রিও ডি জেনেইরো: দেখতে দেখতে কাতার বিশ্বকাপ (Qatar World Cup 2022) শেষ লগ্নে এসে দাঁড়িয়েছে। বাকি রয়েছে সেমিফাইনাল ও ফাইনালের লড়াই। এ বারের বিশ্বকাপের চার সেমিফাইনালিস্ট হল আর্জেন্টিনা, ক্রোয়েশিয়া, মরক্কো ও ফ্রান্স। চলতি বিশ্বকাপে দারুণ ফর্মে ছিল ব্রাজিল (Brazil)। কিন্তু কোয়ার্টার ফাইনালে ক্রোটদের কাছে হেরে বিশ্বকাপ স্বপ্ন শেষ হয়ে গিয়েছে নেইমারদের। বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের আগে ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি রোনাল্ডো নাজারিও (Ronaldo Nazario) জানিয়েছেন, তাঁর দল যেহেতু বিশ্বকাপ ট্রফির দৌড় থেকে ছিটকে গিয়েছে, তাই তিনি মেসির হাতে বিশ্বকাপ ট্রফি দেখতে চাইছেন। আর রোনাল্ডোর কথা উঠলেই ২০০২ সালের বিশ্বকাপে তাঁর সেই অদ্ভূত অর্ধবৃত্তাকার হেয়ারস্টাইলের কথা উঠতে বাধ্য। তাঁর ওই অর্ধবৃত্তাকার চুলের নেপথ্যে কোন কাহিনি, তুলে ধরল TV9Bangla।
২০০২ সালের বিশ্বকাপ চলাকালীন হঠাৎ করেই হেয়ারস্টাইল বদলে ফেলেন রোনাল্ডো। কিন্তু কেন? সে বার টুর্নামেন্ট চলাকালীন পায়ে চোট পেয়েছিলেন রোনাল্ডো। সকলের আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল, তাঁর চোট। তিনি চাইছিলেন, সেই চোট থেকে সকলের নজর অন্যদিকে যাক। যেমন ভাবা তেমন কাজ। ফিফাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রোনাল্ডো বলেন, “ওই সময় সকলে আমার পায়ের চোট নিয়েই প্রশ্ন করছিল। আমি সেমিফাইনালে খেলতে পারব কিনা তা নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল। আমি সেটা শুনতে শুনতে ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিলাম। তাই আমি ট্যাটের মতো হেয়ারকাট করিয়েছিলাম। তারপর আমি আমার সতীর্থদের জিজ্ঞাসা করেছিলাম সেটা কেমন হয়েছে। তারা জানিয়েছিল, ‘ভয়ঙ্কর হয়েছে। এই হেয়ারস্টাইল তুমি রেখো না।'”
কিন্তু রোনাল্ডো তখন তাঁর সতীর্থদের কথা শোনেননি। তিনি নিজের চোট থেকে সকলের মনোযোগ সরানোর জন্য নতুন হেয়ারস্টাইল করিয়ে ফেলেন। তিনি তুর্কিদের বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে গোল করে ব্রাজিলকে ফাইনালে পৌঁছে দেন। পরবর্তীতে রোনাল্ডোর এই হেয়ারস্টাইল বেশ জনপ্রিয় হয়ে পড়ে। যদিও তিনি আর সেই হেয়ারস্টাইল করাননি। তবে তাঁকে দেখে অনেক বাচ্চা অনুপ্রাণিত হয়ে ওই রকম অদ্ভূত হেয়ারস্টাইল করাতে শুরু করে। এর জন্য তিনি পরবর্তীতে ক্ষমা চান সেই সকল বাচ্চাদের মায়েদের কাছে তিনি বলেন, “ওটা জঘন্য হেয়ারস্টাইল ছিল। আমি সেই সকল মায়েদের কাছে ক্ষমা চাইছি, যাদের ছেলেরা তখন আমাকে দেখে ওই রকম চুল রেখেছিল।”