মুম্বই: ফিটনেস সমস্যা কি আইপিএল (IPL) দর কমাতে পারে হার্দিক পান্ডিয়ার (Hardik Pandya)? ওয়াকিবহাল মহল কিন্তু তাই মনে করছে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের (T20 World Cup) সময় থেকে হার্দিকের ফিটনেস নিয়ে চরম বিতর্ক চলছে। এমনও বলা হয়েছে, চটি লুকিয়ে তিনি বিশ্বকাপ খেলেছিলেন। যে কারণে বোর্ডের একাংশ তাঁর উপর প্রচণ্ড চটে ছিল। ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টের কাছে তাঁর ফিটনেস রিপোর্টও চাওয়া হয়েছিল। তারই ভিত্তিতে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে হোম সিরিজে টিম থেকে বাদ পড়েছেন। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে জায়গা পাননি দলে। এমনকি আগামী বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে হোম সিরিজে টিমে জায়গার নাও পেতে পারেন হার্দিক। সেই কারণেই তাঁকে নিয়ে বাড়ছে আশঙ্কা। জানুয়ারি মাসের শেষে আইপিএলের নিলাম। ফিটনেসের কারণেই তাঁকে হয়তো কোনও টিম সেরা বাজি হিসেবে ধরবে না। আর তাই দর পড়তে পারে হার্দিকের।
আগামী বছর ফেব্রুয়ারি মাসে রোহিত শর্মার ভারত ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে তিনটি ওয়ান ডে ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচের সিরিজ খেলবে। তার পরই, শ্রীলংকার ভারত সফরে আসার কথা। দুটো টেস্ট ও তিনটে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার জন্য। এই দুটো হোম সিরিজে হার্দিকের ভারতীয় টিমের সুযোগ পাওয়া নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে। ফিটনেস নিয়ে তুমুল বিতর্ক থাকলেও হার্দিক এখনও জাতীয় ক্রিকেট একাডেমিতে যোগ দেননি। তার চোটের কী পরিস্থিতি, কতটা রিকভার করেছেন, তার কিছুই জানে না বিসিসিআই। আর তাই এখনই ভারতীয় টিমে প্রত্যাবর্তনের কোনও সম্ভাবনা সম্ভাবনা নেই হার্দিকের। এমনিতে হার্দিককে নিয়ে একটা গুঞ্জন রয়েইছে। সাদা বলে ক্রিকেটে ফোকাস করার জন্য টেস্ট ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়াতে পারেন। কিন্তু টিমে ঢুকতে হলে হার্দিককে আগে ফিটনেস টেস্ট দিতে হবে। তবেই ফিরতে পারবেন টিমে। আর তাই ভারতীয় অলরাউন্ডার এখন বেশ চাপে রয়েছেন।
আইপিএলে কী হবে তাঁর ভবিষ্যৎ? মুম্বই ইন্ডিয়ান্স হার্দিককে রিটেইন করেনি। আইপিএল-১৫তে নতুন ঠিকানা খুঁজতে হবে তাঁকে। ভারতীয় ক্রিকেটের অন্যতম সেরা ম্যাচ উইনার এখন ফিটনেস প্রশ্নে রীতিমত চাপে। আগামী মরসুমে দুটো টিম বেড়ে ১০ দলের আইপিএল হবে। ফিটনেস সমস্যা না থাকলে হার্দিক যে কোনও ফ্রাঞ্চাইজির টার্গেট হতে পারতেন। বেড়ে যেতে পারত তাঁর দর। তার বদলে কম টাকায় খেলতে বাধ্য হতে পারেন হার্দিক, এমনই বলছেন অনেকে।
একটি ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে জুড়ে থাকা এক কর্তা বলছেন, ‘হার্দিকের যোগ্যতা নিয়ে কোনও প্রশ্ন উঠবে না। ও পরীক্ষিত প্লেয়ার। একাই যে কোনও ম্যাচ জিতিয়ে দিতে পারে। কিন্তু এখন সবাই জানে, ওকে একটু অন্য ভাবে সামলাতে হবে। আমাদের ধারণা, হার্দিকের জন্য কেউই বিপুল অর্থ দিতে রাজি হবে না। ওকে নেওয়ার জন্য অনেক টিমই যে ঝাঁপাবে, এ নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু নিশ্চিত ভাবেই ওর দর কিছুটা কমবে।’
২০১৫ সাল থেকে আইপিএল খেলছেন হার্দিক সব মিলিয়ে ৯২টা ম্যাচ খেলেছেন। করেছেন ১৪৭৬ রান। নিয়েছেন ৪২টা উইকেট। ১০ লাখ টাকা দিয়ে আইপিএল খেলা শুরু করা হার্দিকের দর এক সময়ে ১১ কোটিতে পৌঁছে ছিল। হার্দিককে আবার সেরা জায়গায় পৌঁছতে আইপিএলের মঞ্চই বেছে নিতে হবে।