
নয়াদিল্লি : অপেক্ষার অবসান আগামী মার্চেই। মেয়েদের আইপিএলের (Women’s IPL) প্রথম সংস্করণ হতে চলেছে। এত দিন তিন দলীয় একটি টুর্নামেন্ট করত ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (BCCI)। মেয়েদের পূর্ণাঙ্গ আইপিএল শুরু করা নিয়ে বহুদিন থেকেই পরিকল্পনা চলছিল। বিদায়ী বোর্ড সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, আগামী বছর থেকেই শুরু হবে মেয়েদের (Women’s Cricket) আইপিএল। বোর্ড সূত্রে খবর, আগামী মার্চে পাঁচ দলীয় মেয়েদের আইপিএল হবে। পুরুষদের আইপিএলের আগে হবে মেয়েদের টুর্নামেন্ট। সব মিলিয়ে ২০ ম্যাচের প্রতিযোগিতা।
বোর্ডের পক্ষ থেকে সরকারিভাবে এখনও ঘোষণা হয়নি। তবে সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের খবর অনুযায়ী, পাঁচ দলের আইপিএল হবে আগামী মার্চেই। প্রতিটি দল পরস্পরের বিরুদ্ধে দু-বার খেলবে। গ্রুপ পর্বে শীর্ষে থাকা দল সরাসরি ফাইনালে জায়গা করে নেবে। ২ ও ৩ নম্বরে থাকা দল এলিমিনেটর খেলবে। জয়ী দল ফাইনালে। প্রতিটি দল একাদশে সর্বাধিক পাঁচজন বিদেশি ক্রিকেটার রাখতে পারবে। বোর্ডের পরিকল্পনায় রয়েছে-ঘরোয়া এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদের ভারসাম্য রাখা হবে। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, মেয়েদের আইপিএলে পাঁচটি দল খেলবে। প্রতিটি স্কোয়াড সর্বাধিক ১৮ জনের। এর মধ্যে সর্বাধিক ৬ জন বিদেশি ক্রিকেটার রাখা যাবে। একাদশে সর্বাধিক পাঁচ বিদেশি খেলানো যাবে। এর মধ্যে আইসিসি পূর্ণ সদস্য দেশের চারজন এবং সদস্য দেশের একজনকে রাখতে হবে।
অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশ এবং ইংল্যান্ডের দ্য হান্ড্রেড প্রতিযোগিতায় একাদশে তিন জনের বেশি বিদেশি ক্রিকেটার রাখা যায় না। স্কোয়াডে থাকেন সর্বাধিক ১৫ জন ক্রিকেটার। মেয়েদের আইপিএলে হোম-অ্যাওয়ে ভিত্তিতে খেলা হবে না। ম্যাচ সংখ্যা কম থাকাটাই এর কারণ। ক্যারাভান স্টাইলে খেলা হতে পারে। অর্থাৎ একটি ভেনুতে ১০ ম্যাচের পর বাকি ১০ ম্যাচ আরেকটি ভেনুতে। আগামী বছর মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ৯-২৬ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ আফ্রিকায় হবে মেয়েদের টি ২০ বিশ্বকাপ। এর পরই আইপিএল করা হবে। বোর্ডের সূত্র অনুযায়ী, ২০২৩ মেয়েদের আইপিএলে যে দুটি ভেনুতে খেলা হবে, পরবর্তী আইপিএলে অন্য দুটি ভেনু বেছে নেওয়া হবে। সবটাই এখনও অবধি পরিকল্পনার পর্যায়েই রয়েছে। সরকারি ঘোষণার পরই নিশ্চিত হওয়া যাবে। আইপিএলের ধরনে মেয়েদের প্রতিযোগিতায় আর্থিক দিক থেকে অনেকটা উন্নতি হওয়ায় বোর্ড এ বার অতিরিক্ত গুরুত্ব দিয়ে ভাবছে।