
কলকাতা: সুপার কাপ শুরু হতে বাকি সাত দিন। তার আগে চরম ডামাডোল সুপার কাপ নিয়ে। গোয়ার টিম চার্চিল ব্রাদার্স ইতিমধ্যে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে, সুপার কাপ খেলতে ইচ্ছুক নয় তারা। যদিও সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের পক্ষ থেকে সরকারি ভাবে কিছুই জানানো হয়নি এখনও। চার্চিলের এই সিদ্ধান্ত অবশ্য এআইএফএফের উপর ক্ষোভের কারণেই নেওয়া। আই লিগের মতো টুর্নামেন্ট নিয়ে ফেডারেশনের মনোভাবেই চটেছে তারা। শুধু চার্চিল নয়, ক্ষুব্ধ আরও অনেক ক্লাব।
আই লিগ শেষ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এখনও ঘোষণা হয়নি লিগ চ্যাম্পিয়ন কারা। লিগ টেবলের দিকে যদি নজর রাখা হয়, দেখা যাবে লিগ শীর্ষে রয়েছে চার্চিল ব্রাদার্স। ২২ ম্যাচ খেলে ৪ ০পয়েন্টে নিয়ে শীর্ষে রয়েছে তারা। ঠিক পরেই রয়েছে উত্তরপ্রদেশের দল ইন্টার কাশী। ২২ ম্যাচ খেলে ৩৯ পয়েন্ট তাদের। তা হলে সমস্যা কোথায়? চার্চিল ১ পয়েন্টে এগিয়ে ইন্টার কাশীর থেকে। সোজা হিসেবে চার্চিলই চ্যাম্পিয়ন। সমস্যাটা এখানেই।
আই লিগের একটি ম্যাচে ইন্টার কাশী ও নামধারী এফসি মুখোমুখি হয়েছিল। ওই ম্যাচে নামধারী এফসি অবৈধ ভাবে বিদেশি প্লেয়ার খেলায়। সেই ম্যাচের তিন পয়েট যদি কাশী পায়, তা হলে চ্যাম্পিয়ন হবে তারাই। বিষয়টি এখন এআইএফএফ-এর আপিল কমিটির কাছে আছে। সেখানে ঠিক হবে, কে চ্যাম্পিয়ন হবে এ বারের আই লিগে। তবে সুবিচার না পেলে কোর্ট অফ আরবিট্রেশনে যাওয়ার হুমকি দিয়ে রেখেছে ইন্টার কাশী।
চার্চিলের কর্ণধার আলেমাও চার্চিল বলেছেন, “চার্চিল সুপার কাপ খেলবে কিনা, সেটা এখনই বলতে পারছি না। আমরা এখনও বিচার পাইনি। আমাদের এখনও আই লিগ ট্রফি দেওয়া হয়নি।” শুধু চার্চিলই নয়, আই লিগের অন্য ক্লাবগুলি অর্থাৎ নামধারী, দিল্লি এফসি, আইজল এফসি, রিয়াল কাশ্মীর, শ্রীনিধি ডেকানও অভিযোগ করছে। তারা স্পষ্ট জানিয়েছে, ইন্টার কাশীকে বেশ কিছু ম্যাচে বাড়তি সুবিধা দেওয়া হয়েছে।