
ঘরের মাঠে ওয়ান ডে বিশ্বকাপ। প্রথম আইসিসি ট্রফি জয়ের দুর্দান্ত সুযোগ ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের। সিনিয়র মহিলা দল একাধিক বার ভিন্ন ফর্ম্যাটে ফাইনালে উঠলেও ট্রফি অধরা রয়েছে। এ বার ঘরের মাঠে শুরুটা দারুণ হল। গুয়াহাটিতে জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। কিছুটা শোকের আবহ। শ্রেয়া ঘোষালের কন্ঠে জাতীয় সঙ্গীত। সাময়িক ব্যাটিং বিপর্যয়। লোয়ার অর্ডারে দুর্দান্ত ব্যাটিং। বোলারদের ইউনিট হিসেবে পারফরম্যান্স। বৃষ্টির কারণে ম্যাচ অবশ্য ৪৭ ওভারের হয়। শেষ অবধি বড় ব্যবধানে জয় ভারতীয় দলের। বর্ষাপাড়ায় অলরাউন্ডার দীপ্তি শর্মা ভারতীয় দলের বড় ভরসা হয়ে ওঠেন। ৫ অক্টোবরের অপেক্ষা। সেদিন মুখোমুখি হবে ভারত ও পাকিস্তান। তার আগে শুভ-মহরৎ ভারতের।
টস জিতে রান তাড়ার সিদ্ধান্ত নেন শ্রীলঙ্কা ক্যাপ্টেন চামারি আতাপাত্তু। পিচে আর্দ্রতার কারণে নতুন বল মুভ করবে এমনটাই প্রত্যাশিত। অভিজ্ঞ ওপেনার স্মৃতি মান্ধানা অবশ্য ডট বলের কারণে ধৈর্য হারান। তাতেই সমস্যা বাড়ে। বড় শট খেলার চেষ্টা, মিস হিট, জাগলিং ক্যাচে তাঁকে ফেরান ভিষ্মি গুণরত্নে। প্রতিকা রাওয়াল ও হরলীন দেওল মজবুত জুটি গড়েন। প্রতিকাও জাগলিং ক্যাচে ফেরেন। ৮১ রানে ১ উইকেটে থেকে দ্রুতই ১২৪-৬ হয়ে যায় ভারতের স্কোর। কিন্তু অমনজ্যোৎ কৌর ও দীপ্তি শর্মার বড় রানের জুটি। শেষ দিকে স্নেহ রানার ১৫ বলে ২৮ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। নির্ধারিত ৪৭ ওভারে ৮ উইকেটে ২৬৯ রান করে ভারত। দীপ্তি ও অমনজ্যোৎ হাফসেঞ্চুরি করেন।
বোর্ডে যথেষ্ট বড় স্কোর। ভারতের বোলিং আক্রমণে দক্ষ স্পিনার। ভরসা ছিলই। ব্যাটিংয়ের পর বোলিংয়েও বড় ভরসা হয়ে ওঠেন দীপ্তি শর্মা। নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট নিতে থাকে ভারত। প্রতিপক্ষের সবচেয়ে দামি উইকেট অর্থাৎ ক্যাপ্টেন চামারি আতাপাত্তুকে ফিরিয়ে ম্যাচের ভারতের দখলে আনেন দীপ্তিই। শ্রীলঙ্কার কোনও ব্যটার ৫০-র কোটা পেরোতে পারেননি। ২১১ রানেই শেষ শ্রীলঙ্কা ইনিংস। দীপ্তি শর্মা ৩ উইকেট, স্নেহ রানা ও শ্রী চরণী নেন দুটি করে উইকেট।