Yashasvi Jaiswal : কাকভোরে ছেলের ভিডিয়ো কল, যশস্বীর সেঞ্চুরির পর বৈদ্যনাথ ধাম যাত্রায় ভূপেন্দ্র জয়সওয়াল
Yashasvi Jaiswal Century : ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টেস্ট অভিষেক হয়েছে যশস্বী জয়সওয়ালের। প্রথম আন্তর্জাতিক টেস্ট ম্যাচে শতরান হাঁকিয়েছেন দেশের এই ব্যাটিং সেনসেশন। দেশের সবচেয়ে কনিষ্ঠ ওপেনার হিসেবে ডেবিউ ম্যাচে ১৫০ রানের নজির গড়েছেন যশস্বী।
কলকাতা : ডমিনিকায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টেস্ট ম্যাচ চলাকালীন যখন সারাদিন শেষে ড্রেসিংরুমে ফিরতেন, ভারতীয় সময় অনুযায়ী তখন ভোর তিনটে। কেরিয়ারের প্রথম আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শতরানের পর তাই হয়তো বাড়িতে ফোন করতে ইতস্ততবোধ করছিলেন যশস্বী জয়সওয়াল। কিন্তু পরিবারের লোকজন তো জেগে। অবশেষে ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ ছেলের ভিডিয়ো কল আসে ভূপেন্দ্র জয়সওয়ালের ফোনে। মুঠোফোনের ওপারে সমানে কেঁদে চলেছেন যশস্বী (Yashasvi Jaiswal)। ফোনের এপারে থাকা মানুষগুলোর চোখেও আনন্দাশ্রু। ছেলের সঙ্গে কথা বলার পরই কয়েকটা দিনের জন্য দোকানের ভার অন্যকে দিয়ে বৈদ্যনাথ ধামের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন ভূপেন্দ্র। সেঞ্চুরির পর ডমিনিকায় ডবল সেঞ্চুরির দিকে এগোচ্ছিলেন যশস্বী। অভিষেক টেস্টে ডবল সেঞ্চুরির গণ্ডি ছোঁয়ার আগেই প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয় তাঁকে। দ্বিতীয় টেস্টে ছেলের ব্যাটে দ্বিশতরান দেখতে চান। বৈদ্যনাথ ধামের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার আগে বলে গিয়েছেন তাঁর বাবা ভূপেন্দ্র জয়সওয়াল। বিস্তারিত রইল TV9 Bangla Sports এর এই প্রতিবেদনে।
উত্তরপ্রদেশের ভাদোহির ছেলে যশস্বী ক্রিকেটে কেরিয়ার গড়তে খুব কম বয়সে মুম্বই চলে গিয়েছিলেন। মুম্বইয়ে জয়সওয়ালের সংগ্রামের কথা এখন আর কারও অজানা নয়। খরচ জোগাতে ফুচকা বেচেছেন। থাকতেন তাঁবুতে। সেই কঠিন দিনগুলো পেরিয়ে আজ সাফল্যের উড়ানে ভর করে এগোচ্ছেন যশস্বী। তাঁর পরিবার এখনও ভাদোহিতেই থাকে। একটি পেইন্টের দোকান রয়েছে ভূপেন্দ্র জয়সওয়ালের। হিন্দুস্থান টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, “যশস্বী ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ ফোন করেছিল। ও কিছুতেই চোখের জল আটকাতে পারছিল না। আমিও কাঁদছিলাম। ভীষণ আবেগপ্রবণ মুহূর্ত ছিল সেটি। ভীষণ ক্লান্ত থাকায় বেশিক্ষণ কথা বলতে পারেনি। ও কাঁদতে কাঁদতে আমাকে জিজ্ঞেস করে, বাবা তুমি খুশি তো?”
ছেলের শতরানের পর ঝাড়খণ্ড স্থিত বাবা বৈদ্যনাথ ধামের উদ্দেশে রওনা দেন ভূপেন্দ্র জয়সওয়াল। পবিত্র শ্রাবণ মাসে বাবা ভোলেনাথের মাথায় জল ঢালতে গেরুয়া বসন পরে রওনা দেন তিনি। প্রথমে তিনি বারাণসী গিয়েছেন। সেখান থেকে বৈদ্যনাথ ধাম যাবেন। প্রতিবারই যান। তবে এ বার ছেলের দ্বিশতরানের প্রার্থনা নিয়ে ভোলেবাবার দ্বারস্থ হয়েছেন ভূপেন্দ্র জয়সওয়াল।