Yuzvendra Chahal : মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, কথা রাখেনি আরসিবি…বিস্ফোরক যুজবেন্দ্র চাহাল
আরসিবির রিটেনড প্লেয়ারদের মধ্যে যুজবেন্দ্র চাহালের নাম না থাকা অবাক করেছিল। মনে করা হয়েছিল, নিলামের টেবলে দলের সেরা বোলারদের জন্য ঝাঁপাবে আরসিবি। কিন্তু সে গুড়ে বালি।
কলকাতা : ২০২২ মেগা নিলামের আগে মাত্র তিনজনকে রিটেন করেছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। বিরাট কোহলি, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, মহম্মদ সিরাজ। নিলামের টেবলে তারা তুলে দেয় দলের সবচেয়ে বেশি উইকেট নেওয়া বোলার যুজবেন্দ্র চাহালকে (Yuzvendra Chahal)। আট বছর আরসিবির জার্সিতে সময় কাটানোর পরও তাঁকে রিটেন না করায় ভীষণ অবাক হয়েছিলেন চাহাল। কারণ আটটা বছর যে ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে খেলেছেন মেগা নিলামের আগে সেই টিমের ম্যানেজমেন্ট থেকে একটি ফোনও আসেনি। দলের হয়ে সেরাটা উজাড় করে দেওয়ার পরও এমন ব্যবহার ভীষণ কষ্ট দিয়েছিল তাঁকে। একটি সাক্ষাৎকারে স্ত্রী ধনশ্রী ভার্মার পাশে বসে সেই অপমানিত অধ্যায়কে সামনে আনলেন যুজবেন্দ্র চাহাল। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ম্যানেজমেন্টকে নিয়ে উগরে দিলেন ক্ষোভ। বিস্তারিত রইল TV9 Bangla Sports এর এই প্রতিবেদনে।
আরসিবির রিটেনড প্লেয়ারদের মধ্যে যুজবেন্দ্র চাহালের নাম না থাকা অবাক করেছিল। মনে করা হয়েছিল, নিলামের টেবলে দলের সেরা বোলারদের জন্য ঝাঁপাবে আরসিবি। কিন্তু সে গুড়ে বালি। চাহালের পরিবর্তে ১০ কোটি টাকারও বেশি মূল্য দিয়ে শ্রীলঙ্কার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাকে কিনে নেয় আরসিবি। আট বছরের পুরনো ফ্র্যাঞ্চাইজির এমন উপেক্ষা ভীষণ কষ্ট দিয়েছিল চাহালকে। সম্প্রতি রণবীর এলাহাবাদিয়ার পডকাস্ট ‘দ্য রণবীর শো’-তে এসেছিলেন চাহাল। সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী ধনশ্রী। প্রাক্তন ফ্র্যাঞ্চাইজির প্রতি ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি বলেছেন, “আরসিবির হয়ে ১৪০টি ম্যাচ খেলেছি। অথচ ওদের কাছ থেকে কোনওরকম যোগাযোগ করা হয়নি। ওরা কথা দিয়েছিল যে আমার জন্য ঝাঁপাবে। কথা না রাখায় খুব রেগে গিয়েছিলাম। ওখানে ৮ বছর খেলেছি। চিন্নাস্বামী আমার প্রিয় মাঠ।”
উঠতি ক্রিকেট প্রতিভা হিসেবে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর টিমে যোগ দিয়েছিলেন চাহাল। আটবছর পর যখন দল তাঁকে ছেড়ে দিল ততদিনে মহীরূহ হয়ে উঠেছেন। জাতীয় দলে পা রেখেছেন। চাহালের কাছে আরসিবি হয়ে উঠেছিল পরিবারের মতো। কিন্তু ম্যানেজমেন্টের মিথ্যে প্রতিশ্রুতি তাঁকে এখনও কষ্ট দেয়। তিনি বলেছেন, “নিশ্চিতভাবে আমি খুব কষ্ট পেয়েছিলাম। আমার সূচনা হয়েছিল আরসিবি থেকে। আটটা বছর কাটিয়েছি। আরসিবি আমাকে সুযোগ দিয়েছিল যে কারণে জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছিলাম। প্রথম ম্যাচ থেকেই বিরাট ভাইয়া ভরসা দিয়েছিলেন। খারাপ লাগে কারণ আট বছর কোনও দলে কাটানোর পর সেটা পরিবার হয়ে ওঠে। “