East Bengal: টেবিলের কোন পজিশন টার্গেট ইস্টবেঙ্গলের? উত্তর দিলেন কুয়াদ্রাত

Carles Cuadrat: চার বছর পর এবার ডার্বি জিতেছে ইস্টবেঙ্গল। ডুরান্ড কাপে রানার্স আপ হয়েছে লাল-হলুদ। দল এবারে আগের বছরের চেয়ে ভালো জায়গায় শেষ করবে, আশাবাদী ইস্টবেঙ্গল অধিনায়ক ক্লেটন সিলভা। কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতও স্বপ্ন দেখাচ্ছেন সমর্থকদের। আইএসএলে কখনও প্লে অফ খেলেনি ইস্টবেঙ্গল। এ বার সেটাই কার্যত প্রাথমিক টার্গেট হতে চলেছে। যদিও কোন পজিশনে দলকে শেষ করার লক্ষ্য, তা বলতে নারাজ কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত।

East Bengal: টেবিলের কোন পজিশন টার্গেট ইস্টবেঙ্গলের? উত্তর দিলেন কুয়াদ্রাত
টেবিলের কোন পজিশন টার্গেট ইস্টবেঙ্গলের? উত্তর দিলেন কুয়াদ্রাতImage Credit source: East Bengal

| Edited By: সঙ্ঘমিত্রা চক্রবর্ত্তী

Sep 13, 2023 | 1:17 PM

কলকাতা: ২১ তারিখ থেকে শুরু আইএসএল। ২৫ তারিখ ঘরের মাঠে জামশেদপুরের বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে লিগ অভিযান শুরু করবে ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। লাল-হলুদকে ঘিরে এ বার প্রত্যাশা বেড়েছে। শেষ কয়েক বছর ধরে শুধু ব্যর্থতাই সঙ্গী থেকেছে। চার বছর পর এবার ডার্বি জিতেছে ইস্টবেঙ্গল। ডুরান্ড কাপে রানার্স আপ হয়েছে লাল-হলুদ। দল এবারে আগের বছরের চেয়ে ভালো জায়গায় শেষ করবে, আশাবাদী ইস্টবেঙ্গল অধিনায়ক ক্লেটন সিলভা। কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতও স্বপ্ন দেখাচ্ছেন সমর্থকদের। আইএসএলে কখনও প্লে অফ খেলেনি ইস্টবেঙ্গল। এ বার সেটাই কার্যত প্রাথমিক টার্গেট হতে চলেছে। যদিও কোন পজিশনে দলকে শেষ করার লক্ষ্য, তা বলতে নারাজ কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত। বললেন, ‘টেবিলের পজিশন দিয়ে কিছু বিচার হয়না। তবে ভালো জায়গায় শেষ করতে চাই।’ তবে এসবের মাঝেই ইস্টবেঙ্গল কোচের চিন্তা বাড়িয়েছে জর্ডন এলসের চোট। বেশ কয়েকমাস মাঠের বাইরে থাকতে হবে অজি স্টপারকে। তা অবশ্যই ভাবনার বিষয়। এলসের বিকল্প খোঁজাও শুরু হয়ে গিয়েছে। যদিও সেই ব্যাপারে সামনাসামনি সে ব্যাপারে মুখ খুললেন না কুয়াদ্রাত। তবে পাঁচ বিদেশি নিয়ে অধিকাংশ সময় খেলা অনেকটাই চাপের। TV9Bangla Sportsএর এই প্রতিবেদনে বিস্তারিত।

ডুরান্ডে দল রানার্স হয়েছে। ট্রফির স্বপ্ন দেখাচ্ছেন কুয়াদ্রাত। আইএসএলের মিডিয়া ডে-তে এসে লাল-হলুদ কোচ বললেন, ‘আমরা একটা প্রসেসের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। দীর্ঘ সময় লাগতে পারে। সাফল্য চট করে আসেনা। সময় লাগে। সেটাই চলছে। দলে বেশ কয়েকজন ভালো ফুটবলার আছে। এটাই ইতিবাচক দিক।’

জাতীয় দল বনাম ক্লাব ইস্যু আবার মাথাচাড়া দিয়েছে। ইতিমধ্যেই ইস্টবেঙ্গলের তরফ থেকে ফেডারেশনকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে মহেশ আর লালচুংনুঙ্গাকে ছাড়তে রাজি নয় তারা‌। এ প্রসঙ্গে কুয়াদ্রাত বলেন, ‘ফিফা ক্যালেন্ডার আমাদের কাছে আছে। সেই মতোই আমরা প্ল্যানিং তৈরি করি। জাতীয় দলের জন্য কোন কোন ফুটবলারকে নেওয়া যেতে পারে সেই তালিকা আমরা ফেডারেশনকে পাঠিয়ে দিয়েছি।’

ইস্টবেঙ্গলের রিজার্ভ দলের বেশ কয়েকজন ফুটবলার কলকাতা লিগে নজর কেড়েছে‌। সেটা কোচের নজরেও পড়েছে। রিজার্ভ দল থেকে বেশ কয়েকজনকে সিনিয়র দলে আইএসএলের জন্য ডাকতে পারেন কুয়াদ্রাত। এরই সঙ্গে ইস্টবেঙ্গল কোচ বলেন, ‘যে কোনও প্রজেক্টের পিছনেই একটা যুদ্ধ থাকে। আমরা বিভিন্ন ট্যাকটিকসে ফুটবলারদের খেলিয়ে পরখ করে নিচ্ছি। কঠোর অনুশীলনই সাফল্যের একমাত্র উপায়।’

এলসে চোটের জন্য ছিটকে গিয়েছে। লালচুংনুঙ্গাকে নিয়ে জাতীয় দল আর ক্লাবের দড়ি টানাটানি চলছে। রক্ষণ সামলাতে তাই বাড়তি নজর থাকবে গুরসিমরত সিং গিলের দিকে। দলকে ভরসা দেওয়ার আশ্বাস শোনা গেল প্রভসুখন গিলের দাদার গলায়।

ডুরান্ডের প্রথম ডার্বির নায়ক নন্দকুমার যেমন বললেন, বড় ম্যাচে গোলের পর আমার জীবন অনেকটা পাল্টে গিয়েছে। সমর্থকদের আব্দারও বেড়েছে। পরিবার, বন্ধুদের কাছেও আমি একপ্রকার তারকা হয়ে গিয়েছি। লাল-হলুদ জার্সিই নন্দর জীবন পাল্টে দিয়েছে। আইএসএলেও ইস্টবেঙ্গলকে সাফল্য দিতে মরিয়া নন্দ।

এ দিকে ওড়িশা এফসির কোচ সের্জিও লোবেরার সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ আড্ডা দিলেষ ইস্টবেঙ্গল কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত। মরসুমের শুরুতে এই লোবেরাই লাল-হলুদের কোচের দৌড়ে এগিয়ে ছিলেন। শেষ মুহূর্তে তিনি চলে যান ওড়িশায়। ইস্টবেঙ্গলের দায়িত্ব নেন কুয়াদ্রাত। লোবেরাকে সাংবাদিক সম্মেলনে সেই প্রশ্ন করা হলে, স্প্যানিশ কোচের উত্তর, ‘আমি অতীতের বিষয়ে কোনও কথা বলতে চাই না। আমি এখন ওড়িশায় আছি। এটা নিয়েই ভাবতে চাই। এখানে এসে আমি খুশি। ইস্টবেঙ্গলকে অনেক সম্মান জানাই। সমর্থকদের আবেগকেও সম্মান। তবে আমি ওড়িশায় ভালো আছি।’