Pakistan-Bangladesh: এত রাগ ভারতের উপর? নিজের ঘরই বেসামাল, তাও বাংলাদেশকে ট্রেনিং দেবে পাকিস্তান সেনা

পাকিস্তান থেকে গোলাগুলি-বিস্ফোরক কেনাও বাড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। ২০২৩ সালে সারা বছরে বাংলাদেশ যা কিনেছিল, শুধুমাত্র গত ৩ মাসে তার তিনগুণ গোলাবারুদ তারা পাকিস্তান থেকে আমদানি করেছে। পাক সেনার আরও কিছু আয়ের রাস্তাও হয়ে গিয়েছে।

Pakistan-Bangladesh: এত রাগ ভারতের উপর? নিজের ঘরই বেসামাল, তাও বাংলাদেশকে ট্রেনিং দেবে পাকিস্তান সেনা
নিজের ঘরই বেসামাল, তাও বাংলাদেশকে ট্রেনিং দেবে পাকিস্তান সেনাImage Credit source: PTI, X
Follow Us:
| Updated on: Jan 11, 2025 | 11:34 AM

বাংলাদেশ কীভাবে ইতিহাস বদলাচ্ছে সকলের কাছে খুবই পরিষ্কার। সে দেশের বর্তমানও বদলে যাচ্ছে। আর সেটা সকলের জন্য বেশ চিন্তার। অস্বস্তি ঢাকতে ইদানিং বাংলাদেশের অনেক নেতা এসব বলছে। ভিয়েতনাম যদি আজ আমেরিকার বন্ধু হতে পারে তাহলে বাংলাদেশ কেন পাকিস্তানের বন্ধু হতে পারবে না? মন্তব্য নিষ্প্রোয়জন।

ঘটনা হল একাত্তরে পূর্ব পাকিস্তান ছেড়ে পালানোর তিপ্পান্ন বছর পর আবার বাংলাদেশে পা রাখছে খান সেনা। মানে পাক সেনা। বাংলাদেশ আর্মিকে ট্রেনিং দেবে পাকিস্তান আর্মি। মৌখিক প্রস্তাবটা প্রথমে রাওয়ালপিণ্ডির কাছ থেকেই এসেছিল। ঢাকার বর্তমান সময়ের নেতারা সঙ্গে সঙ্গে তা লুফে নেন। সেইমতো বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান পাক সেনাকে আমন্ত্রণ জানিয়ে চিঠি লেখেন। পাক সেনা জানিয়ে দেয় তারা রাজি। ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশে আসছেন পাকিস্তান আর্মির মেজর জেনারেল র‍্যাঙ্কের অফিসাররা। তারা বাংলাদেশের আর্মি অফিসারদের ট্রেনিং দেবেন। দেশের ৪টে সেনা ক্যান্টনমেন্টেই এই ট্রেনিং চলবে। তবে, প্রথম দফায় ১ বছর ট্রেনিং হবে ময়মনসিংহ ক্যান্টনমেন্টে।

এই প্রশিক্ষণ পর্ব দীর্ঘমেয়াদী হবে। টানা কয়েকবছর বাংলাদেশে থাকবেন পাক সেনার সদস্যরা। কিছুদিনের মধ্যেই করাচি বন্দরে পাক নৌ-সেনার সঙ্গে যৌথ মহড়াও চালাবে বাংলাদেশ নেভি। পাকিস্তানের তরফ থেকে আসা এমন প্রস্তাব এর আগে উড়িয়ে দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। পাকিস্তানের যুদ্ধজাহাজ তৈমুর-কে তিনি বাংলাদেশের বন্দরে ভিড়তেও দেননি। মহম্মদ ইউনুসের জামানায় সেসব পাল্টে গিয়ে পাকিস্তানের জন্য জামাই আদরের ব্যবস্থা হয়েছে।

পাকিস্তান থেকে গোলাগুলি-বিস্ফোরক কেনাও বাড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। ২০২৩ সালে সারা বছরে বাংলাদেশ যা কিনেছিল, শুধুমাত্র গত ৩ মাসে তার তিনগুণ গোলাবারুদ তারা পাকিস্তান থেকে আমদানি করেছে। পাক সেনার আরও কিছু আয়ের রাস্তাও হয়ে গিয়েছে। বাংলাদেশ পাকিস্তানের কাছ থেকে কী শিখবে তা নিশ্চিতভাবে ঠিক করে ফেলেছে তারা।

পাক সেনা বাংলাদেশকে ট্রেনিং দেবে সে তো ঠিক আছে, কিন্তু এখানে রয়েছে একটা চিন্তা। পাক সেনা নিজের দেশটা গিলে খেয়ে ফেলেছে। যে ডামাডোল চলছে, তাতে ঢাকার রাজনৈতিক নেতৃত্বকেও যে তারা হাতের পুতুল বানিয়ে ফেলবে না, এমন গ্যারান্টি কেউ দিতে পারবে না।

বিশেষ করে পাকপন্থীদের গলার স্বর যেভাবে প্রকাশ্যেই রোজ ওপারে বাড়ছে, তাতে ট্রেনিংয়ের নাম করে এসে খুব তাড়াতাড়ি বাংলাদেশে পাকিস্তানের বড় বাহিনীও ঢুকে পড়তে পারে। এখানেই ভারতের চিন্তা। ভারতীয় সেনার দুই প্রাক্তন অফিসার জানিয়েছেন, এর চেয়েও বড় উদ্বেগের হল পাক ফৌজি অফিসাররা বাংলাদেশ সেনার মধ্যে অ্যান্টি-ইন্ডিয়া সেন্টিমেন্ট ইনজেক্ট করবেন। এবং লং রানে তার প্রভাব হতে পারে মারাত্মক।

একাত্তরের মার্চ মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণহত্যার কথা মনে পড়তে পারে। শুধু অপারেশন সার্চলাইট কেন? বিজয় দিবসের দু’দিন আগে বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড, আরও কত উদাহরণই তো আছে। তালিকা লম্বা। এই সবকিছুর পিছনে যে পাক সেনা ছিল, তাদের আজ বাংলাদেশ সাদরে বরণ করছে। ইতিহাসের বিস্মৃতির কথা যদি আগামীদিনে কখনও ওঠে তা হলে সেখানে বাংলাদেশের নাম একদম ওপরের দিকেই থাকবে। মুক্তিযোদ্ধাদের কোটার জন্য হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে। ওপার বাংলায় এইবার রাজাকার কোটা না চালু হয়ে যায়। চিন্তার বড় জায়গা সেটাও।