গোয়া: ডার্বির কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে। আর মাত্র একটা দিন বাকি। আসন্ন ডার্বির জন্য পুরোদস্তুর তৈরি হচ্ছেন এটিকে মোহনবাগান (ATK Mohun Bagan) ও এসসি ইস্টবেঙ্গলের (SC East Bengal) ফুটবলাররা। এ বারের আইএসএলের প্রথম ম্যাচে কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে এটিকে মোহনবাগান ৪-২ জয় দিয়ে শুরু করলেও দলের পারফরম্যান্স নিয়ে কিন্তু ১০০ শতাংশ খুশি নন কোচ হাবাস। তবে সে সব ভুলে এখন সামনে নজর হাবাসের। শনিবার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী এসসি ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে নামতে চলেছেন রয় কৃষ্ণা-হুগো বোমাসরা।
প্রথম ম্যাচের ভুলত্রুটি গুলো দ্বিতীয় ম্যাচেই ঠিক করে নিতে চান এটিকে মোহনবাগানের গোলমেশিন রয় কৃষ্ণা (Roy Krishna)। এটিকে মোহনবাগান মিডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কৃষ্ণা বলেন, “সে দিন প্রথমার্ধে আমরা ভাল খেলেছিলাম। তবে দ্বিতীয়ার্ধে আমাদের আরও মনোনিবেশ করে খেলা উচিত ছিল। তবে সে দিন আমাদের প্রথম ম্যাচ ছিল। আমাদের নিজেদের মধ্যে আরও ভাল বোঝাপড়া তৈরি করতে হবে। বিশেষ করে যারা দলে নতুন যোগ দিয়েছে, তাদের সঙ্গে”।
রয় আরও বলেন, “কোচ আমাদের গত ম্যাচের পারফরম্যান্স বিশ্লেষণ করে পরের ম্যাচের জন্য একটা ভাল পরিকল্পনা তৈরি করতে বলেছেন। আমরা ম্যাচ ধরে ধরে এগোচ্ছি আমরা। পরিস্থিতি অনুযায়ী কৌশল তৈরি করব”।
কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে মরসুমের প্রথম ম্যাচে জোড়া গোল করেছেন ফরাসি অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার হুগো বোমাস (Hugo Boumous)। তা ছাড়া পেনাল্টি থেকে গোল করেছিলেন রয় এবং আরও একটি গোল করেছিলেন লিস্টন কোলাসো। যদিও সবুজ-মেরুনের রক্ষণ প্রথম ম্যাচে জমাট দেখায়নি। যার ফলে দু’টি গোলও হজম করতে হয়েছে হাবাসদের। তবে রয়-হুগো জুটি প্রথম ম্যাচেই যে ঝলক দেখিয়েছেন তা মরসুমের বাকি ম্যাচে দর্শকরা যে দেখতে পাবেন সে আশা করাই যায়। ভবিষ্যতে সবুজ-মেরুন শিবিরের শক্তি হয়ে উঠবে এই কৃষ্ণা-বোমাস জুটি বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞমহল।
হুগোর সঙ্গে নিজের এই আক্রমণাত্মক জুটি সম্পর্কে রয় বলেন, “হুগো একজন প্লে মেকার। অনেক গোলের সুযোগ তৈরি করে ও। আমাদের প্রথম ম্যাচে দারুন কিছু টাচ দেখা গিয়েছে ওর পায়ে। দুটো গোলও করেছে। ওর সঙ্গে খেলে দারুন উপভোগ করেছি। আশা করি, ওর সঙ্গে জুটি বেঁধে বেশ কিছু স্মরণীয় মুহূর্ত তৈরি করতে পারব এই মরশুমে”।
ফিজির তারকা ফুটবলার আরও বলেন, “বিপক্ষের দলগুলোর পক্ষে আমাদের অ্যাটাকারদের মার্কিং করা বেশ কঠিন হবে। কারণ, প্রত্যেকেই ব্যক্তিগত ভাবে দক্ষ, আর যে কোনও সময়ই আমরা গোলের সুযোগ তৈরি করে নিতে পারি। তাই বিপক্ষের রক্ষণকে আমাদের নজরে রাখতেই হবে। তবে এ জন্য যে আমার ওপর থেকে চাপ কমে যাবে, তার কোনও মানে নেই। আমার কাজ হল বিপক্ষের গোলের সামনে পাওয়া যে কোনও সুযোগকে গোলে পরিণত করতে সাহায্য করা। সেটাই করে যাব”।
গতবারের দুটো ডার্বিতেই কৃষ্ণা গোল পেয়েছিলেন। এ বারও কি সবুজ-মেরুন সমর্থকরা গোলমেশিনের থেকে সেই ছবিই দেখতে পাবে? এই প্রশ্নের উত্তরে রয় বলেন, “সবার আগে আমার চেষ্টা থাকে দলকে জেতানোর। সে গোল করে হোক বা গোল করতে সাহায্য করে বা ডিফেন্স করে। দলের জয়টাই আমার কাছে প্রধান লক্ষ্য। অবশ্য গোলের সংখ্যা বাড়ানোও আমার কাছে ব্যক্তিগত চ্যালেঞ্জ। প্রতি ম্যাচেই আমি উন্নতি করতে চাই”।
নতুন সঙ্গী বোমাসকে নিয়ে কৃষ্ণা মরসুমের প্রথম ডার্বি মাতিয়ে তুলতে পারেন কিনা সেদিকেই বিশেষ নজর থাকবে পালতোলা নৌকার সমর্থকদের।