
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে এখনও ট্রফি অধরা রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর। তবে উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগের সৌজন্যে ট্রফি জিতেছে আরসিবি। গত সংস্করণেই স্মৃতি মান্ধানার নেতৃত্বে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল তারা। এ মরসুমেও ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নের মতোই খেলছে আরসিবি। প্রথম ম্যাচে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল তারা। এ মরসুমের উদ্বোধনী ম্যাচে গুজরাট জায়ান্টসের বিরুদ্ধে ২০১ রান তাড়া করে জিতেছিল আরসিবি। দ্বিতীয় ম্যাচে স্মৃতি মান্ধানার অনবদ্য ব্যাটিং। দিল্লি ক্যাপিটালসকে ৮ উইকেটে হারাল আরসিবি।
এদিন দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধেও টস জিতে রান তাড়ার সিদ্ধান্ত নেন আরসিবি ক্যাপ্টেন স্মৃতি মান্ধানা। পেস হোক বা স্পিন, কোনওটাতেই পেরে ওঠেনি দিল্লি ক্যাপিটালস ব্য়াটিং আক্রমণ। তার উপর আরসিবির অনবদ্য ফিল্ডিং। দিল্লি ব্যাটিংয়ে কিছুটা ভরসা দেন জেমাইমা রডরিগজ। ২২ বলে ৩৪ রান করেন তিনি। শেষ অবধি ১৯.৩ ওভারে মাত্র ১৪১ রানেই অলআউট দিল্লি। আরসিবির পেসার রেনুকা সিং ঠাকুর ও স্পিনার জর্জিয়া ওয়ারহ্য়াম ৩টি করে উইকেট নেন। এ ছাড়াও দুটি করে উইকেট নিয়েছেন কিম গার্থ ও একতা বিস্ত।
বোর্ডে মাত্র ১৪২ রানের টার্গেট। শুরু থেকেই বিধ্বংসী মেজাজে আরসিবি ক্যাপ্টেন স্মৃতি মান্ধানা। আর এক ওপেনার ড্যানি ওয়্যাট ৩৩ বলে ৪২ রানে ফেরেন। স্মৃতির সঙ্গে এলিস পেরি ক্রিজে যোগ দিলেও কার্যত দর্শকের ভূমিকায় থাকতে হয়। স্মৃতি মান্ধানা মাত্র ২৭ বলে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। বোর্ডে টার্গেট আরও কিছুটা বড় হলে হয়তো সেঞ্চুরিও দেখা যেতে পারত। দলকে জয়ের দোরগোড়ায় পৌঁছে আউট স্মৃতি। ৪৭ বলে ৮১ রান করেন ক্যাপ্টেন।
আরসিবির জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২৯ বলে আর মাত্র ৯ রান। এলিস পেরির সঙ্গে ক্রিজে যোগ দেন গত ম্যাচে আরসিবির জয়ের নায়ক রিচা ঘোষ। একটি বাউন্ডারির পর গত ম্যাচের মতো ছয় মেরে ম্যাচ ফিনিশ করেন রিচা। ১৬.২ ওভারেই ৮ উইকেটে জয়ী আরসিবি। উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগে আরিসিবির এটি টানা পঞ্চম জয়।