কলকাতা: কেউ ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়ে দিলেন। কেউ পেলেন সঙ্গীর উষ্ণ আলিঙ্গন। শনিবারের মারগাওয়ের ফতোরদা স্টেডিয়ামে রুদ্ধশ্বাস আইএসএল ফাইনালের পরের দৃশ্য। টাইব্রেকারে ব্রুনো ব়্যামিরেজের কিকটা বাঁচাতেই সবুজ-মেরুন গ্যালারিতে আবির খেলা শুরু যায়। পাবলো পেরেজ বাইরে মারতেই ভারতসেরা এটিকে মোহনবাগান। পাড়ায় পাড়ায় যখন বাজির শব্দে কান পাতা দায়, তখন ফতোরদা স্টেডিয়ামের মাঠ বলছে, ‘ফুল ফুটুক না ফুটুক আজ বসন্ত’। কিয়ান নাসিরি, প্রীতম কোটাল, শুভাশিস বসুরা স্ত্রী-বান্ধবীদের ভালোবাসায় মাখামাখি। চুম্বন, আলিঙ্গন, শুভেচ্ছায় আইএসএল চ্যাম্পিয়নদের বরণ করে নিলেন সোনেলা পাল, কস্তুরী ছেত্রী, মিহিরা সিংরা। কেউ চ্যাম্পিয়নের মেডেল পরিয়ে দিলেন সঙ্গিনীর গলায়। আনন্দে, উচ্ছ্বাসে, প্রেমে, আদরে ভরপুর।
বিদেশি ফুটবলে এমন দৃশ্য় হরহামেশাই দেখা যায়। ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো, লিওনেল মেসিরা মাঠেই উপহার স্বরূপ পেয়ে যান জর্জিনা রড্রিগেজ, আন্তোনেলাদের চুম্বন। ভারতীয় ফুটবলে তেমনটা বড় একটা দেখা যায় না। সেদিক থেকে আইএসএলের মঞ্চে চমকে দিলেন সবুজ মেরুনের ওয়্যাগসরা। বিদেশিরা তো বটেই, বাঙালি ফুটবলার শুভাশিস বসুর স্ত্রী কস্তুরী ছেত্রী মাঠেই চ্যাম্পিয়ন স্বামীকে দিলেন ঠোঁট ঠাসা চুম্বন। ইনস্টাগ্রামে কস্তুরীর ফ্যান ফলোয়িং লজ্জায় ফেলে দিতে পারে টলিউডের অভিনেতাদের। ক্যাপশনে ‘চ্যাম্পিয়ন্স’ শব্দটি লিখে একঝাঁক ছবি পোস্ট করলেন তিনি।
প্রীতম কোটালের বান্ধবী সোনেলা পাল তাঁর ফেসবুকে দুটো ছবি পোস্ট করেছেন। একটি ছবি প্রীতমের সঙ্গে আলিঙ্গনের। অন্যটিতে চ্যাম্পিয়নের মেডেল গলায় পোজ দিয়েছেন বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে।
ভলিবল প্লেয়ার, ডিজিটাল ক্রিয়েটার মিহিরা সিংয়ের সঙ্গে প্রেম করছেন জামশিদ নাসিরির ছেলে কিয়ান নাসিরি। বয়ফ্রেন্ড ও পুরো এটিকে মোহনবাগান টিমকে ফাইনালে সমর্থন করতে গোয়ায় পৌঁছে গিয়েছিলেন মিহিরা। ফাইনাল জয়ের পর চলল কিয়ান-মিহিরার জমিয়ে ফটোসেশন। বয়ফ্রেন্ডের উদ্দেশে লিখলেন, “যখনই তোমার স্বপ্ন পূরণ হবে, আমি তোমারই পাশে থাকব।”