের হয়েও ব্যাট হাতে অনবদ্য ইনিংস খেলেন রশিদ খান। ১০টি ছয়ই মেরেছেন রশিদ। বোলার রশিদের পারফরম্যান্স গত আইপিএলগুলির মতোই এ বারও অনবদ্য। ব্যাটার রশিদের দাপট দেখা গিয়েছে গত ম্যাচে। গুজরাট বোলিং আক্রমণ টুর্নামেন্টের অন্যতম সেরা। যদিও সূর্যকুমার যাদব তাণ্ডবের কাছে কোনও বোলারই সুবিধা করে উঠতে পারেননি। রান তাড়ায় অন্য ম্যাচের মতো ভালো স্টার্ট দিতে পারেননি শুভমন গিল, ঋদ্ধিমান সাহা। এক ম্যাচ দিয়ে গুজরাট টাইটান্সের পারফরম্যান্স বিচার করা কঠিন। ঘরের মাঠে ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্যেই নামবে টাইটান্স। গত ম্যাচ শেষে অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া বলেছিলেন, ‘দল হিসেবে পারফর্ম করতে পারিনি আমরা। বোলিংও অন্যান্য দিনের তুলনায় খুবই সাদামাটা হয়েছে।’ হার্দিক অবশ্য বরাবরই ‘টিম’ হিসেবেই বলেন। কখনও কোনও ব্যক্তিকে দায়ী করেন না।
অন্যদিকে, সানরাইজার্স হায়দরাবাদ এ মরসুমের শুরু থেকেই ধারাবাহিকতা দেখাতে ব্যর্থ। কোনও ম্যাচে রুদ্ধশ্বাস জয় ছিনিয়ে নিয়েছে, আবার অনেক ক্ষেত্রে ম্যাচের রাশ হাতে থাকা সত্ত্বেও হেরে মাঠ ছেড়েছে। গত ম্যাচেও লখনউ সুপার জায়ান্টসের কাছে হেরেছে তারা। শেষ ৬ ওভারে ৮০ রান ডিফেন্ড করতে ব্যর্থ সানরাইজার্স। নিকোলাস পুরানের বিধ্বংসী ইনিংসের সামনে আত্মসমর্পণ করেছে সানরাইজার্স। ব্যাটিংয়ের ক্ষেত্রেও দেখা গিয়েছে, সেট হয়েও বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হচ্ছেন সানরাইজার্স ব্যাটাররা। অধিনায়ক এইডেন মার্করাম ১০ ম্যাচে করেছেন ২০৭ রান। স্ট্রাইক রেট ১৩০-এরও কম। সানরাইজার্সের কাছে বাকি সব ম্যাচই মরণ বাঁচন, হার মানেই প্লে-অফ থেকে দূরে সরে যাওয়া।