কলকাতা: বিদেশের ক্লাবের ভাবনায় এ বার পথ হাঁটা শুরু ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal)। ক্রাউড ফান্ডিং (Crowdfunding) শুরু করতে চলেছে লাল-হলুদ। সমর্থকদের দেওয়া অর্থ ব্যবহার করা হবে ক্লাবের পরিকাঠামোয়। ময়দানকে নতুন পথ দেখাতে চলেছে ইস্টবেঙ্গল। যদিও এর আগে ইউনাইটেড স্পোর্টস এমন দিশা দেখিয়েছিল। তবে বড় ক্লাবগুলোর মধ্যে প্রথম এই পদক্ষেপ ইস্টবেঙ্গলেরই। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গাতেই ক্রাউড ফান্ডিংয়ের আবেদন জানাতেন সমর্থকরা। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে বুধবার ক্লাবের কার্যকরী কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। ক্লাবের পরিকাঠামো, স্পোর্টস ও যুব উন্নয়নে এই অর্থ ব্যবহার করা হবে। প্রয়োজনে সিনিয়র দলের জন্যও এই অর্থ ব্যবহার করা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে ক্লাবের ফুটবল টিম পরিচালিত বোর্ডই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। প্রাথমিক ভাবে পরিকাঠামো এবং ইয়ুথ ডেভেলপমেন্টের জন্যই সেই অর্থ ব্যবহার করতে চায় ক্লাব। ক্রাউড ফান্ডিংয়ের জন্য একটি নির্দিষ্ট ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও খুলেছে ক্লাব। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports এর এই প্রতিবেদনে।
বিদেশে বসবাসকারী অনেক ইস্টবেঙ্গল সমর্থকই চান ক্লাবের তহবিলে অর্থ দান করতে। তাই সেই সমস্ত সমর্থকদের ক্ষেত্রে আর কোনও বাধা রইল না। ক্রাউড ফান্ডিংয়ের জন্য নির্দিষ্ট অর্থের পরিমাণ উল্লেখ না থাকলেও ইস্টবেঙ্গল কর্তা দেবব্রত সরকার বলেন, ‘আশা করি, যারা ক্লাবকে ভালোবেসে ফান্ডিং করবে, তারা নিজেদের বিচার বুদ্ধি মেনেই করবে।’ যারা অর্থ দান করবেন, তাদেরকে ক্লাবের তরফ থেকে বিশেষ সংশাপত্র দেওয়া হবে।
এ দিকে, ইস্টবেঙ্গলের সহকারী কোচ হলেন বিনো জর্জ। অনেকের নাম ভাসলেও বায়োডাটা দেখে বিনোকেই নিজের ডেপুটি হিসেবে বেছে নিয়েছেন হেড কোচ কার্লস কুয়াদ্রাত। এ বছর বিনোর কোচিংয়ে প্রশংসনীয় ফুটবলই খেলে ইস্টবেঙ্গলের রিজার্ভ দল। সহকারী কোচ হওয়ার পাশাপাশি যুব দলের দেখভালের দায়িত্বেও থাকবেন বিনো। কলকাতা লিগ আর ডুরান্ড কাপে নিজেদের মাঠেই খেলতে চায় ইস্টবেঙ্গল।
সিনিয়র দল নিয়ে কয়েক দিন আগেই ইনভেস্টরকে চিঠি দেয় ক্লাব। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মতো দল গড়ার কথা জানায় ক্লাব। সেই চিঠির ক্লাবকে না দিলেও আলোচনা করে ইনভেস্টর কর্তারা। বিনিয়োগকারী সংস্থা দলগঠন প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছে।
মহিলা দলের কোচ সুজাতা করের পদত্যাগ ইস্যুতে টিম ম্যানেজার ইন্দ্রানী সরকারের রিপোর্ট দেখে সিদ্ধান্ত নেবে ক্লাব। ক্লাবের কর্তা দীপ্তেন বোসের বিরুদ্ধে কুরুচিকর আচরণের অভিযোগ এনে পদত্যাগ করেছিলেন সুজাতা। ক্লাবের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার বলেন, ‘পদত্যাগ করার পরও কি ভাবে পরের ম্যাচে বেঞ্চে বসল? কলকাতায় এলে ওর সঙ্গে কথা বলব। ম্যানেজারের রিপোর্টকে আমরা গুরুত্ব দেব। কেউ দোষ করলে পার পাবে না।’