কলকাতা : ইডেন গার্ডেন্সে অনবদ্য একটা ইনিংস। এ যেন স্বপ্নের মরসুম চলছে। ২০২০ সালে আইপিএলে অভিষেক হয় যশস্বী জয়সোয়ালের। সে বছরই অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ খেলে এসেছিলেন যশস্বী। সে বারের বিশ্বকাপে রানার্স হয় ভারত। টুর্নামেন্টের সর্বাধিক রান স্কোরার ছিলেন যশস্বী। আইপিএলের অভিষেক মরসুমে অবশ্য মাত্র তিনটি ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন যশস্বী। মাত্র ৪০ রান করেছিলেন। এর মধ্যে এক ম্যাচেই করেছিলেন ৩৪ রান। ২০২১ সালের আইপিএলে ১০ ম্যাচে ২৪৯ রান করেছিলেন যশস্বী। যদিও অর্ধশতরানের সংখ্যা ছিলে একটি। এ বার অনেক পরিণত ক্রিকেট খেলছেন। আরও একটা নতুন নজিরের হাতছানি তাঁর সামনে। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
বৃহস্পতিবার রাতে ইডেন গার্ডেন্সে মরসুমের দ্বাদশ ম্যাচে নেমেছিল রাজস্থান রয়্যালস। সব দিক থেকেই তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ ছিল এটি। কলকাতায় আসার আগে শেষ আধডজন ম্যাচের মধ্যে ৫টিই হেরেছিল রাজস্থান রয়্যালস। প্লে-অফের দৌড়ে টিকে থাকতে হলে এই ম্যাচে জিততেই হত। একই পরিস্থিতি ছিল কলকাতা নাইট রাইডার্সের। দু-দলেরই মরণ-বাঁচন ম্যাচ। বাজিমাত করল রাজস্থান। এর মধ্যে জোড়া নজির। যুজবেন্দ্র চাহাল আইপিএলের ইতিহাসে সর্বাধিক উইকেট সংগ্রাহক হলেন। তেমনই আইপিএলের ইতিহাসে দ্রুততম অর্ধশতরানের নজির যশস্বীর। মাত্র ১৩ বলে হাফসেঞ্চুরি। অল্পের জন্য আইপিএল কেরিয়ার এবং এ বারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি এল না। মাত্র ৪৭ বলে ৯৮ রানে অপরাজিত থাকেন। এ মরসুমে ইতিমধ্যেই ১২ ম্যাচে যশস্বীর সংগ্রহ ৫৭৫ রান। আর চাই ৪২ রান। কোন নজিরের সামনে যশস্বী!
আনক্যাপড প্লেয়ারদের মধ্যে আইপিএলের এক মরসুমে সবচেয়ে বেশি রানের নজির রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার শন মার্শের। আইপিএলের উদ্বোধনী মরসুম ২০০৮ সালে ৬১৬ রান করেছিলেন শন মার্শ। তালিকায় আপাতত দ্বিতীয় স্থানে যশস্বী। তার হাতে এখনও অন্তত ২ ম্যাচ বাকি। প্লে-অফে গেলে আরও বড় স্কোরের সম্ভাবনা রয়েছে। এ দিনের ৯৮ রানের ইনিংসেই দ্বিতীয় স্থানে উঠে এলেন। ২০২০ সালের আইপিএলে ঈশান কিষাণ এবং সূর্যকুমার যাদব করেছিলেন যথাক্রমে ৫১৬ ও ৪৮০ রান। ২০১৮ সালের আইপিএলে সূর্য করেছিলেন ৫১২ রান। এ বার যশস্বীর কাছে সুযোগ রয়েছে শন মার্শকে ছাপিয়ে যাওয়ার।