দীপঙ্কর ঘোষাল
যাদের কিছুই হারানোর ভয় নেই, তারা বোধ হয় অনেকটাই ভয়ঙ্কর। সব ক্ষেত্রেই। আইপিএলে এখন এমনই পরিস্থিতিতে রয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। হারানোর কিছু নেই। খোলা মনে খেলার সুযোগ। প্লে-অফে যেতে প্রতি ম্যাচই নকআউট। আগে থেকে অতিরিক্ত ভাবলে সমস্যা বাড়বে বই কমবে না। কেকেআর শিবিরে তাই যেন অলিখিত স্লোগান, যা হবে দেখা যাবে। গত ম্য়াচের জয়টাই যেমন। এ বারের আইপিএলে রেকর্ড। শেষ ওভারে মাত্র ৯ রানের পুঁজি নিয়ে জিতেছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। নায়ক হয়ে উঠেছিলেন বরুণ চক্রবর্তী। শেষ ওভারে অনবদ্য বোলিং করেছিলেন। তেমনই এ বারের আইপিএলে শেষ ওভারে সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে জেতার রেকর্ডও কিন্তু কেকেআরের দখলেই। রিঙ্কু সিংয়ের সেই টানা পাঁচ ছক্কার মার। ঘরের মাঠে আজ কেকেআরের সামনে পঞ্জাব কিংস। তাদের নামে ‘কিং’ থাকলেও, মেজাজটাই যে আসল রাজা, কেকেআর শিবিরকে দেখলেই বোঝা যায়। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে কলকাতা নাইট রাইডার্স বনাম পঞ্জাব কিংস ম্যাচ প্রিভিউ TV9Bangla Sports-এ।
পঞ্জাব কিংসের সঙ্গে খুব একটা ফারাক নেই কলকাতা নাইট রাইডার্সের। কাগজে কলমে পঞ্জাবকে অনেক শক্তিশালী ধরে নেওয়াই যায়। শিখর ধাওয়ানের মতো বিধ্বংসী ব্যাটার। সঙ্গে লিয়াম লিভিংস্টোন, অথর্ব তাইডে, জীতেশ শর্মাদের কথা ভুললে চলবে না। তেমনই স্যাম কারান, কাগিসো রাবাডা, রাহুল চাহার, ঋষি ধাওয়ান। বোলিং আক্রমণও শক্তিশালী। প্লে-অফের দৌড়ে ১৬ পয়েন্টকে যদি ম্যাজিক ফিগার ধরা হয়, পঞ্জাব একটা ম্যাচ হারলেও সেই পয়েন্টে পৌঁছনোর সুযোগ পাবে। তাদের কাছে বাকি ম্যাচগুলি হয়ে দাঁড়াবে নকআউট। কিন্তু কলকাতা নাইট রাইডার্সের কাছে একটা ম্যাচ হারলে আর ১৬ পয়েন্টের ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছনো সম্ভব হবে না। ইডেন গার্ডেন্সে ঘরের মাঠে কেকেআরের একটা জয় মানে আরও একটা লাইফ লাইন।
নাইটদের কাছে স্বস্তির বিষয় জেসন রয় দারুণ ছন্দে রয়েছেন। রহমানুল্লা গুরবাজ গত ম্যাচে রান না পেলেও ইডেনে শেষ ম্যাচটিতে দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছিলেন। ওপেনিং জুটি ভালো হলে ভেঙ্কটেশ আইয়ার, নীতীশ রানা, রিঙ্কু সিংরা রয়েছেন। সঙ্গে অবশ্যই আন্দ্রে রাসেল। ধারাবাহিক নন। তবে রাসেল বিধ্বংসী মেজাজে থাকলে তাঁকে রোখা মুশকিল। পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচ দিয়েই এ বারের আইপিএল শুরু করেছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। বৃষ্টিবিঘ্নিত সেই ম্যাচে হারলেও বিধ্বংসী ইনিংস খেলেছিলেন রাসেল। আজও তাঁর কাছ থেকে এমন ইনিংস পাওয়া যাবে না, সেটাই বা কে বলতে পারে! কেকেআর শিবিরে ভাবনার জায়গা সুনীল নারিন। আবার প্রতিপক্ষ শিবিরেও ভাবনার জায়গা তিনিই। ধারাবাহিক না হলেও নারিনের অভিজ্ঞতাকে হেলাফেলা করার সুযোগ নেই। খাদের কিনারে থাকা দলের হয়তো সেরা অস্ত্র হয়ে উঠলেন সুনীল নারিনই!