East Bengal vs Mohun Bagan: মাঠে ইস্টবেঙ্গল ফুটবলাররা, মোহনবাগান টিম নামাল না, ডার্বি পরিত্যক্ত
CFL, Kolkata Derby: পরিত্যক্ত হয়ে গেল কলকাতা লিগের ডার্বি। আজ নৈহাটি স্টেডিয়ামে কলকাতা লিগে মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানের। যদিও টিম পাঠায়নি মোহনবাগান। কলকাতা লিগে আগেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মহমেডান স্পোর্টিং। টানা তিন বার লিগ চ্যাম্পিয়ন মহমেডান। তখন থেকেই ডার্বি নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল। অনেকেই প্রশ্ন তুলছিলেন ডার্বি কেন আগে করা হয়নি, সে প্রসঙ্গে আইএফএ সচিব জানিয়েছিলেন, দু-দলের অনেক প্লেয়ারই জাতীয় দলে ছিলেন। সে কারণে এতটা দেরি হয়েছে।

কলকাতা: পরিত্যক্ত হয়ে গেল কলকাতা লিগের ডার্বি। আজ নৈহাটি স্টেডিয়ামে কলকাতা লিগে মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানের। যদিও টিম পাঠায়নি মোহনবাগান। ইস্টবেঙ্গল টিম অবশ্য নির্ধারিত সময়েই পৌঁছে গিয়েছিল। ম্যাচ কমিশনার তাদের একঘণ্টা অপেক্ষা করতে বলে। যদিও মোহনবাগান টিম না পৌঁছনোয় ডার্বি পরিত্যক্ত হয়ে যায়। এমন আশঙ্কা ছিলই। এর কারণও রয়েছে। ডার্বি যে সূচি মেনে নাই হতে পারে, আভাস ছিল বাংলা ফুটবল সংস্থার কাছেও। বিস্তারিত রইল TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
আরও বেশি করে স্থানীয় প্রতিভা তুলে আনতে এ বার থেকে রাজ্যস্তরের লিগগুলি বিদেশিহীন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থা। কলকাতা লিগও হয়েছে বিদেশিহীন। বেশির ভাগ দলই তরুণ ফুটবলারদের নামিয়েছে। ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগানও একই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। বেশ কিছু তরুণ প্রতিভা উঠে এসেছে। জুনিয়র দল থেকে সিনিয়র টিমে জায়গা করে নিয়েছেন অনেকেই। তবে ডার্বির সেই আগ্রহ যেন ছিল না। কলকাতা লিগে আগেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মহমেডান স্পোর্টিং। টানা তিন বার লিগ চ্যাম্পিয়ন মহমেডান। তখন থেকেই ডার্বি নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল।
ইস্টবেঙ্গল কোচ বিনো জর্জ ডার্বি ভেস্তে যাওয়ায় বলেন, ‘ডার্বি ঐতিহ্যের ম্যাচ। আমরা তৈরি ছিলাম। প্লেয়াররাও তৈরি ছিল। এটি ভারতবর্ষের সেরা ম্যাচ। পরবর্তী সিদ্ধান্ত আইএফএ নেবে।’ লিগে রানার্স হয়েছে ইস্টবেঙ্গল। সেই প্রসঙ্গে বিনো জর্জ বলেন, ‘আমাদের ছোট ভুলে চ্যাম্পিয়নশিপ হাতছাড়া তৈরি হয়েছে। ডার্বি থেকে নতুন প্লেয়ার উঠে আসে। আমাদের প্লেয়াররা ওয়ার্ম আপও করেছে। আমরা রানার্স, এটাই বিশ্বাস করছি।’
সূচি নিয়েই কি কোনও সমস্যা ছিল মোহনবাগানের? দু-দিন আগেই আইএফএ সচিব অনির্বাণ দত্ত বলেছিলেন, ‘ডার্বিটার জন্যই লিগ সম্পূর্ণ করা যাচ্ছিল না। সম্প্রচারকারীদের তরফে আমাদের ফোনও করা হয়েছিল। ওরা ক্ষোভ প্রকাশ করছিল। একটা ম্যাচের জন্য লিগ অসম্পূর্ণ রাখার কোনও কারণ হয় না। মোহনবাগানের ২৭ তারিখ ম্যাচ ছিল। সেখানেই ৩০ তারিখ ডার্বির দিন ঠিক করা হয়েছে।’ অনেকেই প্রশ্ন তুলছিলেন ডার্বি কেন আগে করা হয়নি, সে প্রসঙ্গে আইএফএ সচিব জানিয়েছিলেন, দু-দলের অনেক প্লেয়ারই জাতীয় দলে ছিলেন। সে কারণে এতটা দেরি হয়েছে।





