ফতোরদা: মরসুমের এগারো নম্বর হার। এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচে ২-৪ গোলে হার ইস্টবেঙ্গলের। যদিও দ্বিতীয়ার্ধে ইস্টবেঙ্গলের খেলা কিছুটা হলেও স্বস্তি দিতে পারে। তবে এখন আর স্বস্তি দিয়েও বা কী হবে! প্লে-অফের আশা কার্যত শেষ। বাকি সব ম্যাচ মর্যাদার জন্য খেলবেন, ম্যাচের আগে এমনটাই মন্তব্য করেছিলেন ইস্টবেঙ্গল কোচ স্টিফেন কনস্ট্যান্টাইন। ম্যাচে হারের জন্য সব দায় অবশ্য ফুটবলারদের উপরই চাপাচ্ছেন! ম্যাচ শেষে তাঁর মন্তব্য খানিকটা এমনই। লড়াইয়ে ফেরার মরিয়া চেষ্টা করলেও সব মিলিয়ে দল যে একেবারেই ভালো খেলতে পারেনি তাঁর দল, স্বীকার করে নিলেন স্টিফেন কনস্ট্যান্টাইন। তাঁর মতে, ‘দল লড়াইয়ে ফেরার চেষ্টা করলেও তা যথেষ্ট ছিল না। ফলে এতে কোনও লাভ হয়নি’। আর কী বললেন তিনি? বিস্তারিত TV9Bangla-য়।
ম্যাচের প্রথম ২৩ মিনিটের মধ্যেই হ্যাটট্রিক করেন এফসি গোয়ার স্প্যানিশ মিডফিল্ডার ইকের গুয়ারোতজেনা। এতেই যেন মানসিকভাবে আরও ভেঙে পড়ে ইস্টবেঙ্গল। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ফ্রি-কিক থেকে গোয়ার চতুর্থ গোল ব্র্যান্ডন ফার্নান্ডেজের। চার গোলে এগিয়ে যাওয়া গোয়ার বিরুদ্ধে দুটি গোল শোধ করে ইস্টবেঙ্গল। পারফরম্যান্স নিয়ে কনস্ট্যান্টাইন বলেন, ‘প্রথমার্ধে আমরা খুবই খারাপ খেলেছি। বিরতির পরে ওদের একটা ফ্রি-কিক দিই, যা কাজে লাগিয়ে ওরা ৪-০ করে। লড়াইয়ে ফিরতে দুটো গোল করেছি। হয়তো একটা পেনাল্টিও পেতে পারতাম আমরা। কিন্তু এটাই যথেষ্ট নয়। কোনও দলকে দু-তিন গোলের লিড দিয়ে সাহায্য করলে, সেই ম্যাচ থেকে কিছু পাওয়া যায় না। পুরো মরসুম ধরেই এমনটা চলছে। ৪৫-৬০ মিনিট আমরা ভাল খেলছি। এ ভাবে ম্যাচ জেতা যায় না’।
ফিফা ট্রান্সফার ব্যান তুলে দেওয়ায় খুশি স্টিফেন। তাতে অবশ্য কোনও লাভ হবে কি? স্টিফেন বলছেন, ‘আমাদের যে নিষেধাজ্ঞা ছিল, তা উঠে গিয়েছে। এখন আমরা নতুন খেলোয়াড় নিয়ে খেলাতে পারি। পরের সপ্তাহে হয়তো জ্যাক জার্ভিস খেলতে পারে। ওকে তিন সপ্তাহ আগে পেলে ভালো হত। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তা হয়নি’। এই হারেও ইতিবাচক দিক দেখছেন ইস্টবেঙ্গল কোচ। কনস্ট্যান্টাইন বলেন, ‘এত কম সময়ে তিন গোল খেলে আত্মবিশ্বাস তলানিতে আসাই স্বাভাবিক। আমাদের ছেলেরা যথেষ্ট পরিশ্রমী। তবে মাঝে মাঝে যে মানের ফুটবল প্রয়োজন হয়, ওদের কাছ থেকে পাওয়া যায় না। এই ম্যাচে দ্বিতীয়ার্ধে ওরা ইতিবাচক মানসিকতা দেখালেও অনেক দেরী হয়ে গিয়েছে।’