
কলকাতা : উদ্বোধনী উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগের অকশন সম্পূর্ণ হয়েছে। সব মিলিয়ে পাঁচটি ফ্র্যাঞ্চাইজি দলে ৯০ জন ক্রিকেটারের সুযোগ হত। নিলামে দল পেলেন ৮৭ জন। নিলামের জন্য় বিভিন্ন দেশের ক্রিকেটারই রেজিস্ট্রেশন করেছিলেন। এর মধ্যে আইসিসি সহযোগী দেশের ক্রিকেটারও ছিলেন। ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে যেমন পরিচিত মুখ ছিল, তেমনই অনেক অপরিচিত মুখও। পাঁচটি ফ্র্য়াঞ্চাইজি অংশ নেবে উদ্বোধনী উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগে। কোন দল কেমন হল, এক নজরে দেখে নেওয়া যাক। বিস্তারিত TV9Bangla-য়।
রয়্যালস চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর
সর্বাধিক ১৮ জনের স্কোয়াড গড়া যেত, আরসিবি তাই করেছে। সব মিলিয়ে খরচ করেছে ১১.৯ কোটি। ছেলেদের আইপিএলের মতো উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগেও ব্র্যান্ড ধরে রাখল তারা। ছেলেদের আইপিএলে বিরাট কোহলি, এবি ডিভিলিয়ার্স, ক্রিস গেইলের মতো সুপারস্টার খেলেছেন। বিরাট এখনও খেলেন। তেমনই মেয়েদের টিমেও তারা নিল স্মৃতি মন্ধানা, চার বারের বিশ্বকাপ জয়ী অলরাউন্ডার এলিস পেরি, দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন অধিনায়ক ড্য়ান ভ্য়ান নিকার্ক, নিউজিল্য়ান্ড অধিনায়ক সোফি ডিভাইনকে নিয়েছে তারা। দলে রয়েছেন সদ্য অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ জয়ী রিচা ঘোষ, যিনি ভারতের সিনিয়র দলেও খেলছেন দীর্ঘ সময়। তাঁর মতো বিধ্বংসী ব্যাটার ভারতীয় ক্রিকেটে খুব কমই রয়েছেন। সব দিক থেকেই শক্তিশালী দল গড়েছে। তবে এই দলে দুর্বলতাও ধরা যেতে পারে। ড্য়ান ভ্য়ান নিকার্কের মতো লেগ স্পিনার থাকলেও ভারতীয় কোনও লেগ স্পিনার নেই দলে।
মুম্বই ইন্ডিয়ান্স
মুম্বই ১৭ জনের স্কোয়াড গড়েছে। খরচ করেছে মোট ১২ কোটি। জাতীয় দলের অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌর, ইংল্য়ান্ডের অলরাউন্ডার নাতালি সিবার এবং ভারতীয় দলের অলরাউন্ডার পূজা বস্ত্রকারকে। দলে অলরাউন্ডারের সংখ্য়া বেশি। ফলে মুম্বইয়ের ব্য়াটিং গভীরতা খুবই ভালো। দুর্বলতার ক্ষেত্রে বলা যায়, যস্তিকা ভাটিয়াকে উইকেট কিপিং পজিশনে খেলানোর ভাবনা রয়েছে মুম্বইয়ের। তিনি অবশ্য় নিয়মিত কিপিং করেন না। যস্তিকা কোনও ম্যাচে খেলতে না পারলে বিকল্প ব্য়বস্থা নেই বললেই চলবে।
গুজরাট জায়ান্টস
গুজরাটও ১৮ জনের স্কোয়াড গড়েছে। খরচ করেছে মোট ১১.৫ কোটি। গুজরাট জায়ান্টেসের বড় প্রাপ্তি অজি অলরাউন্ডার অ্যাশলে গার্ডনার, ওয়েস্ট ইন্ডিজের দিয়েন্দ্র ডটিন, বেথ মুনি, হরলিন দেওলরা। দিয়েন্দ্র ডটিন এবং অ্যানাবেল সাদারল্য়ান্ড, পেস বোলিং অলরাউন্ডার দু-জনই অবশ্য় বিদেশি। তেমনই ব্য়াটিংয়ের ক্ষেত্রে হরলিন, হেমলতা এবং সাব্বিনেনি মেঘনা বাদে ভারতীয় ব্য়াটারের বিকল্প তেমন নেই।
ইউপি ওয়ারিয়র্স
ছ’জন বিদেশি ক্রিকেটার এবং ১০ জন ভারতীয় ক্রিকেটরা নিয়ে ১৬ জনের স্কোয়াড গড়েছে তারা। খরচ হয়েছে ১২ কোটি। স্কোয়াডে রয়েছেন অ্যালিসা হিলির মতো বিধ্বংসী ওপেনার তথা দক্ষ উইকেটকিপার। দীপ্তি শর্মার মতো অলরাউন্ডার। কিরণপ্রভু নবগীরের মতো পাওয়ার হিটার, টি-টোয়েন্টি ফরম্য়াটে সেরা বোলার সোফি এক্লেস্টন রয়েছেন। অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপে নজরকাড়া লেগ স্পিনার পার্শ্ববী চোপড়া, ব্য়াটিংয়ে ভারতীয়দের মধ্যে সর্বাধিক রান সংগ্রাহক শ্বেতা শেরাওয়াতকে নিয়েছে তারা। দুর্বলতা, মিডল অর্ডার ব্য়াটার। কিরণ নবগীরে পাওয়ার হিটার, তবে তাঁর উপর ভরসা করা কঠিন।
দিল্লি ক্য়াপিটালস
অন্য়তম ব্য়ালান্স স্কোয়াড গড়েছে দিল্লি ক্য়াপিটালস। মেগ ল্যানিং, জেমাইমা রডরিগজ, শেফালি ভার্মা, মারিজানে কাপ। একঝাঁক পরিচিত এবং দক্ষ ক্রিকেটার দলে। রয়েছেন অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ জয়ী পেসার তিতাস সাধুও। অস্ট্রেলিয়ার অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার জেস জোনাসন এবং ভারতীয় পেস বোলিং অলরাউন্ডার শিখা পান্ডের উপস্থিতি বাড়তি ভরসা দেবে দিল্লিকে।