ঘরের মাঠে ড্র ইস্টবেঙ্গলের। হার বাঁচাল বলা যায়। ভবানীপুরের বিরুদ্ধে পিছিয়ে থেকে ড্র করল ইস্টবেঙ্গল। গত ম্যাচে বড় ব্যবধানে জিতেছিল লাল-হলুদ। স্বাভাবিক ভাবেই সমর্থকদের প্রত্যাশাও ছিল বেশি। সেই প্রত্যাশা পূরণ হল না। ভবানীপুরের অনবদ্য ফুটবল, তাদের ১ পয়েন্টেই সন্তুষ্ট থাকতে হল। বিস্তারিত রইল TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
এ বারের লিগে সপ্তম ম্যাচে নেমেছিল ইস্টবেঙ্গল। প্রতিপক্ষ ভবানীপুরের কোচ রঞ্জন চৌধুরি। তিনি ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তন সহকারি কোচ। অনেক ম্যাচে হেড কোচের দায়িত্বও সামলেছেন। কলকাতা ময়দানের অন্যতম অভিজ্ঞ কোচ। তাঁর কোচিংয়ে গত বারও অনবদ্য ফল করেছিল ভবানীপুর।
ইস্টবেঙ্গল কোচ বিনো জর্জ এ দিনের ম্যাচে ৫টি পরিবর্তন করে। তাতেই যেন কিছুটা ছন্দপতন হল। এডউইন সিডনি বংশপলের লাল-হলুদ জার্সিতে অভিষেক হল। ম্যাচের ১৯ মিনিটেই দারুণ একটা সুযোগ পেয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। যদিও কাজে লাগেনি। প্রাক্তনীর কাছে আটকে যায় ইস্টবেঙ্গলের চেষ্টা। মিডফিল্ডার সঞ্জীব ঘোষের জোরালো শট আটকে দেন ভবানীপুরের গোলরক্ষক শঙ্কর রায়।
ম্যাচে লিড নেয় ভবানীপুর। ৩০ মিনিটে জীতেন মুর্মুর পাসে গোল করেন সুভাষ সিং। ১-০ এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় ভবানীপুর। দ্বিতীয়ার্ধে সমতা ফেরানোর মরিয়া চেষ্টা দেখা যায় ইস্টবেঙ্গলের। সাফল্য আসে দ্রুতই। ম্যাচের ৫৪ মিনিটে কুশ ছেত্রীর হেডার ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে। ফিরতি বলে গোল করেন দীপ সাহা। ইস্টবেঙ্গল সমতা ফেরালেও আর কোনও গোল হয়নি।
নির্ধারিত সময়ের শেষ দিকে দীপ সাহার অনবদ্য ফ্রি-কিক। যদিও অল্পের জন্য পোস্টের বাইরে। দারুণ একটা গোল হতে পারত। ম্যাচের সেরার পুরস্কার জেতেন ইস্টবেঙ্গলের দীপ সাহাই। ৯ অগস্ট লিগে ইস্টবেঙ্গলের পরবর্তী ম্যাচ রেলওয়ে এফসির বিরুদ্ধে।