Europa League: দি মারিয়ার দুরন্ত হ্যাটট্রিকে শেষ ১৬য় জুভেন্তাস!
লিওনেল মেসি, ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর মতোই প্রতিভাবান ফুটবলার তিনি। বয়স যতই হোক না কেন, সেই প্রতিভাই তুলে ধরলেন দি মারিয়া। দুরন্ত হ্যাটট্রিক করে জেতালেন টিমকে।
তুরিন: বয়স শুধুই যে সংখ্যা, খেলার মাঠে অনেকেই প্রমাণ করেছেন। সেই তালিকায় নতুন নাম অ্যাঞ্জেল দি মারিয়া (Angel Di Maria)। কাতার বিশ্বকাপেও দুরন্ত পারফর্ম করেছিলেন তিনি। সেই ছন্দই এ বার তুলে ধরলেন ইউরোপা লিগে। দুরন্ত দি মারিয়াই জুভেন্তাসকে (Juventus) পৌঁছে দিলেন ইউরোপা লিগের নকআউটে। নান্তেসের বিরুদ্ধে ৪-১ জয় পেল জুভে। যার তিনটে গোলই ৩৫ বছরের দি মারিয়ার। তিনি চোট প্রবণ। প্রায়ই ছিকটে যান টিম থেকে। এ সব থাকা সত্ত্বেও যেন অবিশ্বাস্য ফর্মে রয়েছেন তিনি। ফরাসি ক্লাব নান্তেস (Nantes) ফুটবল ইতিহাস খুব একটা সমৃদ্ধশালী নয়। তাদের বিরুদ্ধে যে তুরিনের ক্লাব ভালো খেলবে, এটাই প্রত্যাশিত ছিল। তাই হল। ম্যাচ শুরু থেকেই দখলে নিয়ে নকআউটে পা দিল জুভেন্তাস। TV9 Bangla–য় বিস্তারিত।
প্রথম লেগের ম্যাচ ১-১ হয়েছিল। দ্বিতীয় লেগে জিততেই হত জুভেন্তাসকে। ৪-১ গোলের নান্তেসকে হারায় তারা। ম্যাচের পাঁচ মিনিটেই প্রথম গোলটি করেন দি মারিয়া। পেনাল্টি বক্স কোণ থেকে থেকে দুরন্ত শটে গোল করেন। সারা ম্যাচ জুড়েই দাপট ছিল দি মারিয়ার। ১৮ মিনিটের মাথায় আবার গোলের সুযোগ পেয়ে যান আর্জেন্টেনিয়ান। এ বার পেনাল্টি থেকে। নান্তেসের ডিফেন্ডার নিকোলাস পাল্লোইসের ভুলে পেনাল্টি পায় জুভেন্তাস। সেই পেনাল্টি থেকেই ২-০ করেন দি মারিয়া। ফলস্বরূপ ম্যাচের শুরুর দিকেই ২-০ গোলে এগিয়ে যায় জুভেন্তাস। শুধু দি মারিয়া নন, প্রথমার্ধেই গোল করার সুযোগ পেয়েছিলেন ফিলিপ কষ্টিক। তাঁর নেওয়া শট ক্রসপিসে লেগে চলে যায় গোলরক্ষক আলবান লাফন্টের হাতে। না হলে প্রধার্ধেই হয়তো ৩-০ এগিয়ে থাকত জুভে।
৭৮ মিনিটে হ্যাটট্রিক করেন দি মারিয়া। অনবদ্য একটি হেড করে দলের হয়ে তিন নম্বর গোলটি করেন তিনি। ২০২০ সালে ফিলিপো ইঞ্জাঘির হ্যাটট্রিকের পর এই প্রথম জুভেন্তাসের কোনও ফুটবলার ইউরোপা লিগে হ্যাটট্রিক করলেন। দলের অনবদ্য পারফরম্যান্সের পর জুভেন্তাস কোচ মাসিমিলিয়ানো অ্যালেগ্রি বলেছেন, “দলের পারফরম্যান্সে আমি খুশি। প্রথম লেগে ড্রয়ের পর এ রকম একটি ম্যাচ খেলা বেশ চাপের ব্যাপার। ছেলেরা ভালো খেলেছে।”
দি মারিয়ার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে জুভে কোচ বলেন, “ও চ্যাম্পিয়ন প্লেয়ার। বাকিদের থেকে আলাদা। ম্যাচের সামগ্রিক চিত্র বদলে দিয়ে বাকি ফুটবলারদের উদ্বুদ্ধ করার ক্ষমতা আছে ওর। একজন সত্যিকারের চ্যাম্পিয়ন।”