সাগর-কাণ্ডে নয়া মোড়, মোস্ট ওয়ান্টেড গ্যাংস্টার জাঠেড়ির সঙ্গে যোগ সুশীলের

সুশীলের (Sushil Kumar) এই ঘটনা সিনেমাকেও হার মানাবে। ছত্রসাল স্টেডিয়ামের বাইরে দুই দল কুস্তিগিরের (Wrestler) মারামারিতে ৫ মে মারা গিয়েছিলেন সাগর (Sagar Rana)। ওই ঘটনাতে মারাত্মক চোট পেয়েছিলেন সনু (Sonu) নামে এক কুস্তিগির। যিনি আবার জাঠেড়ির (Jathedi) ভাইপো। ছেলের মতোই ভাইপোকে ভালোবাসে জাঠেড়ি (Jathedi)।

সাগর-কাণ্ডে নয়া মোড়, মোস্ট ওয়ান্টেড গ্যাংস্টার জাঠেড়ির সঙ্গে যোগ সুশীলের
সুশীল কুমারকে নিয়ে এবার চাঞ্চল্যকর তথ্য। ছবি: টুইটার
Follow Us:
| Updated on: May 24, 2021 | 3:23 PM

নয়াদিল্লি: সুশীল কুমারকে (Sushil Kumar) নিয়ে এবার এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। ভারত থেকে ফেরার এক গ্যাংস্টার কালা জাঠেড়ির সঙ্গেও যোগ রয়েছে দু’বারের অলিম্পিক পদকজয়ীর। শুধু তাই নয়, সাগর ধনকড়ের মৃত্যু নিয়ে বিন্দুমাত্র বিচলিত নন তিনি। বরং দুবাইয়ে আত্মগোপন করে থাকা মোস্ট ওয়ান্টেড অপরাধী জাঠেরির সঙ্গে সম্পর্কে ফাটল ধরেছে সুশীলের। যা বেশ চাপে ফেলে দিয়েছে তাঁকে। পুলিশ নয়, গত ১৮ দিন জাঠেরির লোকজন থেকেই পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন সুশীল। সুশীলের (Sushil Kumar) এই ঘটনা সিনেমাকেও হার মানাবে। ছত্রসাল স্টেডিয়ামের বাইরে দুই দল কুস্তিগিরের (Wrestler) মারামারিতে ৫ মে মারা গিয়েছিলেন সাগর (Sagar Rana)। ওই ঘটনাতে মারাত্মক চোট পেয়েছিলেন সনু (Sonu) নামে এক কুস্তিগির। যিনি আবার জাঠেড়ির (Jathedi) ভাইপো। ছেলের মতোই ভাইপোকে ভালোবাসে জাঠেড়ি (Jathedi)। দিল্লি, হরিয়ানা ও পঞ্জাবের যাবতীয় বেআইনী কাজ সামলায় সে-ই। খুন, ডাকাতি, রাহাজানি সহ অসংখ্য মামলায় অভিযুক্ত সনু। ঝামেলার দিন সাগরের পাশাপাশি সুশীলের হাতে প্রবল মার খেয়েছিলেন সনুও। ঘটনা গড়াতে থাকে সেখান থেকেই।

আরও পড়ুন: গেমসকে নিরাপদ করতে প্রতিষেধক দেওয়া শুরু টোকিওতে

কালা জাঠেড়ির কনস্ট্রাকশনের ব্যবসা বেনামে দেখে সনুই। এই ব্যবসাতে জড়িয়ে ছিলেন সুশীলও। দিল্লি মডেল টাউনে একটি ফ্ল্যাটকে ঘিরেই ঝামেলার সূত্রপাত। পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পেরেছে, ওই ফ্ল্যাট বিক্রি করা নিয়েই বিশ্বাস ভেঙেছে দুই পক্ষের। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ওই ফ্ল্যাটের অর্ধেক দাম পাওয়ার কথা সুশীলেরও। কিন্তু জাঠেড়ির লোকজন তা দখল করে রাখায় তা তিনি পাননি। যার পর থেকে জাঠেড়ির বিরোধী গ্যাংয়ের সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলেন অলিম্পিয়ান কুস্তিগির। তার পর থেকেই দু’পক্ষ একে অপরকে ঝামেলায় ফেলার সুযোগ খুঁজছিল। সুশীল সেটাই পেয়ে যান ৫ মে। ওইঅ ঘটনায় জড়িয়ে পড়া সনুকে বেধড়ক মেরেছিলেন তিনি। সাগর ধনকড় হত্যাকাণ্ডে কতটা জড়িত সুশীল কুমার, তা তদন্তের দায়ভার দেওয়া দিল্লি ক্রাইম ব্রাঞ্চকে। গত ৫ মে ছত্রসাল স্টেডিয়ামের সামনে দুই দল কুস্তিগির মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন। ওই ঘটনায় মারা গিয়েছেন ২৩ বছরের রেসলার সাগর। তারপর থেকেই ফেরার ছিলেন সুশীল। দিল্লি-হরিয়ানা বর্ডার থেকে সম্প্রতি তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে দেখা গিয়েছে, টাকা আদায়ের জন্য ফ্ল্যাট বিক্রি করতে চান দিচ্ছিলেন সুশীল। সাগর সহ বেশ কয়েকজন কুস্তিগির সেখানে থাকতেন। তাঁদের ফ্ল্যাট খালি করতে বলেছিলেন সুশীল। কিন্তু তা না করে অলিম্পিয়ান কুস্তিগিরকে প্রকাশ্যে হুমকি দিয়েছিলেন সনু ও তার দলবল। ওই ঘটনার পর থেকে প্রচন্ড ক্ষিপ্ত ছিলেন সুশীল। তিনিও সুযোগ খুঁজছিলেন পাল্টা। জাঠেড়ি এবং তার লোকজন অবশ্য ভাবেনি সুশীল ও তাঁর দলবল হামলা চালাতে পারে। ৫ মে ঘটনার দিন সুশীল সাগর ও সনুর উপর হামলা চালান। তাতেই মারা যান সাগর। মারাত্মক আহত হয় সনু। তার পর থেকেই পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন সুশীল। পুলিশের একটি সূত্র বলছে, গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকেই সুশীল প্রাণহানীর আশঙ্কায় ভুগছেন। জেঠেড়ির সঙ্গে পালিয়ে বেড়ান ১৮ দিনের মধ্যে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তা হয়নি। উল্টে জাঠেড়ির লোকজনও তাঁকে হন্যে হয়ে খুঁজছিল। বদলা নেওয়ার জন্য। সাগর হত্যাকাণ্ড মামলার তদন্তে নেমে পুলিশ প্রথমে বুঝতেই পারেনি, এর গভীরে লুকিয়ে রয়েছে অন্য ঘটনা। যা জানার পর রীতিমতো চমকে গিয়েছে তারাও। আপাতত সুশীলের ঘটনা তদন্ত করার দায়ভার দেওয়া হয়েছে দিল্লি ক্রাইম ব্রাঞ্চের উপর।