AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

গেমসকে নিরাপদ করতে প্রতিষেধক দেওয়া শুরু টোকিওতে

টোকিওতে গেমস হওয়া উচিত কিনা, তা নিয়ে জনমত এখনও থামেনি। অলিম্পিকের দু'মাস আগেও সংখ্যা গরিষ্ঠ মনে করছে, দেশবাসীর কথা ভেবে সরকারের উচিত গেমস বাতিল করা। কিন্তু যে পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে রয়েছে জাপান সরকার ও আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি, তাতে কোনও ভাবেই গেমস বাতিল করার সম্ভাবনা নেই

গেমসকে নিরাপদ করতে প্রতিষেধক দেওয়া শুরু টোকিওতে
ছবি-টুইটার
| Updated on: May 24, 2021 | 1:21 PM
Share

টোকিও: অলিম্পিকের জন্য এ বার তোড়জোড় শুরু হয়ে গেল জাপানে। টোকিওতে অলিম্পিক হলেও খুব কাছের ওসাকা শহরও গেমসের সঙ্গে প্রবল ভাবে জড়িয়ে। কিন্তু করোনার জন্য এই দুটো শহরের হাল অত্যন্ত খারাপ। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। যা অত্যন্ত চাপে ফেলে দিয়েছে আয়োজকদের। মেডিক্যাল সিস্টেম পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। এই পরিস্থিতির সঙ্গে মোকাবিলা করার জন্য গণ-প্রতিষেধক দেওয়ার ব্যবস্থা করল জাপান সরকার। সেনা পরিচালিত দুটো সেন্টার থেকে প্রতিদিন হাজার জনকে ভ্যাকসিন দেবে সরকার।

টোকিওতে গেমস হওয়া উচিত কিনা, তা নিয়ে জনমত এখনও থামেনি। অলিম্পিকের দু’মাস আগেও সংখ্যা গরিষ্ঠ মনে করছে, দেশবাসীর কথা ভেবে সরকারের উচিত গেমস বাতিল করা। কিন্তু যে পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে রয়েছে জাপান সরকার ও আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি, তাতে কোনও ভাবেই গেমস বাতিল করার সম্ভাবনা নেই। বরং যে কোনও অবস্থায় গেমস আয়োজন করতে বদ্ধপরিকর। আর সেই কারণেই গণ-সুরক্ষা বাড়াতে প্রতিষেধক দেওয়ার কাজ শুরু হয়ে গেল। সেনা পরিচালিত সেন্টার থেকে প্রতিষেধক নেওয়ার পর হিদেও ইসিকাওয়া নামের এক মাঝবয়সী জাপানি বলেছেন, ‘গত দেড় বছর ধরে আমি প্রবল ভাবে আতঙ্কে ছিলাম। কী হবে, বুঝতেই পারছিলাম না। অবশেষে প্রতিষেধক দেওয়ার কাজ শুরু হয়ে গেল। ভ্যাকসিন নেওয়ার পর মনে হচ্ছে, আমি এখন অনেক ফ্রি থাকতে পারব।’

মুনেমিত্‍সু ওতানাবে নামের এক ইঞ্জিনিয়ারও ভ্যাকসিন নিয়েছেন। তিনি নিজে স্বস্তিতে হলেও একটা প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘অলিম্পিক শুরুর আগে কি ৯০ শতাংশ মানুষকে প্রতিষেধক দেওয়া সম্ভব? এই প্রক্রিয়াটা আরও তাড়াতাড়ি হওয়া দরকার। রোজ প্রতিষেধক দেওয়ার সংখ্যা বাড়াতে হবে। যাতে করে অলিম্পিকের আগে অধিকাংশ মানুষই ভ্যাকসিন পেয়ে যান। এতে গেমসের ঝুঁকি অনেক কমে যাবে।’

আরও পড়ুন:ক্রিকেটারদের নথিপত্র যাচাই করছে সিএবি

মুনেমিত্‍সুর কথা অবশ্য মাথায় রেখেই এগোচ্ছে জাপান সরকার। আপাতত ১ হাজার হলেও টোকিওতে টিকা দেওয়ার সংখ্যাটা দ্রুত ১০ হাজারে নিয়ে যেতে চাইছে। যাতে সমস্ত মানুষই গেমসের নিরাপদ ও সুরক্ষিত হয়ে যেতে পারেন।