
কলকাতা : কয়েক দিন আগেই হল আগামী আইপিএলের মিনি অকশন। চোখ ছানাবড়া করে দেওয়ার মতোই দর উঠল ইংল্যান্ডের অলরাউন্ডার স্যাম কারানের। পঞ্জাব কিংস তাঁকে নেয় ১৮.৫ কোটিতে। আইপিএলের ইতিহাসে নিলামে সর্বাধিক দরের নজির গড়লেন স্যাম। অজি অলরাউন্ডার ক্যামেরন গ্রিনের দাম উঠল ১৭ কোটি! প্রত্য়াশিতভাবেই বিদেশি ক্রিকেটারদের এত দর। ভারতীয় ক্রিকেটারদের ক্ষেত্রে নিলামে হাতে গোনা কয়েকটি উল্লেখযোগ্য দর উঠল। দু-একজন তরুণ এবং নতুন ক্রিকেটারের দর অবশ্য সাড়া জাগানোর মতোই। যেমন বাংলার পেসার মুকেশ কুমারকে ৫.৫ কোটিতে নিয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস। তবে আইপিএল ভারতীয় ক্রিকেটের লাভ না ক্ষতি, এই বিতর্ক অবশ্য় থাকবেই। কেন এই বিতর্ক! বছর শেষে বিশ্লেষণে TV9Bangla।
এই বিতর্ক আগেও হয়েছে, পরবর্তীতেও হয়তো হবে। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের জনপ্রিয়তায় কোনও খামতি নেই। মাঠের দর্শক কিছু ক্ষেত্রে কমলেও টেলিভিশন, ওটিটি মাধ্যমে ভিউয়ারশিপ বেড়েছে। গত মরসুম থেকে আইপিএলে দল এবং দর দুই বেড়েছে। এ বার আইপিএলের সম্প্রচার স্বত্ব প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকায় বিক্রি করেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। ১০ দলের আইপিএলে গত বার অভিষেকেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে হার্দিক পান্ডিয়ার নেতৃত্বাধীন গুজরাট টাইটান্স। পুরো টুর্নামেন্টে নজর কেড়েছেন অনেকেই। তালিকায় রয়েছেন বেশ কিছু তরুণ ক্রিকেটার। আইপিএলে ভালো পারফরম্য়ান্সের জেরে জাতীয় দলেও জায়গা করে নিয়েছেন অনেক ক্রিকেটার। এই যুক্তিতে, আইপিএলকে কি ভারতীয় ক্রিকেটের জন্য লাভ বলা যায়?
অনেকের মত অবশ্য উল্টো। আইপিএল টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট। বিশ্বের সেরা ফ্র্য়াঞ্চাইজি ক্রিকেট লিগ। এখানে শুধু বিদেশি ক্রিকেটাররাই খেলেন তা নয়। প্রচুর ভারতীয় ক্রিকেটার খেলেন, নজরকাড়া পারফরম্য়ান্সও করেন। তাহলে টি-টোয়েন্টি ফর্ম্য়াটে সুপার-পাওয়ার হয়ে ওঠার কথা ভারতের। দ্বিপাক্ষিক সিরিজে ভারতকে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সুপার পাওয়ার খানিকটা হলেও বলা যেতে পারে। তবে আইসিসি টুর্নামেন্টে? ভারত একবারই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছে। ২০০৭ সালে উদ্বোধনী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এরপর থেকে শুধু অপেক্ষা আর অপেক্ষা। ২০০৮ সালে শুরু হয় আইপিএল। প্রতি বছরই কোনও এক দল চ্যাম্পিয়ন হয়। নতুন ক্রিকেটার উঠে আসে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের অপেক্ষা কিন্তু শেষ হয়নি। এ বারও সেমিফাইনালেই বিদায় নিয়েছে ভারত। তাও আবার ইংল্য়ান্ডের কাছে ১০ উইকেটের হারে।
আইপিএল আসবে যাবে, যতদিন না টি-টোয়েন্টি ফর্ম্যাটে জাতীয় দল আরও একটা বিশ্বকাপ জিতবে, এই বিতর্ক হয়তো চলতেই থাকবে…।