উইমেন্স প্রিমিয়ার ফের একবার ফাইনালে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। টুর্নামেন্টের প্রথম সংস্করণে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল হরমনপ্রীত কৌরের টিম। যদিও গত মরসুমে হতাশার পারফরম্যান্স হয়েছিল। এ বার সুযোগ ছিল সরাসরি ফাইনালে জায়গা করে নেওয়ার। গ্রুপের শেষ ম্যাচে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হারে মুম্বই। পয়েন্ট সমান থাকলেও নেট পান রেটে শীর্ষে থাকায় সরাসরি ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছিল দিল্লি ক্যাপিটালস। এলিমিনেটর ম্যাচে রেকর্ড গড়ে ফাইনালে জায়গা করে নিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্সও।
এলিমিনেটরে সর্বাধিক স্কোরের রেকর্ড গড়ল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। ব্রেবোর্ন স্টেডিয়ামে টস জিতে রান তাড়ার সিদ্ধান্ত নেয় গুজরাট জায়ান্টস। সেটাই বড় ভুল হয়ে দাঁড়ায়। শুরুতেই যস্তিকা ভাটিয়ার উইকেট হারালেও এরপর ঝড় তোলেন হেইলি ম্যাথিউজ ও ন্যাট সিবার ব্রান্ট। ১০টি বাউন্ডারি এবং তিনটি ওভার বাউন্ডারিতে ৫০ বলে ৭৭ রান করেন হেইলি ম্যাথিউজ। ন্যাট সিবার ব্রান্ট করেন ৪১ বলে ৭৭। তিনি ১০টি বাউন্ডারি ও ২টি ছয় মারেন। ক্যাপ্টেন হরমনপ্রীত কৌর মাত্র ১২ বলে ৩৬ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলন। ২টি বাউন্ডারি এবং ৪টি ওভার বাউন্ডারি মারেন ক্যাপ্টেন। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ২১৩ রান করে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগের প্লে-অফে এটিই সর্বাধিক স্কোর।
একে এলিমিনেটরের মতো হাইভোল্টেজ ম্যাচ। তার উপর বোর্ডে ২১৪ রানের টার্গেট। গুজরাট জায়ান্টসের স্নায়ুর চাপ ধরে রাখা কঠিন ছিল। মাত্র ৪৩ রানের মধ্যেই ৩ উইকেট হারিয়ে প্রবল চাপে পড়ে গুজরাট জায়ান্টস। তাদের সেই অর্থে কোনও জুটিই গড়তে দেয়নি মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট নিতে থাকে তারা। শেষ অবধি ১৯.২ ওভারে ১৬৬ রানেই অলআউট গুজরাট। ব্যাট হাতে বিধ্বংসী ইনিংস খেলার পর বল হাতে তিন উইকেট হেইলি ম্যাথিউজের।