লিসবন: বিনা অনুমতিতেই চলছিল অনলাইন ব্যবসা। মহাতারকার ছবি ও সই ব্যবহার করার জন্য হুড়মুড়িয়ে কিনছিলেন ভক্তরা। কিন্তু কে জানত, ঠিক নজরে পড়ে যাবেন। হয়েওছে তাই। তারই জেরে রীতিমতো বিপাকে পেগাসো নামের এক সংস্থা। বিশ্ব জুড়ে এমন কাণ্ড হয়তো অনেকেই করছেন। আইনি জটিলতাতে পড়লেও সেই সব সংস্থা খবরে আসে না। এ ক্ষেত্রে ব্যাপারটা একেবারে অন্য রকম। আরও ভালো করে বললে, ওই সুপারস্টারের নাম জড়ানোতেই আরও চাপে পড়ে গিয়েছে পেগাসো নামের কোম্পানি। জানেন এই কোম্পানি কার? হুগো ডস স্যান্টোস আভেইরো। নাম বললে চিনতে পারবেন না অনেকেই। কিন্তু যদি বলা হয়, ইনি ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর (Cristiano Ronaldo) দাদা, তা হলে হয়তো অবাক হবেন সকলে। জার্সি জালিয়াতি কাণ্ডে শুধু যে হুগোর নাম জড়িয়েছে তাই নয়, জড়িয়ে গিয়েছে সিআর সেভেনের নামও। বিস্তারিত TV9 Bangla Sports–এর এই প্রতিবেদনে।
ঘটনা প্রথম নজরে পড়ে ২০১৯ সালে। তখন রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে ইতালির ক্লাব জুভেন্তাসে যোগ দিয়েছেন রোনাল্ডো। সেই সময়ই দেখা যায়, তুরিনের ক্লাবের জার্সি হুগোর সংস্থা পেগাসো অনলাইনে বিক্রি করছে। বিশ্বের যে কোনও বড় ক্লাব তাদের জার্সির পেটেন্ট নিয়ে রাখে। জার্সি বিক্রি করতে গেলে অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু জুভেন্তাসের কাছ থেকে কোনও অনুমতিই নেননি রোনাল্ডোর দাদা। তার উপর তিনি ব্যবহার করছিলেন রোনাল্ডোর ছবি ও সই। সিআর সেভেন সেই সময় ইতালির ওই ক্লাবে খেলতেন বলেই কি এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন হুগো? তার উত্তর নেই। ২০১৯ সালেই হুগোর সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়। Corriere dello Sports-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, জার্সি জালিয়াতি যে হয়েছে, সন্দেহ নেই। তবে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, ক্ষতিপূরণ দিতে হবে কিনা, তা অবশ্য এখনও জানা হয়নি। কিন্তু দাদার এমন কাণ্ডে রোনাল্ডোও কিছুটা অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছেন।
২০১৯ সালের পর রোনাল্ডোর জীবনে অনেক বদল এসেছে। জুভেন্তাস তাঁকে আর রাখতে চায়নি। ইতালির ক্লাব থেকে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু ছেলেবেলার ক্লাবে ফেরা খুব একটা সুখকর হয়নি। কোচ এরিক টেন হ্যাগের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক ইন্টারভিউ দেওয়ার জন্য তাঁর সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে ক্লাব। কাতার বিশ্বকাপের পর সৌদির ক্লাব আল নাসিরিতে যোগ দিয়েছেন রোনাল্ডো। সৌদি আরবের ফুটবলে লিগে জোয়ার এসেছে রোনাল্ডোর জন্য। কিন্তু মাঠ ও মাঠের বাইরের বিতর্ক যে পিছু ছাড়ছে না তাঁর।