দীপঙ্কর ঘোষাল : এ বারের আইপিএলে ১০ পয়েন্টের ট্র্য়াফিক জ্য়ামে আটকে পাঁচটি দল। এর মধ্যে রয়েছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্য়াঙ্গালোরও। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে আজ মুখোমুখি এই দু-দল। ট্র্যাফিক জ্যাম থেকে বেরিয়ে প্রথম চারে জায়গা করে নেওয়াই লক্ষ্য। কোন দলের লক্ষ্য পূরণ হবে তা এখনই বলা কঠিন। তবে ম্যাচের বাইরে বাড়তি নজর থাকবে মুম্বই অধিনায়ক রোহিত শর্মার দিকে। আতসকাচে রয়েছে তাঁর ব্যাটিং। সাদা বলের ক্রিকেটে বিশ্বের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার। গত বারের মতো এ বারের আইপিএলেও ফ্লপ। প্রাক্তন ক্রিকেটাররা সমালোচনায় ভরিয়ে দিচ্ছেন। গত চার ইনিংসে মুম্বই অধিনায়ক রোহিত শর্মার সংগ্রহ মাত্র পাঁচ রান। আইপিএল শেষেই বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল। রোহিতের ফর্ম মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের পাশাপাশি চাপ বাড়িয়েছে জাতীয় দলেরও। এমন আরও কিছু বিষয় রয়েছে এই ম্যাচ ঘিরে। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স বনাম রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ম্যাচ প্রিভিউ TV9Bangla Sports-এ।
এ বারের আইপিএলে শুরুর দিকেই মুখোমুখি হয়েছিল দু-দল। চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে মরসুমের প্রথম ম্যাচে নেমেছিল দু-দল। হাইভোল্টেজ ম্যাচ হয়েছিল এক তরফা। প্রথম ব্যাট করে মাত্র ১৭১ রান করেছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। তরুণ বাঁ হাতি ব্য়াটার তিলক ভার্মা একটি ভালো ইনিংস না খেললে সেই অবধিও পৌঁছতে পারত না মুম্বই। রান তাড়ায় নেমে ফাফ ডুপ্লেসি-বিরাট কোহলি ওপেনিং জুটিতেই যোগ করেন ১৪৮ রান। শেষ অবধি ৮ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে জিতেছিল আরসিবি। ফিরতি ম্যাচের আগে দু-দলই একই বিন্দুতে। ১০ পয়েন্টে আটকে থাকা মুম্বই ও আরসিবি নিজেদের শেষ ম্যাচে হেরেছে।
ওয়াংখেড়েতে হাহস্কোরিং ম্যাচের প্রত্যাশা। তবে মুম্বইয়ের রক্ষণশীল ব্য়াটিং এবং রোহিত শর্মার ফর্ম হোম ম্যাচেও তাদের চাপে রাখছে। অথচ মুম্বইয়ের ব্য়াটিং আক্রমণে সেরা অস্ত্র রয়েছে। রোহিত শর্মা, ক্যামেরন গ্রিন, ঈশান কিষাণ, সূর্যকুমার যাদব, টিম ডেভিড। সমস্যা ধারাবাহিকতার অভাব। কোনও ম্যাচে তরুণ নেহাল ওয়াদেরা অনবদ্য ব্যাটিং করছেন, কোনও ম্যাচে তিলক। কিন্তু সিনিয়র ক্রিকেটাররা ধারাবাহিকতা দেখাতে না পারলে ঘুরে দাঁড়ানো কঠিন। বিশেষ করে বলতে হয় অধিনায়কের কথা। ক্যাপ্টেন পথ দেখান। সেটারই অভাব মুম্বই শিবিরে।
উল্টোদিকে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্য়াঙ্গালোর অধিনায়ক ফাফ ডুপ্লেসি এবং তারকা ব্যাটার বিরাট কোহলি, দু-জনই ফর্মে। কোহলির স্ট্রাইকরেট নিয়ে যদিও প্রশ্ন রয়েছে। ডুপ্লেসিকে নিয়ে তাও বলা যাবে না। এতদিন আরসিবির ব্য়াটিং মূলত ফাফ, বিরাট, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ত্রয়ীতে নির্ভরশীল ছিল। শেষ ম্যাচে মহীপাল লোমরোরের ইনিংস মিডল অর্ডারেও ভরসা দিয়েছে। বোলিংয়ের দিক থেকেও আরসিবি অনেকটাই এগিয়ে। দু-দলের কাছেই ঘুরে দাঁড়ানোর ম্যাচের আগে নজর কাড়ল দুই প্রজন্মের সেরা দুই ব্য়াটারের সাক্ষাতে। সচিন তেন্ডুলকর এবং বিরাট কোহলি। বিশ্বজয়ের ওয়াংখেড়েতে আরও একবার পাশাপাশি সচিন-কোহলি। ম্যাচ শুরু হলে অবশ্য প্রতিপক্ষ। সচিন মাঠের বাইরে থেকে মস্তিষ্কে খেলবেন, বিরাট মাঠে নেমে।