
কথায় আছে, ‘দশে মিলে করি কাজ, হারি জিতি নাহি লাজ।’ মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট বোধ হয় এই কথায় অনেক বেশি বিশ্বাসী। ঐতিহ্যের ডুরান্ড কাপ। ১৩২তম সংস্করণ। সুপার সান ডে-তে ফাইনাল। তাও আবার স্বপ্নের। ২০০৪ সালের পর ফের ডুরান্ড কাপের ফাইনালে মুখোমুখি ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান। সে বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। লাল হলুদ শিবিরে দীর্ঘ সময় ট্রফি ঢোকেনি। শেষ বার ২০১২ সালে জাতীয় স্তরের ট্রফি ঢুকেছিল ইস্টবেঙ্গলে। এ দিন দারুণ সুযোগ ছিল তাদের কাছে। কিন্তু রক্ষণাত্মক মানসিকতা সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার হল না। দিমিত্রি পেত্রাতোসের একমাত্র গোলে চ্যাম্পিয়ন মোহনবাগান। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
ম্যাচের ৬১ মিনিটে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড তথা রেড কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন মোহনবাগানের তরুণ স্ট্রাইকার অনিরুদ্ধ থাপা। এ বছরই মোহনবাগানে সই করেছেন জাতীয় দলের এই তরুণ ফুটবলার। তিনি মাঠ ছাড়তেই প্রবল চাপে মোহনবাগান গ্যালারি। স্তব্ধতা। যেন পিন পড়লে শব্দ শোনা যাবে। মরসুমের প্রথম ডার্বি হেরে এমনিতেই অস্বস্তিতে ছিল সবুজ মেরুন। আরও একবার কি সেই পথেই! দশ জনের মোহনবাগান যেন সেই প্রবাদে বাড়তি ভরসা করতে শুরু করল। বল পজেশনে ম্যাচের শুরু থেকেই অনেকটা এগিয়ে ছিল মোহনবাগান। কিন্তু দশজনের মোহনবাগান এমন খেল দেখাবে, সেটা কে ভেবেছিল!
গত মরসুমে মোহনবাগানের আইএসএল জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন দিমিত্রি পেত্রাতোস। চোখে সমস্যা রয়েছে। তা নিয়েই প্রস্তুতি চালিয়ে যান। ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দিলেন তিনিই। ম্যাচের ৭১ মিনিটে কার্যত নিজের হাফ থেকে বল নিয়ে সোলো রান। ইস্টবেঙ্গল মাঝমাঠ কি বুঝতে পারলেন না বিপদ ঘনিয়ে আসছে? ইস্টবেঙ্গল বক্সে পৌঁছনোর আগেই শট করলেন দিমিত্রি পেত্রাতোস। অনবদ্য একটা গোল। দশ জনের মোহনবাগানের প্রতিনিধি হিসেবে মাঠে দাপট ৯ নম্বর জার্সির পেত্রাতোসের। গোল করেই গ্যালারির দিকে দৌড়। ট্রফিটাই উপহার দিলেন সমর্থকদের।