রুদ্বশ্বাস বললেও কম বলা হয়। অবিশ্বাস্য! আর নাটকীয়। লেবাননের নেজমাহ এফসিকে ৩-২ ব্যবধানে হারিয়ে সরাসরি কোয়ার্টার ফাইনালে ইস্টবেঙ্গল। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে আন্ডারডগ ছিল লাল-হলুদ। তারাই এমন অবিশ্বাস্য ভাবে ঘুরে দাঁড়াবে, এই স্বপ্নই দেখছিলেন সমর্থকরা। এত সুন্দর কামব্যাক ইস্টবেঙ্গল টিমের কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ, সেটা ম্যাচ শেষে তাদের সেলিব্রেশনেই পরিষ্কার। ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে প্লেয়ারদের হাতে দেশের পতাকাও। এএফসির টুর্নামেন্টে দেশের হয়েই প্রতিনিধিত্ব করা। আর নকআউটে পৌঁছে দেশকে গর্বিতও করল ইস্টবেঙ্গল। স্নায়ুর চাপ, বিনোদন, সব মিলিয়ে ইস্টবেঙ্গলের দুরন্ত জয়। জোড়া গোলে নায়ক দিমিত্রিয়স দিয়ামান্টাকোস।
গ্রুপ এ-তে খাতায় কলমে এবং আত্মবিশ্বাসের দিক থেকে অ্যাডভান্টেজ ছিল লেবাননের ক্লাব নেজমাহ এফসি। প্রথম দু-ম্যাচে তারা বাংলাদেশের বসুন্ধরা কিংস এবং ভুটানের পারো এফসিকে হারিয়েছিল নেজমাহ। অন্যদিকে, ইন্ডিয়ান সুপার লিগে টানা ছয় ম্যাচ হেরে এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে নেমেছিল ইস্টবেঙ্গল। নতুন কোচ, আত্মবিশ্বাস তলানিতে ফুটবলারদের। এমন পরিস্থিতিতে পারো এফসির বিরুদ্ধে শেষ মুহূর্তে কোনওরকমে হার বাঁচায় ইস্টবেঙ্গল। দীর্ঘ দিন পর ড্র করাটাই ছিল অনেকটা অক্সিজেন।
গত ম্যাচে বাংলাদেশের বসুন্ধরা এফসির বিরুদ্ধে ৪-০ ব্যবধানে জয় ইস্টবেঙ্গলের আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বাড়িয়েছিল। দীর্ঘ ৮৩ দিন পর জয়ের মুখ দেখেছিল ইস্টবেঙ্গল। নেজমাহর বিরুদ্ধে কাজ যদিও সহজ ছিল না। তবে ম্যাচের প্রথম ১৫ মিনিটের মধ্যেই ২-০ এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু অস্বস্তি বাড়ে ১৯ মিনিটে মাঝমাঠ ও ডিফেন্সের ভুল বোঝাবুঝিতে গোল হজম। প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে আরও একটি গোলে সমতা ফেরায় নেজমাহ। বিরতিতে দু-দলই সমান জায়গায়।
দ্বিতীয়ার্ধে দিয়ামান্টাকোসের পেনাল্টি গোলে ৩-২ লিড নেয় ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচে ফেরার মরিয়া চেষ্টা করছিল নেজমাহ। ইস্টবেঙ্গল শিবিরও প্রবল চাপে। ইস্টবেঙ্গল গোলকিপার প্রভসুখন গিল সময় নষ্টের কারণে হলুদ কার্ডও দেখেন। শেষ অবধি জয়। ম্যাচের নায়ক দিমিত্রিয়স দায়মান্টাকোস বলেন, ‘দুর্দান্ত অনুভূতি। তবে আমাদের কাছে জয় ছাড়া কোনও বিকল্প ছিল না। দুটো গোল করতে পেরে ভালো লাগছে, আরও দূরে যেতে চাই।’