East Bengal vs Mohun Bagan: ডুরান্ড ফাইনালে ডার্বি: প্রত্যাবর্তন-প্রতিশোধ-ট্রফি, দুই ক্লাব জোড়া লক্ষ্য
Durand Cup 2023 FINAL, Match Preview: ডুরান্ড কাপে স্বপ্নের ফাইনাল। ফুটবল প্রেমীদের প্রত্যাশা, বিউটিফুল গেমের স্পিরিট বজায় থাকুক, যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে একটা সুন্দর ম্যাচ হোক। ট্রফি যে দলের হাতেই উঠুক, ম্যাচটা যেন ইতিবাচক দিক থেকে স্মরণীয় হয়ে থাকে।

প্রতিযোগিতার এক্কেবারে শুরুতে কেউ এমনটা হলপ করে বলতে পেরেছিল! বিশেষত ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান দুটি করে ম্যাচ খেলার পর! প্রথম দু-ম্যাচেই বড় ব্যবধানে জিতেছিল মোহনবাগান। নকআউট যেন সময়ের অপেক্ষা। খোলনলচে বদলে ফেলা ইস্টবঙ্গল প্রথম ম্যাচেই ২-০ এগিয়ে থেকে ড্র করে মাঠ ছাড়ে। ইস্টবেঙ্গল শিবিরে আত্মবিশ্বাস বাড়ে মরসুমের প্রথম ডার্বিতেই। টানা আটটি ডার্বি হারের জ্বালা নিয়ে নেমেছিল ইস্টবেঙ্গল। তার ওপর মোহনবাগান সেট টিম। ইস্টবেঙ্গল শিবিরে আনন্দ উপহার দিয়েছিলেন নন্দকুমার। পেরিয়ে গিয়েছে আরও কয়েকটা ম্যাচ। এর মধ্যে ছিল বিতর্কও। ১৩২তম ডুরান্ড কাপের ফাইনালে ফের মুখোমুখি দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান। দু-দলেরই প্রধান লক্ষ্য ট্রফি। পাশাপাশি এক দলের লক্ষ্য প্রত্যাবর্তন, আর এক দলের পুনরাবৃত্তি। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
কলকাতা ফুটবলই শুধু নয়, ভারত এবং বিশ্ব ফুটবলেরও স্মরণীয় মুহূর্ত। ২০০৪ সালের পর ফের ডুরান্ড কাপের মতো ঐতিহ্য়ের টুর্নামেন্টের ফাইনালে মুখোমুখি হতে চলেছে ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান। যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ফুটবল উৎসব। শেষ বার ২০১৬ সালে মোহনবাগানকে টানা দু-ম্যাচে হারিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। ট্রফি জিততে একই পরিসংখ্যান আরও একবার মজবুত করতে হবে। এ মরসুমের আগে অবধি অবশ্য ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা প্রত্যাশা নিয়ে মাঠে এসেছেন, হতাশা নিয়ে ফিরেছেন। টানা আটটি ডার্বি জিতেছিল মোহনবাগান। মরসুমের প্রথম ডার্বি জিতে সমর্থকদের ক্ষতে কিছুটা প্রলেপ দিতে পেরেছে ইস্টবেঙ্গল শিবির। ফাইনালে তাদের হারিয়ে ট্রফি জিতলে অনেকটা ক্ষত কমবে লাল-হলুদ শিবিরে।
মোহনবাগানের নতুন বিদেশি ডিফেন্ডার হেক্টর ইউস্তে গ্রুপ পর্বের ডার্বিতে খেলার সুযোগ পাননি। এ বার হয়তো ডার্বির স্বাদ পেতে চলেছেন। ফাইনালে তিন জনের রক্ষণ ভাগ নাকি চারজনের, সেই প্রসঙ্গেই ইউস্তে বলছেন, ‘ডার্বি খেলতে মুখিয়ে রয়েছি। আমাকে যে পজিশনেই খেলাক, সুযোগ পেলেই হল। এমনকি আমাকে যদি গোলকিপার পজিশনেও খেলাতে চায়, আমি রাজি।’
ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের অন্যতম পছন্দের ফুটবলার হয়ে উঠেছেন নতুন বিদেশি বোরহা হেরেরা। কার্লেসের পরিকল্পনার গুরুত্বপূর্ণ অংশ বোরহা। প্রথম ডার্বির আবেগের মুহূর্তগুলো এখনও চোখের সামনে ভাসছে যেন। তাঁর কথায়, সেই মুহূর্তগুলো যেন আরও সতেজ হল। ‘বৃষ্টি পড়ছে, সমর্থকরা জয়ের আনন্দে কাঁদছে। আরও একটা কঠিন ম্যাচ হতে চলেছে। দু-দলই ট্রফি জিততে চাইবে। এটা ফাইনাল। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। ট্রফি জেতার জন্য সর্বস্ব দিয়ে লড়াই করব।
ডুরান্ড কাপে স্বপ্নের ফাইনাল। ফুটবল প্রেমীদের প্রত্যাশা, বিউটিফুল গেমের স্পিরিট বজায় থাকুক, যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে একটা সুন্দর ম্যাচ হোক। ট্রফি যে দলের হাতেই উঠুক, ম্যাচটা যেন ইতিবাচক দিক থেকে স্মরণীয় হয়ে থাকে।





