কলকাতা: কয়েকদিন আগের কথা। যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে চলছে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট বনাম মুম্বই সিটি এফসি। কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচ। যে জিতবে, তাদের মুখোমুখি হতে হবে। টিম কলকাতা আসার আগেই গুয়াহাটি থেকে এখানে পৌঁছে যান এফসি গোয়া কোচ মানোলো মার্কুয়েজ। সরাসরি যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে। সঙ্গে সহকারী কোচ। ম্যাচের মাঝপথেই বুঝে যান, তাদের সম্ভাব্য় প্রতিপক্ষ মোহনবাগান। সেখান থেকেই হোমওয়ার্ক শুরু। আজ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ফাইনালের টিকিটের লক্ষ্যে নেমেছিল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট ও এফসি গোয়া। ম্যাচ শেষে অবশ্য় কোনও হোমওয়ার্ক কাজে এল না। বিতর্ক একটা থাকলই। আর তা নিয়েই বিস্ফোরণ এফসি গোয়া কোচ মানোলো মার্কুয়েজের। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
ম্যাচের বয়স তখন ৩৮ মিনিট। বল নিয়ে প্রতিপক্ষ বক্সে এগোচ্ছিলেন মোহনবাগানের উইঙ্গার আশিক কুরুনিয়ান। তাঁকে আটকানোর মরিয়া চেষ্টা করেন এফসি গোয়ার ডিফেন্ডার জয় গুপ্ত। সামলাতে না পেরে আশিকের পায়ে মারেন। যদিও সেই কনট্যাক্ট হয়েছে বক্সের বাইরে। কড়া ট্যাকলে বক্সের ভেতরে পড়েন আশিক। ফ্রি-কিক নাকি পেনাল্টি এই নিয়ে রেফারি এবং সহকারী রেফারির মধ্যে দীর্ঘ আলোচনা হয়। রেফারি পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন। স্পট কিক থেকে সমতা ফেরানোর গোল করেন জেসন কামিন্স। এই সিদ্ধান্ত নিয়েই যাবতীয় বিতর্ক।
ম্যাচ শেষে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন এফসি গোয়া কোচ মানোলো মার্কুয়েজ। মুখ খুলব কি খুলব না করে বিস্ফোরক মন্তব্য এফসি গোয়ার স্প্যানিশ কোচের। বলছেন, ‘রেফারিং নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাই না। এটাই ভারতীয় ফুটবল। ভারতে প্রথম কোচিং করাচ্ছি না। এর সঙ্গে আমরা পরিচিত। এ আর নতুন কী! পুরোটাই যেন স্বাভাবিক ঘটনা। শুধু এই ম্যাচ কেন, আইএসএল ফাইনালেও বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে সুবিধা পেয়েছিল মোহনবাগান।’
এর আগে এফসি গোয়ার কোচ ছিলেন ফেরান্দো। প্রাক্তন দলের বিরুদ্ধে ম্যাচ জিতে রেফারিং কিংবা তাদের বর্তমান কোচ মার্কুয়েজের মন্তব্য নিয়ে ভাবছেন না মোহনবাগান কোচ হুয়ান ফেরান্দো। পেনাল্টি সিদ্ধান্ত প্রশ্নে বলছেন, ‘রেফারির ওই সিদ্ধান্ত নিয়ে কিছু বলতে চাই না। গোয়া কোচের অনেক কিছু মনে হতেই পারে। গোয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচে আমাদেরও জনি কাউকো চোট পেয়েছিল ট্যাকেলে। সে বারও রেফারি সেটা ফাউল মনে হয়নি। আমরা এসব নিয়ে ভাবতে চাই না। এই ম্যাচেও তাই পেনাল্টি নিয়ে আলাদা করে কিছু বলতে চাই না।’
ম্যাচ শেষ, উন্মাদনা শুরু। তবে সেটা গোয়া বনাম মোহনবাগান নিয়ে নয়। কলকাতার ফুটবল সমর্থকরা ফুটছেন রবিবারের ম্যাচ নিয়ে। ডুরান্ড কাপের ফাইনালে ফের কলকাতা ডার্বি। মরসুমে দ্বিতীয় বার, একই টুর্নামেন্টে ফের ডার্বি। উত্তেজনা চরম পর্যায়ে পৌঁছনোই স্বাভাবিক।