
কৌস্তভ গঙ্গোপাধ্যায়
কলকাতা: মাঠ জুড়ে থকথকে কাদা। শট মারলেই বল আটকে যাচ্ছে ওই কাদায়। আবার কখনও বল মারতে গিয়ে পা ঢুকে যাচ্ছে ওই কাদায়। আটকে যাচ্ছে বুট। বল আটকে গেলে ওখানেই চলছে লাথালাথি। এখানেই শেষ নয়। গুরুতর চোট পেয়েও মাঠ ছাড়ছে অনেক ফুটবলার। এই ছবিটা কলকাতা ময়দানের। রেঞ্জার্স, হাইকোর্ট, টাউন মাঠের একেবারে বেহাল দশা। কয়েকদিন আগে তো অল্প বৃষ্টিতেই মাঠে দাঁড়িয়ে গেল জল। যার ফলে ভেস্তে গেল ম্যাচ। দ্বিতীয় থেকে পঞ্চম ডিভিশনের খেলা চলছে ময়দান জুড়ে। কলকাতা ফুটবল লিগ (Calcutta Football League) এ বার থেকে বয়সভিত্তিক। নিংসন্দেহে ভালো উদ্যোগ। কিন্তু এই বেহাল মাঠে আদৌ কি ভালো ফুটবল (Football) সম্ভব? তার থেকেও বড় প্রশ্ন, বছরের পর বছর কেন ছবি বদলায় না কলকাতা লিগের?
রোজই কোনও না কোনও মাঠে ফুটবলার চোট পেয়ে মাঠ ছাড়ছে। বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে অল্পের জন্য বাঁচছেন ফুটবলাররা। বেহাল মাঠের দায় কে নেবে? আইএফএ-র কাছে কোনও জবাব নেই। চটজলদি লিগ শেষ করতে হবে রাজ্য ফুটবল সংস্থাকে। হাতে সময় খুব কম। এতগুলো ডিভিশনের খেলা। পর্যাপ্ত মাঠেরও অভাব। আইএফএ-কেই তো এটা ভাবতে হবে। লিগ শেষ করার তাগিদ দেখাতে গিয়ে বড়সড় ঝুঁকি হয়ে যাচ্ছে। বয়সভিত্তিক লিগে খেলা এই ফুটবলাররাই ভবিষ্যতের সম্পদ। কিন্তু এ ভাবে কি ভালো ফুটবল হতে পারে? প্রশ্ন উঠছে ময়দানে। অভিযোগ না জানালেও নানা ক্লাবের কর্তারা রীতিমতো ক্ষুব্ধ।
রেঞ্জার্স মাঠে দ্বিতীয় ডিভিশনে ক্যালকাটা ইউনাইটেড বনাম অরুণোদয় ক্লাবের খেলাতেও সোমবার এক ফুটবলার কোমরে গুরুতর চোট পান। অল্পের জন্য বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পান। আইএফএ-র এক কর্তা অবশ্য বলছেন, ‘ওই ম্যাচে দুই দল মিলিয়ে ৫টা লাল কার্ড দেখেছে। বোঝাই যাচ্ছে না, ওই মাঠে ফুটবল হয়েছে নাকি রেসলিং!’
আইএফএ-র ওই কর্তা সাফাই গাইলেও, মাঠের বেহাল দশা কে নেবে? যাই বলা হোক না কেন, ব্যাখ্যা যাই দেওয়া হোক না কেন, আড়াল করা যাবে না আইএফএ-কে। বরং নতুন কমিটিকে বিষয়টা নিয়ে ভাবতেই হবে।