
মুম্বই : টানা দ্বিতীয় ম্যাচে জিতল দিল্লি ক্য়াপিটালস। টিম গেম হলেও আলাদা করে বলতে হয় জেস জোনাসনের কথা। ২০ বলে অপরাজিত ৪২ রানের ইনিংস। বল হাতে তিন উইকেট। জেস যেন বাড়তি ‘জোশ’ আমদানি করেছেন দিল্লি শিবিরে। রুদ্ধশ্বাস একটা ম্য়াচের প্রত্য়াশা ছিল। দিল্লি টানা দ্বিতীয় ম্য়াচে ২০০-র বেশি স্কোর গড়ল। ইউপি ওয়ারিয়র্স শুরু এবং শেষটা দারুণ হলেও একটা সময় খেই হারিয়েছিল। ২৯-০ থেকে ৩১-৩ স্কোর হয়ে যাওয়ার পর ঘুরে দাঁড়ানো কঠিন ছিল। দেবিকা বৈদ্য এবং তাহিলা ম্যাকগ্রা জুটি মরিয়া চেষ্টা করে। এই জুটি ভাঙতেই ক্ষীণ আশাও শেষ হয়ে যায়। ম্যাকগ্রা শেষ অবধি লড়াই চালিয়ে যান। ৫০ বলে ৯০ রানে অপরাজিত থাকেন। এই লড়াই যথেষ্ট ছিল না। ৪২ রানে হার ইউপি ওয়ারিয়র্সের। ম্য়াচের সেরা অবশ্য দিল্লির অলরাউন্ডার জেস জোনাসনই। ম্যাচ শেষের মন্তব্য বিস্তারিত TV9Bangla-য়।
ম্যাচের সেরা জেস জোনাসন বলেন, ‘এই ম্যাচে ব্য়াটিংটা একটু ভালো করেছি। বল হাতে তিনটে উইকেট নিলেও অনেকটা রান দিয়ে ফেলেছি। দিল্লি ক্যাপিটালসের আবহটা উপভোগ করছি। আমি ব্যাটিংটাই বেশি উপভোগ করি। ঘরোয়া ক্রিকেটেও ব্য়াটিং ভালো করি। এখানকার পিচে ব্য়াট করে আনন্দ পেয়েছি।’ জাতীয় দলে প্রতিপক্ষ অ্যালিসা হিলিকে বোলিং করতে হয়েছে। শুধু তাই নয়, হিলিকে আউটও করেন জেস। সেই অনুভূতি প্রসঙ্গে জেস বলেন, ‘নেটে ও আমার বোলিংয়ে প্রচুর শট খেলে। সতীর্থদের বিরুদ্ধে খেলাটা উপভোগ করছি।’
দিল্লি অধিনায়ক মেগ ল্য়ানিং বলেন, ‘টুর্নামেন্টের শুরুটা খুবই ভালো হল। ব্য়াটিংয়ের দিক থেকে অনবদ্য। জেস এবং জেমাইমা অনবদ্য জুটি গড়েছে। বোলিংয়ের দিক থেকে আমাদের শুরুটা ভালো হয়েছে। ব্য়ক্তিগত পারফরম্যান্স নিয়ে বলব, ভারতে ব্য়াটিং বরাবরই পছন্দ করি। এখানকার পিচ এবং আউটফিল্ড খুবই ভালো।’ টানা দ্বিতীয় ম্যাচে ২০০-র বেশি স্কোর গড়েছে দিল্লি। এ প্রসঙ্গে মেগ বলেন, ‘এটা কোনও চমক নয়। সম্প্রতি অজি দল যখন ভারত সফরে আসে, সে সময়ও হাইস্কোরিং ম্যাচ হয়েছিল। একই স্টেডিয়ামে বেশ কিছু ম্য়াচ হওয়ার পর হাইস্কোরিং হয় কী না, সেটা দেখতে হবে।’