দীপঙ্কর ঘোষাল : ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের গ্রুপ পর্ব ক্রমশ শেষের দিকে। এখন প্রতিটা ম্যাচই কার্যত নকআউট। এমনই একটা ম্যাচে জয়পুরে মুখোমুখি হতে চলেছে রাজস্থান রয়্যালস ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। ইডেন গার্ডেন্সে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে নামার আগে ব্যাকফুটে ছিল রাজস্থান রয়্যালস। আধডজন ম্যাচের মধ্যে পাঁচটিই হেরে কলকাতায় পা রেখেছিল রাজস্থান রয়্যালস। তবে ইডেন গার্ডেন্সে ৯ উইকেটের বিশাল জয় এবং ২ পয়েন্ট নিয়েই কলকাতা থেকে ফিরেছে রাজস্থান রয়্যালস। কলকাতায় জয়ের পরই রাজস্থান অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন মন্তব্য করেছিলেন, ‘আমাদের আরও দুটি কোয়ার্টার ফাইনাল রয়েছে।’ পয়েন্ট টেবলের যা পরিস্থিতি এখন প্রতিটা দলের কাছেই পরিস্থিতি এমনই। গুজরাট টাইটান্স এবং চেন্নাই সুপার কিংস বাদ দিলে কেনও দলই প্লে-অফের দৌড়ে সুরক্ষিত নয়। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে রাজস্থান রয়্যালস বনাম রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ম্যাচ প্রিভিউ TV9Bangla Sports-এ।
রাজস্থান রয়্যালস জয়ের রাস্তায় ফিরলেও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর প্রবল চাপে। গত দু-ম্যাচেই হেরেছে তারা। প্লে-অফের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে হলে হারের হ্যাটট্রিক আটকাতে হবে তাদের। এরপর বাকি হিসেব। রাজস্থান রয়্যালস এবং রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর, দু-দলের ক্ষেত্রেই উল্লেখযোগ্য তাদের টপ থ্রি। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ব্যাটিং লাইন আপ মূলত টপ-থ্রি নির্ভর। ফাফ ডুপ্লেসি, বিরাট কোহলি এবং গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ওয়াংখেড়েতে গত ম্যাচে টপ থ্রি-র দুজন সাফল্য পেয়েছিলেন। ইনিংসের প্রথম ওভারেই বিরাট কোহলিকে ফিরিয়ে ধাক্কা দিয়েছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। যদিও ডুপ্লেসি-ম্যাক্সওয়েল বিধ্বংসী জুটি পরিস্থিতি সামাল দেয়। তাতেও অবশ্য খুব একটা সুবিধা হয়নি। এই দু-জন ফিরতেই ২০০ রানের মধ্যেই থামে আরসিবি। সূর্যকুমার যাদব এবং নেহাল ওয়াদেরার বিধ্বংসী ইনিংসে সহজেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছায় মুম্বই। ব্যাটিংয়ে আরসিবির চিন্তা যেমন মিডল অর্ডার তেমনই তাদের ফিল্ডিংও।
রাজস্থান রয়্যালসের ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক ম্যাচগুলিতে দেখা গিয়েছে, কোনও দিন ব্যাটিং অনবদ্য হচ্ছে, কোনও দিন বোলিং। টিম গেম নজরে পড়ছিল না। ইডেন গার্ডেন্সে টিম গেমেই জিতেছে তারা। যুজবেন্দ্র চাহালের ৪ উইকেট, আইপিএলের ইতিহাসে সর্বাধিক উইকেটের নজিরও গড়েন। তেমনই ব্যাটিংয়ে জস বাটলরা দ্রুত রান আউট হলেও নায়ক হয়ে ওঠেন তরুণ ওপেনার যশস্বী জয়সওয়াল। মাত্র ৪৭ বলে ৯৮ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। শুধু তাই নয়, আইপিএলের ইতিহাসের দ্রুততম অর্ধশতরানের নজিরও গড়েন যশস্বী। মাত্র ১৩ বলে হাফসেঞ্চুরিতে পৌঁছান তিনি। অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসনও অপরাজিত ৪৮ রান করেন। প্লে-অফের দৌড়ে চাপে থাকা দু-দলের রুদ্ধশ্বাস একটা ম্যাচ হতে চলেছে, এ বিষয়ে সন্দেহ নেই।