বল গড়াতেই গোল। অ্যাওয়ে ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলের শুরুতেই বড় প্রাপ্তি। গোলটি করেন কয়েক সপ্তাহ আগেই যোগ দেওয়া মেসি বৌলি। একটি ফ্রি-কিক থেকে আর্কাদাগ বক্সে হেডে বল নামান দিয়ামান্তাকোস। সামনেই ছিলেন মেসি বৌলি। ট্যাপ ইন করে গোল। শুরুতেই এক গোলে এগিয়ে যাওয়াতেও স্বস্তি ছিল না। বরং ৩৩ মিনিটে প্রবল চাপে পড়ে ইস্টবেঙ্গল। রেড কার্ড দেখেন লালনুনচুঙ্গা। দশ জনের ইস্টবেঙ্গলের পক্ষে কাজ আরও কঠিন হয়। তার উপর রেফারিং। এএফসির টুর্নামেন্টেও রেফারিং হতাশাজনক। যার খেসারত দিতে হল লাল-হলুদকে।
প্রথম লেগের ম্যাচে ঘরের মাঠে তুর্কমেনিস্তানের আর্কাদাগ টিমের কাছে ০-১ গোলে হেরেছিল ইস্টবেঙ্গল। ফলে সেমিফাইনালে যেতে অন্তত ২-০ জয় প্রয়োজন ছিল। দশ জনে পরিণত হওয়ায় চাপ বাড়ে। নিজেদের ঘর বাঁচানোই প্রাথমিক লক্ষ্য হয়ে দাঁড়ায়। কারণ, নির্ধারিত সময়ে এই স্কোর লাইন থাকলেও খেলা গড়াবে এক্সট্রা টাইমে। সেখানেও ফয়সালা না হলে টাইব্রেকার। ইস্টবেঙ্গলও তাই ধৈর্যের খেলায় নামে।
ম্যাচের ৭৫ মিনিটে ফ্রি-কিক পায় আর্কাদাগ। ফ্রি-কিকটি দুর্দান্ত ছিল। যদিও ইস্টবেঙ্গল গোলরক্ষক প্রভসুখন গিলের স্পট জাম্প ও ফিস্টে বিপদ ঘটেনি। এরপরই সেলিসের পরিবর্তে তরুণ বিষ্ণুকে নামান অস্কার। গতি বাড়ানোর লক্ষ্যেই এমন সিদ্ধান্ত। ম্যাচের ৮৪ মিনিটে অবিশ্বাস্য একটি সুযোগ পায় ইস্টবেঙ্গল। জমি ঘেষা শট অল্পের জন্য বাইরে। নয়তো সেখানেই সেমিফাইনাল নিশ্চিত করার সুযোগ ছিল ইস্টবেঙ্গলের। কাউন্টার অ্যাটাকে সুযোগ তৈরি করে আর্কাদাগও। প্রভসুখন ফের বাঁচিয়ে দেন।
ম্যাচের ৮৭ মিনিটে পেনাল্টি দেওয়া হয় আর্কাদাগকে। প্রথম ট্যাকল হয়েছিল বক্সের বাইরে। মাম্মেদেভকে ক্লিয়ার ট্যাকল মেসি বৌলির। এরপর সৌভিক দারুণ একটা ক্লিয়ার করেন। পরিষ্কার ধরা পড়েছে, বলেই মেরেছিলেন সৌভিক। কিন্তু ডাইভ দিয়ে পেনাল্টি আদায় করে নেয় আর্কাদাগ।
প্রথম লেগের ম্যাচেও এমন প্রচুর পরিস্থিতি তৈরি করেছে তুর্কমেনিস্তানের ক্লাব। ডাইভ, অযথা সময় নষ্টের খেলায় মেতেছিল। এ দিনও রেফারির থেকে পেনাল্টি আদায়। ম্যাচে ৭ মিনিট ইনজুরি টাইম দেওয়া হয়। রেফারির এমন ভুলের পর আর আত্মবিশ্বাস ছিল না ইস্টবেঙ্গলের। ইনজুরি টাইমে আরও একটি গোল। ১-২ ব্যবধানে হার। এ বারের মতো অভিযান শেষ ইস্টবেঙ্গলের।