কলকাতা: আইএফএর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মদন মিত্র। কলকাতা লিগের প্রথম ডিভিশনে গড়াপেটার অভিযোগ। আইএফএ সব জেনেও নাকি চুপ! তাঁর দাবি, টেবলের তলায় খেলা চলছে। আর তাতেই সুপার সিক্সে উঠতে ব্যর্থ মদন মিত্রর বেলঘরিয়া অ্যাথলেটিক ক্লাব। অনুশীলনী ক্লাব শেষ দু ম্যাচে ১৩ গোল দিয়ে চলে গিয়েছে পরের রাউন্ডে। বেলঘরিয়ার বিরুদ্ধে দল নামায়নি মহমেডান এসি। আর তাতে গোল পার্থক্যে পিছিয়ে পড়ে মদন মিত্রর ক্লাব বেলঘরিয়া অ্যাথলেটিক। যা নিয়ে প্রবল ক্ষুব্ধ কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র। আইএফএ-র সামনে ধর্নার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন। এ ছাড়া আইনি পদক্ষেপেরও হুমকি। বিস্তারিত রইল TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
কেন এমন অভিযোগ? প্রথম ডিভিশন লিগে অনুশীলনী ক্লাবের ৯ ম্যাচে গোলপার্থক্য ছিল +৫। বেলঘরিয়ার ৯ ম্যাচে গোলপার্থক্য ছিল +১৩। শেষ দুটি ম্যাচে সেইলকে ৭ এবং মহমেডান এসিকে ৬ গোল, অর্থাৎ এই দু-ম্যাচে ১৩ গোল দিয়েছে অনুশীলনী ক্লাব। মহমেডান এসি ৬ গোল খাওয়ার পর কোচ নাসিম আখতারকে সরিয়ে দেওয়া হয়। ময়দানে জোর কানাঘুষো, অনুশীলনী ক্লাবের সঙ্গে এই ক্লাবগুলির ‘বন্ধুত্ব’ গভীর। অনুশীলনী ক্লাব যাতে পরের রাউন্ডে খেলতে পারে, সেই সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হয়েছে বলেই অভিযোগ।
এই অঙ্কের জেরেই বেলঘরিয়া পরের রাউন্ডে যাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছে বলে অভিযোগ। বেলঘরিয়ার ম্যাচ বাকি ছিল মহমেডান এসির সঙ্গে। ম্যাচ হলে গোল পার্থক্যে অনুশীলনী ক্লাবকে ছাপিয়ে যেতে পারতো বেলঘরিয়া। সেক্ষেত্রে পরের রাউন্ডে উঠতে পারত মদন মিত্রর ক্লাব। পয়েন্ট সমান হলেও গোলপার্থক্যে এগিয়ে গিয়েছে অনুশীলনী। সে কারণে এমন অভিযোগ উঠছে। যে অনুশীলনী ক্লাব ৯ ম্যাচে এত গোল করতে পারেনি, রাতারাতি এমন কী উন্নতি হল যে দুই ম্যাচে ১৩ গোল! সূত্রের খবর, আইএফএ-র অন্দরেও এই নিয়ে প্রবল ঝড় উঠেছে। আইএফএ-র শীর্ষকর্তাদের বিরুদ্ধেও আঙুল উঠছে।