Saqlain Mushtaq: বউকে আলমারিতে লুকিয়ে রাখতেন পাক স্পিনার! এশিয়া কাপে তিনিই বাবর’দের হেড কোচ

বাবরদের বর্তমান কোচ তাঁর খেলোয়াড়ি জীবনে এমন এক কীর্তি করেছিলেন যা শুনে থ হয়ে গিয়েছিল ক্রিকেট বিশ্ব। ঘটনাটি ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপের সময়কার।

Saqlain Mushtaq: বউকে আলমারিতে লুকিয়ে রাখতেন পাক স্পিনার! এশিয়া কাপে তিনিই বাবরদের হেড কোচ
সাকলিনের কীর্তিImage Credit source: Twitter

| Edited By: তিথিমালা মাজী

Aug 27, 2022 | 9:00 AM

কলকাতা: হ্যাঁ, ঠিকই পড়েছেন। নতুন বউয়ের সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য তাঁকে আলমারিতে লুকিয়ে রাখতেন পাকিস্তান টিমের প্রাক্তন স্পিনার সাকলিন মুস্তাক (Saqlain Mushtaq)। যিনি আবার বর্তমানে বাবর আজমদের হেড কোচ। এশিয়া কাপে ভারত-পাক (India vs Pakistan) মহারণের আগে বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মাদের তারকাখচিত ব্যাটিং লাইন আপ ধ্বংস করে দেওয়ার হুঙ্কার দিয়েছেন সাকলিন। যাই হোক, সেই কোচ তাঁর খেলোয়াড়ি জীবনে এমন এক কীর্তি করেছিলেন যা শুনে থ হয়ে গিয়েছিল ক্রিকেট বিশ্ব। ঘটনাটি ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপের সময়কার।

তখন সবেমাত্র পাঁচমাস বিয়ে হয়েছে। তার উপর বউ অধিকাংশ সময় থাকতেন লন্ডনে। নিজেও ক্রিকেট কেরিয়ার নিয়ে বেজায় ব্যস্ত। তাই নতুন বউয়ের সঙ্গে সময় কাটানোর উপায়ই খুঁজে পাচ্ছিলেন না পাকিস্তান ক্রিকেট টিমের স্পিনার সাকলিন মুস্তাক। ১৯৯৯ সালের ওয়ান ডে বিশ্বকাপ সেই সুযোগ করে দেয়। সেবার ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ড মিলে বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্বে ছিল। বিশ্বকাপের জন্য ইংল্যান্ডে যাওয়ার পর বউকে ডেকে নেন। বিশ্বকাপ শুরুর দিকে কোনও সমস্যা ছিল না। দিনভর হাড়ভাঙা অনুশীলন করে সন্ধ্যা থেকে সময়টা কাটাতেন নতুন বউয়ের সঙ্গে। সারাদিনের পরিশ্রম ভুলে যেতেন তাতেই। এই নিয়মে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছিলেন। কিন্তু গোল বাঁধল কয়েকদিন পর। সাকলিন ও তাঁর বেগমের রোম্যান্সে কাঁটা হয়ে দাঁড়ায় পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। টিম ম্যানেজমেন্ট নির্দেশ দেয় পরিবারের লোকেদের পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেওয়ার। কোনও সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়াই এই সিদ্ধান্তে বেজায় রেগে গিয়েছিলেন সাকলিন। সবই তো ঠিকঠাক চলছে, তাহলে এমন সিদ্ধান্ত কেন? যাই হোক, নতুন বউকে কাছ ছাড়া করতে চাননি মোটেও। তাহলে উপায়?

জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে সুপার সিক্সের ম্যাচে হ্যাটট্রিক করা সাকলিন চরম ঝুঁকি নিয়ে স্ত্রীকে হোটেলের কামরার মধ্য়ে লুকিয়ে রাখার সিদ্ধান্ত নেন! দলের কোচ, ম্যানেজার প্রায়ই ঘরে আসতেন। সতীর্থরা আসতেন আড্ডা মারতে। তাই দেখে ফেলার ভয় ছিল। যখনই দরজায় টোকা পড়ত, বউকে আলমারির মধ্যে ঢুকে পড়ার নির্দেশ দিতেন। সাকলিন-পত্নিও স্বামীর নির্দেশ মতো সেঁধিয়ে যেতেন অন্ধকার আলমারিতে। ওভাবেই বসে থাকা ঘণ্টার পর ঘণ্টা! তবে লুকাছুপির রোম্যান্স বেশিদিন চালাতে পারেননি। সতীর্থ আজহার মাহমুদ এবং মহম্মদ ইউসুফ একদিন আড্ডা দিতে এসে কিছু একটা দেখে সন্দেহ করে যে মুস্তাকের বউ ঘরের ভেতরেই রয়েছেন। সে যাত্রায় টিমমেটদের বুঝিয়ে সুঝিয়ে কথাটা পাঁচ কান না করার অনুরোধ করেন। ইউসুফরাও মুখ খোলেননি।

অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ফাইনালে হারের পর ড্রেসিংরুমের পরিবেশ ভারী হয়ে গিয়েছিল। সকলেই মুষড়ে পড়েছিলেন। ওই পরিস্থিতিতে সাকলিনের কীর্তি প্রকাশ্যে আসার ভয় ছিল। হোটেলে এসে বউকে বলেন, চেক আউট করে লন্ডনের অ্যাপার্টমেন্টে চলে যেতে। কারণ আলমারি কান্ড প্রকাশ্যে এলে শাস্তির মুখে পড়তে পারতেন তিনি। সেবারের বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে ফাইনালে তুলতে বড় ভূমিকা নেন সাকলিন। জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিক করে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে উঠেছিলেন। অবসরের বহুদিন পর নিজেই এই ঘটনা ভাগ করে নেন। তাহলে কি সাকলিনের পারফরম্যান্সের রহস্য লুকিয়ে ছিল ওই আলমারিতেই?