National Games: কেরলকে হারিয়ে জাতীয় গেমসে সন্তোষের বদলা ‘সোনার’ বাংলার

Bengal Football Team: ময়দানে যারা তথাকথিত বড় দলে খেলেন না, তাঁরাই জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন। বাংলা ফুটবল, ফুটবলার এবং ফুটবলপ্রেমীদের কাছে গর্বের মুহূর্ত।

National Games: কেরলকে হারিয়ে জাতীয় গেমসে সন্তোষের বদলা সোনার বাংলার
Image Credit source: OWN Arrangement

| Edited By: দীপঙ্কর ঘোষাল

Oct 11, 2022 | 8:35 PM

কলকাতা : জাতীয় গেমস ফুটবলে বাংলা হয়ে উঠল ‘সোনার’ বাংলা। এতদিনের পরিশ্রম সোনালী ঘাম হয়ে ঝরল। ফাইনালে কেরলকে ৫-০ গোলে হারাল বাংলা। প্রথমার্ধেই এল তিন গোল। জোড়া গোল নরহরি শ্রেষ্টার। আর একটি গোল রবি হাঁসদার। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই অনবদ্য গোলে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন নরহরি। নির্ধারিত সময়ের ৫ মিনিট আগে পঞ্চম গোল অমিত চক্রবর্তীর। কয়েকটা সুযোগ নষ্ট না হলে আরও বড় লজ্জার সামনে পড়ত কেরল। গত বারের সন্তোষ ট্রফি। ফাইনালে কেরলের কাছে টাইব্রেকারে হেরেছিল বাংলা। জাতীয় গেমস ফাইনালে আরও একবার সামনে কেরলকে দেখে যেন বাড়তি তাগিদ বাংলা ফুটবলারদের মধ্যে। সন্তোষের স্কোয়াডের অনেকেই রয়েছেন এই দলে। তাদের কাছে এই ম্যাচটি বদলারও। প্রতিশোধ, সোনার পদক, দুই লক্ষ্যে সফল।

ফাইনালের আগে বাংলার কোচ বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য বলেছিলেন, এটি তাদের কাছে বদলার ম্যাচ নয়। প্লেয়ারদের কাছে? প্রতিশোধ কিছুটা হলেও। তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ নিজেদের প্রমাণের মঞ্চ। ময়দানে যারা তথাকথিত বড় দলে খেলেন না, তাঁরাই জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন। বাংলা ফুটবল, ফুটবলার এবং ফুটবলপ্রেমীদের কাছে গর্বের মুহূর্ত। ফাইনালের আগে দু-দলই অপরাজিত ছিল। কেরল বনাম বাংলার ফাইনাল ঘিরে বাড়তি উন্মাদনা অন্য কারণে। জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতায় এই দ্বৈরথ অনেক বেশি উপভোগ্য় হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত সন্তোষ ট্রফিতে অল্পের জন্য ট্রফি হাতছাড়া হয়েছিল বাংলার। এ বার বাংলার তিন কাঠির নীচে রাজা বর্মন। সন্তোষ ফাইনালে টাইব্রেকারে শেষ শটের আগে নামানো হয়েছিল তাঁকে। এ বার দলের প্রধান গোলকিপার। ফাইনালে দু-একটা ক্ষেত্রে ভুল করলেও ক্লিনশিট রাখলেন ম্যাচে।

টুর্নামেন্টের শুরু থেকে দাপুটে ফুটবল খেলছে বাংলা দল। অথচ প্রস্তুতির জন্য কিংবা দল গুছিয়ে নেওয়ার তেমন সময়ই পায়নি বাংলা দল। কোচ বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য ভরসা রেখেছিলেন ফুটবলারদের উপর। ফুটবলাররাও কোচের ভরসার মর্যাদা রাখেন। গ্রুপ পর্বে টানা তিন ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালে। সুরজিৎ হাঁসদার একমাত্র গোল ফাইনাল নিশ্চিত করে বাংলা। সোনার ম্যাচে একবিন্দুও আত্মতুষ্টি দেখা গেল না বাংলার ফুটবলারদের মধ্যে। ম্যাচের ১৭ মিনিটেই রবি হাঁসদার গোলে এগিয়ে যায় বাংলা। ৩০ মিনিটে নরহরি শ্রেষ্টার দূরপাল্লার শট ব্যবধান বাড়ায়। এরপর আর পিছন ফিরে তাকায়নি বাংলা। প্রথমার্ধে ৪ মিনিট ইনজুরি টাইম দেওয়া হয়। বিরতির ঠিক আগের মুহূর্তেই দলের হয়ে তৃতীয় এবং জোড়া গোল নরহরি শ্রেষ্টার। বাংলার প্রতিটা আক্রমণেই যেন গোলের প্রত্যাশা। কতটা ভালো খেলেছে এটিই তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ।