ভুবনেশ্বর: সন্তোষ ট্রফির মূলপর্বের শুরুতেই আটকে গেল বাংলা। দিল্লির সঙ্গে ২-২ গোলে ম্যাচ ড্র বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্যের দলের। কোয়ালিফাইং রাউন্ডে সব ম্যাচ জিতে মূলপর্বে জায়গা করে নেয় বাংলা। তবে ভুবনেশ্বরে গ্রুপ রাউন্ডের প্রথম ম্যাচেই দিল্লির কাছে আটকে গেলেন সুব্রত মুর্মুরা। বাংলার হয়ে জোড়া গোল করেন নরহরি শ্রেষ্ঠা। তবু তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়তে ব্যর্থ দল। রক্ষণের ভুল আর মিস পাসেই জয় হাতছাড়া বাংলার। ম্যাচের শুরুতেই ৯ মিনিটে নীরজ ভান্ডারির গোলে পিছিয়ে পড়ে বাংলা। প্রথমার্ধে ০-১ পিছিয়ে থেকেই ড্রেসিংরুমে ফেরে বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্যের দল। দ্বিতীয়ার্ধে কামব্যাক করেও শেষরক্ষা করতে ব্যর্থ। দ্বিতীয়ার্ধের খেলার শুরুতেই গোল করে বাংলাকে সমতায় ফেরান নরহরি শ্রেষ্ঠা। ৬১ মিনিটে দ্বিতীয় গোল করে ২-১ এগিয়েও দেন নরহরি। তবে ৭২ মিনিটে গোল হজম বাংলার। বিস্তারিত TV9Bangla-য়।
মধ্যপ্রদেশে কোয়ালিফাইং রাউন্ডে দুরন্ত ফুটবল খেলতে দেখা গিয়েছিল বাংলাকে। নরহরিদের ঘিরে সন্তোষ জয়ের স্বপ্ন দেখা শুরু হয়েছিল। তবে মূলপর্বের শুরুতেই হোঁচট, সেই ভাবনায় আচমকাই বদল আনল। ৭২ মিনিটে দিল্লির গৌরব রাওয়াতের গোলে ৩ পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ার স্বপ্নে থাবা বসাল।
বাংলার কোচ বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য ম্যাচের পর বললেন, ‘আমরা গোলের সুযোগ তৈরি করেও কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়েছি। ফল যা হওয়ার তাই হল। নরহরি সুযোগকে কাজে লাগিয়েছে। দীপক রজক, সুব্রত মুর্মু, সুরজিৎ হাঁসদারা সুযোগ পেয়েও গোল করতে পারেনি। মধ্যপ্রদেশে এই ছেলেরাই জিতিয়েছিল। ভুবনেশ্বরেও ছেলেরা ঠিক ঘুরে দাঁড়াবে। ভুল থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে।’ হারের কারণ হিসেবে বাংলার কোচ ভুবনেশ্বর থেকে বলেন, ‘আজ আমরা প্রচুর মিস পাস করেছি। এত মিস পাস করলে ম্যাচ জেতা যায় না। মাঝমাঠের ভুলেই রক্ষণে চাপ বেড়েছে। শেষ পর্যন্ত রক্ষণ চাপ সামলাতে না পারার জন্যই আমরা গোল হজম করেছি। প্রথম ম্যাচে ভুল অবশ্যই আমাদের সতর্ক করল। রক্ষণ আরও সংগঠিত করতে হবে।’
আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে থেকেই সন্তোষে খেলতে গিয়েছিল বাংলা। দিল্লি ম্যাচের ফল অবশ্যই বাংলার ফুটবলারদের মনোবলে ধাক্কা দিয়েছে। গ্রুপে সার্ভিসেস, মণিপুর, রেলওয়েজের বিরুদ্ধে খেলা বাকি বাংলার। সোমবার সার্ভিসেসের সামনে নরহরি, বাসুদেবরা। রোনাল্ড সিংদের বিরুদ্ধে কঠিন লড়াই জিতে সন্তোষে প্রত্যাবর্তনের অপেক্ষায় বাংলা।