
উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগ এ বার চারটি ভেনুতে। মরসুমের শুরুটা হয়েছিল বরোদায়। দুর্দান্ত পারফর্ম করছিল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। ব্যাট হাতে নজর কেড়েছিলেন ক্যাপ্টেন স্মৃতি মান্ধানা। ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলেছিলেন রিচা ঘোষ। তেমনই ধারাবাহিক ভালো পারফর্ম করছেন এলিস পেরি। কিন্তু ঘরে ফিরতেই ফর্ম হারিয়েছে আরসিবি। বেঙ্গালুরুতে ফিরে ধাক্কা খেয়েছিলেন স্মৃতি মান্ধানারা। দ্বিতীয় ম্যাচটি থ্রিলার হয়ে দাঁড়াল। ম্যাচের ফয়সালা হল সুপার ওভারে। টুর্নামেন্টের তৃতীয় সংস্করণ। প্রথম বার সুপার ওভারে ম্যাচের রেজাল্ট। ঘরের মাঠে ঘুরে দাঁড়াতে পারল না আরসিবি। সুপার ওভারে হার।
চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করে আরসিবি। মাত্র ৫৬ বলে এলিস পেরির অপরাজিত ৯০ রানের ইনিংস। ইউপি ওয়ারিয়র্সকে ১৮১ রানের টার্গেট দিয়েছিল আরসিবি। শেষ ২ ওভারে ২৯ রান প্রয়োজন ছিল ইউপি ওয়ারিয়র্সের। কিন্তু হাতে মাত্র ২ উইকেট। এখান থেকে ম্যাচ জেতার আশা ছিল না বললেই চলে। আরসিবির বোলিং লাইন আপের উপর ভরসা রেখেই এ কথা বলা যায়। কিন্তু সোফি এক্লেস্টন হিসেব বদলে দিয়েছিলেন।
সোফি যে ভাবে ব্যাট করছিলেন তাতে ইউপি ওয়ারিয়র্স শিবিরে ফের জয়ের আশা। কিন্তু শেষ ডেলিভারিতে রিচা ঘোষের দুর্দান্ত কিপিং। ম্যাচ টাই হয়। উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে প্রথম সুপার ওভারে গড়ায় ম্যাচ। মহেন্দ্র সিং ধোনি এই মাঠেই ২০১৬ সালে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শেষ বলে দৌড়ে রান আউট করে ম্যাচ জিতিয়েছিলেন। একই মাঠে শেষ বলে ঠিক তেমনই রানআউট করেন রিচা ঘোষ। আরসিবি নতুন সুযোগ পায়।
সুপার ওভারে প্রথমে ব্যাট করে ইউপি ওয়ারিয়র্স। ২-২-ওয়াইডের পর তৃতীয় ডেলিভারিতে কিম গার্থের বোলিংয়ে রিচার গ্লাভসে বল জমা পড়ে। শিনেল হেনরির উইকেট পতনে ক্রিজে সোফি এক্লেস্টন। সঙ্গী গ্রেস হ্যারিস। শেষ বলে স্ট্রাইক পান তিনি। কিন্তু গার্থের আরও একটি ওয়াইড। শেষ বলে সিঙ্গল। আরসিবির টার্গেট দাঁড়ায় ৯ রান। ব্যাটিংয়ে ক্যাপ্টেনের সঙ্গে রিচা ঘোষ। স্ট্রাইকেও রিচা। ডট বলে শুরু সোফির। দ্বিতীয় ডেলিভারিতে জোরালো শট খেললেও উল্টোপ্রান্তের উইকেটে লাগে। সিঙ্গল নিয়ে স্ট্রাইক দেন স্মৃতিকে।
লেগ বিফোর স্মৃতি! রিভিউ নিলেও আত্মবিশ্বাসী দেখায়নি। কিন্তু রিভিউতে দেখা যায় বল লেগ স্টাম্পের বাইরে পড়েছে। প্রথম তিন ডেলিভারিতে মাত্র ১ রান আসায় কঠিন ছিল আরসিবির পরিস্থিতি। চতুর্থ ডেলিভারিতেও সিঙ্গল। শেষ ২ বলে ৭ রান! রিচা স্টেপ আউট করে বড় শট খেলার চেষ্টা করলেও সিঙ্গল। শেষ বলে টার্গেট দাঁড়ায় ৬! স্ট্রাইকে স্মৃতি। চূড়ান্ত নাটক। কিন্তু ফুলটস পেলেও ছয় আসেনি। ম্যাচ সুপার ওভারে নিয়ে গেলেও হার আরসিবির।