কলকাতা: সৌদি আরব নয়, পছন্দের স্পেনও নয়- মার্কিন মুলুকে পাড়ি জমাচ্ছেন লিওনেল মেসি। ইউরোপ ছেড়ে এ বার আমেরিকান ফুটবলের সৌন্দর্য বাড়াবেন তিনি। মেজর লিগ সকারের ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে সই করতে চলেছেন লিও (Lionel Messi)। নিজেই এই খবর নিশ্চিত করেছেন। সৌদির ক্লাব আল হিলালের বিপুল অঙ্কের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন আগেই। দড়ি টানাটানি চলছিল বার্সেলোনা ও ইন্টার মায়ামির মধ্যে। শেষটিকেই বেছে নিয়েছেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা। কিছুদিন আগেই এক সাক্ষাৎকারে বার্সেলোনার কোচ জাভি হার্নান্ডেজ জানান, বার্সেলোনায় মেসির ফেরার সুযোগ ৯৯ শতাংশ। যদিও ‘ঘরে ফিরলেন’ না তিনি। যাই হোক, বার্সার প্রস্তাব সরিয়ে আমেরিকায় যাচ্ছেন এটা নিশ্চিত করতেই বার্সার পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে লিওকে শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে। কী লেখা হয়েছে সেই বিবৃতিতে? বিস্তারিত রইল Tv9 Bangla Sports-র এই প্রতিবেদনে।
মেসিকে শুভকামনা জানিয়ে একটি আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়েছে বার্সেলোনা। ক্লাবের সভাপতি হুয়ান লাপোর্তাকে উল্লেখ করে কাতালান ক্লাবটি জানিয়েছে, “সাম্প্রতিক সময়ের তুলনায় কম গুরুত্বপূর্ণ ও লোকচক্ষুর আড়ালে থাকা একটি লিগকে বেছে নেওয়ার মেসির সিদ্ধান্তকে সম্মানের সঙ্গে দেখছে ক্লাব। গত সোমবারই মেসির বাবা বার্সেলোনা প্রেসিডেন্টকে জানিয়ে দেন ছেলের ইন্টার মায়ামিতে যোগ দেওয়ার কথা। যদিও সবার ইচ্ছের মর্যাদা রেখে মেসিকে ক্লাবে ফেরানোর একটি প্রস্তাব রেখেছিল বার্সেলোনা।” মেজর লিগ সকারে ইউরোপের ক্লাবের মতো চাপ থাকবে না ঠিকই। তবে মেসির চ্যালেঞ্জ কম নয়। লিগে মায়ামির অবস্থা ভালো নয়। তলানি থেকে একটি ক্লাবকে তুলে আনার চ্যালেঞ্জ অবশ্যই থাকছে মেসির উপর।
কেন বার্সেলোনায় ফিরলেন না মেসি?
খোঁচা দেওয়া বিবৃতি দিলেও বার্সেলোনার কী মেসিকে ফেরানোর সদিচ্ছা ছিল? খোদ আর্জেন্টাইন তারকা এই প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন। সাক্ষাৎকারে মেসি বলেছেন, “অর্থ কখনই আমার কাছে বড় বিষয় ছিল না। বার্সেলোনার সঙ্গে চুক্তি নিয়ে কোনওরকম দরাদরি করা হয়নি। সেটা কখনওই আনুষ্ঠানিক বা লিখিত প্রস্তাব ছিল না। শুধুমাত্র মৌখিক একটি প্রস্তাব ছিল। আমার মনে হয় না বার্সোলোনা আমাকে ফেরানোর জন্য যা যা করা উচিত সবই করেছে। ক্লাবের ভেতর এমন অনেক মানুষ রয়েছেন যাঁরা চান না আমি বার্সায় ফিরি। এই বিষয়ে আমি অবগত।” মেসি জানান, ইউরোপের অন্য ক্লাবের অফার থাকলেও শুধুমাত্র বার্সেলোনায় খেলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু মেসিকে নেওয়ার জন্য অন্য ফুটবলারদের বেতন কমিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বার্সা। এমনকি অনেককে ছেড়ে দেওয়ার কথাও ভাবে বার্সা। সেটা চাননি মেসি। পাশাপাশি বার্সেলোনার বর্তমান যা আর্থিক অবস্থা তাতে মেসিকে ফেরানোর মতো ঝুঁকি তারা নিতে চায়নি। বছর দুয়েক আগে যখন ইচ্ছের বিরুদ্ধে মেসিকে বার্সেলোনা ছাড়তে হয়েছিল তখনও এই গ্রহের অন্যতম সেরা ফুটবলারকে ধরে রাখার মতো বার্সার ইচ্ছে নিয়ে প্রশ্ন ছিল।