উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগে পরপর দু-দিন থ্রিলার। টুর্নামেন্টের তৃতীয় সংস্করণ শুরু হয়েছে। প্রথম দিন রয়্যাল চ্য়ালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ২০০ প্লাস রান তাড়া করে ইতিহাস গড়ে। গুজরাট জায়ান্টসের বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক ম্যাচে রিচা ঘোষ আরসিবির জয়ের নায়ক। এ মরসুমের দ্বিতীয় ম্যাচে এ দিন মুখোমুখি হয়েছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ও দিল্লি ক্য়াপিটালস। উদ্বোধনী সংস্করণে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল মুম্বই। এই দু-দলের ম্যাচ সবসময়ই সমানে সমানে লড়াই হয়। এ বারও রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ। শেষ বলে জয় ছিনিয়ে নিল দিল্লি।
দিল্লি ক্য়াপিটালসের ডাগআউটে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। তেমনই মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে ঝুলন গোস্বামী। দুই শিবিরে বাংলা তথা ভারতীয় ক্রিকেটের দুই আইকন। ম্যাচটিও হল আইকনিক। টস জিতে রান তাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল দিল্লিই। শুরুতে ২ উইকেট হারালেও দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ক্যাপ্টেন হরমনপ্রীত কৌর ও অলরাউন্ডার ন্যাট সিবার। হরমন মাত্র ২২ বলে ৪২ রানে ফেরেন। ৫৯ বলে ৮০ রানের অপরাজিত ইনিংস ন্যাট সিবারের। ২০০ করার মতোই পরিস্থিতি ছিল। যদিও মিডল ও লোয়ার অর্ডার তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে। শেষ অবধি ১৯.১ ওভারে ১৬৪ রানেই অলআউট মুম্বই।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এই স্কোর ছোট বলা যায় না। মুম্বইয়ের বোলিং আক্রমণ খুবই ভালো। দিল্লি ক্যাপিটালস সহজ জয়ের দিকেই এগোচ্ছিল। কিন্তু শেষ দিকে পরিস্থিতি জটিল হয়। শেষ ২ বলে ২ রান প্রয়োজন ছিল। সেই পরিস্থিতিতে সেট ব্যাটার নিকি প্রসাদের উইকেট হারায় দিল্লি ক্যাপিটালস। ক্রিজে আসেন পেসার অরুন্ধতী। শেষ ডেলিভারিতে অরুন্ধতী রেড্ডি মিড অফের উপর দিয়ে বল পাঠাতে চেয়েছিলেন। যদিও শটে জোর দিতে পারেননি। মিড অফ ক্লিয়ার করলেও দ্রুত বল ধরে থ্রো কিপারের কাছে। রান আউটের খুব ক্লোজ পরিস্থিতি।
তৃতীয় আম্পায়ার নটআউট ঘোষণা করতেই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ে দিল্লি ক্যাপিটালস। অরুদ্ধতী রেড্ডির সেই দৌড় এবং ২ রান। শেষ বলে ২ উইকেটের অবিশ্বাস্য জয় দিল্লি ক্যাপিটালসের। রাধা যাদব ও অরুন্ধতী রেড্ডির সেই দৌড়ই যেন এই জয়ের নায়ক হয়ে দাঁড়ায়।