
দলীপ ট্রফি চ্যাম্পিয়ন সেন্ট্রাল জোন! এখনই অবশ্য় বলা যায় না। ক্রিকেট অনিশ্চয়তার খেলা, অঘটন হতে পারে! এমন অনেক কিছুই ভাবা যায়। তবে ট্রফিতে এক হাত দিয়ে রেখেছে সেন্ট্রাল জোন, ম্যাচের পরিস্থিতি বিচার করে তা বলাই যায়। ক্যাপ্টেন রজত পাতিদারের সেঞ্চুরি এবং যশ রাঠোরের বিশাল স্কোরের সৌজন্যে ইনিংসে জেতার মতো পরিস্থিতিতে সেন্ট্রাল জোন। এর জন্য বোলিংয়ে আরও ভালো হতে হবে। প্রথম ইনিংসের মতো বোলাররা দুর্দান্ত পারফর্ম করলে রজত পাতিদারদের থেকে এই ম্যাচ হাতছাড়া হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই।
প্রথম ইনিংসে সারাংশ জৈন ও কুমার কার্তিকেয়র স্পিন জুটিতে সাউথ জোন বেসামাল হয়ে পড়ে। মাত্র ১৪৯ রানেই শেষ সাউথ জোন। জবাবে ৫১১ রানের বিশাল স্কোর গড়ে সেন্ট্রাল জোন। ছন্দে থাকা ওপেনার দানিশ মালেবর হাফসেঞ্চুরি করেন। মিডল অর্ডারে ক্যাপ্টেন রজত পাতিদার (১০১) এবং যশ রাঠোরের ১৯৪ রান। অল্পের জন্য ডাবল সেঞ্চুরি মিস যশের। তবে দলের লিড ২৫০ পেরিয়ে যেতে সহযোগিতা করে যশের এই দুর্দান্ত ইনিংস।
বল হাতে অনবদ্য পারফরম্যান্সের পর ব্যাটিংয়েও অবদান রাখেন সারাংশ জৈন। ৬৯ রানের ধৈর্যশীল এবং মজবুত ইনিংস খেলেন সারাংশ। এ ছাড়াও সহযোগিতা করেন দীপক চাহার। দ্বিতীয় ইনিংসে তুলনামূলক ভালো ব্যাটিং সাউথ জোনের। দুই ওপেনার তন্ময় আগরওয়াল এবং মোহিত কালে অবশ্য আউট হয়ে ফিরেছেন। দিনের শেষে ক্রিজে রবিচন্দ্রন স্মরণ এবং রিকি ভুই। স্মরণ দুর্দান্ত ব্য়াটার। তাঁর ব্যাটে বড় রান এলে অন্তত ইনিংস হার এড়ানো সম্ভব সাউথ জোনের। এ ছাড়াও ক্যাপ্টেন মহম্মদ আজহারউদ্দিন এখনও ডাগআউটে রয়েছে। তবে ২৩৩ রানে পিছিয়ে রয়েছে সাউথ জোন। কাজটা সহজ নয়।