ইন্ডিয়ান সুপার লিগে পরপর হার। আত্মবিশ্বাস তলানিতে ছিল ইস্টবেঙ্গল ফুটবলারদের। এর মাঝেই এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের ম্যাচ। আইএসএলে টানা আধডজন হারের পর একটুখানি অক্সিজেন খুঁজছিল ইস্টবেঙ্গল। রাস্তা খুবই কঠিন ছিল। এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে অভিযান শুরু করল ইস্টবেঙ্গল। গ্রুপ পর্বে প্রথম প্রতিপক্ষ ভুটানের পারো এফসি। হতাশা নিয়ে ফেরার পরিস্থিতিতেই ছিল লাল-হলুদ। শেষ মুহূর্তের গোলে একটুখানি অক্সিজেন অস্কারের টিমের! পারো এফসির বিরুদ্ধে ২-২ ড্র ইস্টবেঙ্গলের।
এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে গ্রুপ এ-তে নিজেদের প্রথম ম্যাচে নেমেছিল ইস্টবেঙ্গল। ভুটানের আবহাওয়া এবং মাঠের সঙ্গে মানিয়ে সবচেয়ে বেশি কঠিন। কলকাতায় ঘাসের মাঠে খেলতে অভ্যস্ত ইস্টবেঙ্গল। প্র্যাক্টিসও ঘাসের মাঠেই। পারো এফসির বিরুদ্ধে খেলতে হয়েছে অ্যাস্ট্রোটার্ফে। ভুটানে পৌঁছে একটা প্র্যাক্টিস সেশনে সেখানকার আবহাওয়া এবং কৃত্রিম ঘাসের মাঠে মানিয়ে নেওয়া সহজ ছিল না। যার জেরে ম্যাচের শুরু থেকেই অস্বস্তিতে পড়ে লাল-হলুদ শিবির।
পারো এফসির বিরুদ্ধে ১-২ ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে বিরতিতে যায় ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচের শুরুতে মাদিহ তালাল গোল করেছিলেন। যদিও তাতে স্বস্তি ছিল না। বিরতিতে ২-১ পারো এফসির। ঘরের মাঠের সমর্থন। পরিচিত পরিবেশে তাদেরই দাপট। ভুটানের হয়ে গোল দুটি করেন উইলিয়াম ওপোকু, ইভান্স আসান্তে। অন্য দিকে, লাল-হলুদের গোল নষ্টের প্রদর্শনী। একেক সময় মনে হয়েছে, খালি হাতেই ফিরতে হবে। নির্ধারিত সময়ের ১ মিনিট আগে সমতা ফেরান দিমিত্রিয়স দায়মান্টাকোস। ২-২ গোলেই শেষ হয় ম্যাচ।
আইএসএলে টানা হারের পর এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে ড্র। অনেকটা স্বস্তি ইস্টবেঙ্গল শিবিরে। গ্রুপের দ্বিতীয় ম্যাচে ২৯ অক্টোবর ইস্টবেঙ্গলের প্রতিপক্ষ বাংলাদেশের বসুন্ধরা কিংস। ইস্টবেঙ্গলের বর্তমান কোচ অস্কার ব্রুজোর প্রাক্তন ক্লাব বসুন্ধরা।